রাজধানীতে রেল ক্রসিংয়ে পথচারীদের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার



তৌফিকুল ইসলাম,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যত্রতত্রভাবে রাস্তা পার হচ্ছে পথচারীরা, ছবি: বার্তা২৪

যত্রতত্রভাবে রাস্তা পার হচ্ছে পথচারীরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বেশিরভাগ রেলক্রসিংয়ে দেখা গেছে পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। ট্রেন আসার আগ মুহূর্তে যখন লাইনম্যান দুদিকে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা পারাপার বন্ধ করে দেন। ঠিক সে সময় পথচারী ও মোটরসাইকেল চালকদের রাস্তা পারাপারের প্রতিযোগিতা ঢাকার নিয়মিত ঘটনা।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি রেলক্রসিং যেমন, মগবাজার, এফডিসি মোড়, তেজগাঁও, মহাখালী, বনানী রেলক্রসিং ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557320553000.jpg

রেলওয়ের আইন অনুযায়ী, রেলপথের দু'পাশে ১০ ফুট করে ২০ ফুট এলাকায় চলাচল আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ওই সীমানার ভেতর কেউ প্রবেশ করলে তাকে গ্রেফতারের বিধান রয়েছে। তবে এই আইনের প্রয়োগ সেই অর্থে দেখা যায় না। আর রেলক্রসিংয়ে আশপাশে কোনো পুলিশ সদস্যদের দেখা মেলে না।

ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়া ব্যবসায়ী রহমানের সঙ্গে বার্তা২৪.কমের কথা হলে তিনি বলেন, ভাই জরুরি কাজ আছে, তাই এইভাবে পার হচ্ছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557320570166.jpg

এ সময় তিনি একটু রেগে গিয়ে বলেন, ‘ট্রেনতো একটু দূরেই আছে আপনার কি সমস্যা আমি পার হলে। জীবন আমার কিভাবে পার হবো সেটা আমার বিষয়।’

মুদির দোকানে কাজ করা রাসেল নামের এক সাইকেল আরোহী রেলক্রসিং পার হচ্ছিলেন। এ সময় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমি তেজগাঁওয়ে একটা মুদির দোকানে কাজ করি। বেশিরভাগ সময় সাইকেল চালিয়ে সবখানে যাই। সাইকেল নিয়ে পার হবার সময় ট্রেন আসলে কাটা পড়তে পারি, রিস্ক আছে জানি, তবুও পার হচ্ছি। তবে মৃত্যু আল্লাহর হাতে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557320585317.jpg

এফডিসি মোড়ে রেলক্রসিংয়ের দায়িত্বে থাকা লাইনম্যান নুরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মানুষ আইন মানতে চায় না। সিগন্যাল দেওয়ার পরেও ট্রেন কাছাকাছি চলে আসলেও কিসের কি। সাইরেন বাজতে থাকে, দুই পাশে লোহার ব্যারিকেড দেয়া হয়, তারপরেও মানুষ সাইকেল, মোটর সাইকেল নিয়ে পার হতে থাকে। আমরা নিষেধ করলেও শুনতে চায় না। অনেক সময় সাধারণ মানুষের এই খামখেয়ালি চলাচলে ঘটে দুর্ঘটনা।’

মগবাজার রেলক্রসিংয়ের লাইন ম্যান কবির মোল্লা বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'ট্রেন আসার তিন মিনিট আগে আমরা ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে থাকি। রেলক্রসিং গুলোতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা বাড়ানো উচিত। স্টেশন মাস্টারদের সাথে লাইন ম্যানদের যোগাযোগ করার জন্য প্রতিটা রেলক্রসিংয়ে ওয়ারলেসের ব্যবস্থা করা হলে আমাদের কাজের সুবিধা হতো। আমাদের এই রেলক্রসিংয়ে একজন পুলিশ থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে আমার তা দেখি না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557320602090.jpg

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যদি দেখি বড় রেল নেটওয়ার্কের দেশ। তারা রেললাইনকে আলাদা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে গেছে। আমাদের রেল লাইন সম্পূর্ণ উন্মুক্ত থাকার কারণে অনেক পথচারীদের অবাধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলক্রসিং পার হওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। এ ধরণের অভ্যাস পরিত্যাগ করা এবং যাত্রী-সাধারণের সচেতনতা অনেক জরুরি। রেলক্রসিংয়ের জায়গাটা যে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত এ বিষয়ে সচেতন করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রেল কর্তৃপক্ষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর দেখছি সড়ক পথে যে পরিমাণ প্রাণহানি হচ্ছে, তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য অংশ মানুষ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557320613339.jpg

ঢাকা রেল স্টেশনের ম্যানেজার মোঃ আমিনুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জনগণের সচেতন হওয়া দরকার। এভাবে পার হলে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তাই যখন ট্রেন আসার সময় ব্যারিকেড পড়ে যায় তখন আপনারা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হবেন না।’

কমলাপুর রেল পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইয়াসিন ফারুক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি মনে করি জনগণকে সচেতন হতে হবে। মানুষকে বুঝতে হবে রেলক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দেওয়ার পর পার হলে জীবনের জন্য ঝুঁকি থাকে। রেলওয়ে পুলিশ জনগণকে সচেতন করার জন্য স্টেশন গুলোতে সচেতনমূলক সভা করে, লিফলেট বিতরণ করে। বছরে ৩০০ বা তার কম বেশি মানুষ ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যায় বলে জানান রেল-পুলিশের এই কর্মকর্তা।

   

হাজারীবাগে ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর হাজারীবাগে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে রফিকুল (৩৫) নামে এক শ্রমিক মারা গেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে হাজারীবাগ বায়তাল মহারম মসজিদের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

রফিকের সহকর্মী মো. শাহিন জানান, রফিকের বাড়ি ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলায়। বর্তমানে মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকায় থাকতেন তিনি। হাজারীবাগের ওই ভবনে রড মিস্ত্রীর কাজ করতেন।

তিনি আরও জানান, সকালে ওই ১০তলা ভবনের ছাদে সেন্টারিংয়ের টিনের সিট খুলছিলেন রফিক। এ সময় অসাবধানতাবসত ১০তলা থেকে নিচে পরে গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মীরা ওই শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

;

গৌরীপুরে শসার মণ ১শ টাকা, লোকসানে চাষিরা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে প্রতি মণ শসা বিক্রি হচ্ছে, ৮০-১০০ টাকা দরে। শসার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন আবার অনেক কৃষক লোকসানের ভয়ে ক্ষেতের শসা ক্ষেতেই রেখে দিচ্ছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেত থেকে শসা তুলছেন কৃষকেরা। কেউ পাইকারি দরে প্রতি কেজি শসা দুই টাকা আড়াই টাকা দামে বিক্রি করছেন। কেউ শসা তুলে ক্ষেতেই ফেলে দিচ্ছেন অথবা কেউ ক্ষেত থেকে শসা তুলছেনই না!

উপজেলার অচিন্তপুর গ্রামের শসাচাষি আমিনুল হক শাহীন বলেন, এবার ৪০ শতাংশ জমিতে শসার আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। প্রথমদিকে ৮০-৯০ টাকা মণ দরে বিক্রি করলেও এখন তো ক্ষেতেই যাই না। কারণ, শসা ৮০-১০০ টাকা মণ দরে এখন বিক্রি করতে হচ্ছে। শসা বিক্রি করে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে শসা উত্তোলন করে কোনো লাভ নেই। ক্ষেতের মধ্যেই শসা লাউয়ের মতো বড় হচ্ছে। ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে।

মোবারকপুর গ্রামের চাষি আলী বলেন, ৩০ শতাংশ জমিতে শসা চাষ করেছি। ফলন দেখে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে শসা তুলে বাজারে নিয়ে গেলে বিক্রি হচ্ছে না। এক পরিচিত পাইকারের কাছে ৯০-১০০ মণ দরে বিক্রি করেছি। বাজার দরে হতাশ হয়ে পড়েছি। লাভ তো দূরের কথা, খরচ তোলাই তো দায় হয়ে পড়েছে!

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর থেকে বস্তায় করে শসা সিলেটে পাঠানো হচ্ছে, ছবি- বার্তা২৪.কম

ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া বলেন, আমরা বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে ১শ টাকা মণ দরে কিনে সিলেটে বিক্রি করি ২শ টাকা মণে। বর্তমানে এক ট্রাক শসা পাঠাতে মণপ্রতি আড়ৎদারকে দিতে হয় ২০ টাকা। লেবার খরচ হয় ১৫ টাকা। বস্তা কিনতে হয় ২০ টাকায় এবং পাঠাতে ভাড়া লাগে ২২ হাজার টাকা। এই টাকা খরচ করে সিলেটে শসা পাঠালে এখন আর আমাদের লাভ হয় না। লোকসান গুণতে হচ্ছে।

ইছুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, এখন শসার ব্যবসা করে আমরা লোকসানের মধ্যে আছি। আমাদের ২/৩ লাখ টাকা করে লস হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে গৌরীপুরের কৃষকেরা বেশি পরিমাণে শসা উৎপাদন করেছেন এবং বাম্পার ফলনও হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে আমদানিও বেশি। সে কারণে দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে। দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের লাভ কম হচ্ছে।

 

;

একদিন আগেই দুবাই পৌঁছাবে দস্যুমুক্ত এমভি আবদুল্লাহ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
একদিন আগেই দুবাই পৌঁছাবে দস্যুমুক্ত এমভি আবদুল্লাহ

একদিন আগেই দুবাই পৌঁছাবে দস্যুমুক্ত এমভি আবদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রত্যাশার একদিন আগেই দস্যুমুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছার আশা করছেন মালিকপক্ষ। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা নাগাদ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করবে। এর আগে ২২ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইয়ে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ। তবে জাহাজটির বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী দ্রুতই দুবাই অভিমুখে এগিয়ে চলায় আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে তারা।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা নাগাদ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে বার্থিং শেষে আরও ৪-৫ দিনের আনুষ্ঠানিকতা আছে। তারপর ২১ নাবিক জাহাজটি নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে। দুজন আসবেন উড়োজাহাজে।’

মালিকপক্ষের একটি সূত্র জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যা ছয়টার সময় জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাতে পারে। তবে সেখানে বন্দরের বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী সেখানে বার্থিং ২৪-৩২ ঘণ্টা বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর জোয়ারের সময় এই বার্থিং হতে পারে। মালিকপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম নাবিকদের গ্রহণ করতে দুবাই যাচ্ছেন।

১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাবার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ।এরপর জাহাজটিকে নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা। সেখানে প্রায় এক মাস ধরে নাবিকদের জিম্মি করে রাখে তারা। এর ৩৩ দিন পর মুক্তিপণের অর্থ পেয়ে ১৩ মার্চ দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।

সোমালি উপকূল পেরিয়ে এডেন উপসাগর হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুমুক্ত হওয়ার পর নিরাপদ এলাকায় না পৌঁছানো পর্যন্ত ইইউএনএভিএফওআরের যু্দ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে এডেন উপসাগর পর্যন্ত সাগর নিরাপদ নয়। এডেন উপসাগর পার হওয়ার পর যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহকে বিদায় দিয়ে নিজেদের গন্তব্যে ফিরে যায়। অবশ্য জাহাজে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এমভি আবদুল্লাহর রেলিংয়ের চারপাশে লোহার কাঁটাতার, ডেকে ফায়ার হোস, জাহাজে নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত এলাকা সিটাডেল, ইমার্জেন্সি ফায়ার পাম্প এবং সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়া সমুদ্র পথে নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়নকারী এবং ঝুঁকি হ্রাসে পরামর্শদাতা এমব্রেই গার্ডিয়ান সার্ভিস নামের যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের সেবা নিয়েছে জাহাজের মালিক পক্ষ এসআর শিপিং। আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত জাহাজটির চারপাশে কোনো ঝুঁকি থাকলে তা ক্যাপ্টেনকে জানাবে প্রতিষ্ঠানটি। 

;

চট্টগ্রামে রিকশায় লরির ধাক্কা, শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় তাছলিমা হাসান তায়েবা নামের দেড় বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কাঠগড় বাইতুন নূর জামে মসজিদের বিপরীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তাছলিমা হাসান তায়েবা ইপিজেড থানার কাজীর গলি এলাকার মো. হাসানের ছেলে।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, কাঠগড় বাইতুন নূর জামে মসজিদের পাশের সড়ক দিয়ে রিকশা করে হাসান ও তার স্ত্রী তাদের দেড় বছরের কন্যা শিশুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি লরি রিকশাকে ধাক্কা দিলে শিশু তায়েবা মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। পরে স্থানীয়রা তায়েবাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তায়েবার মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

;