উপকূলে লাল পতাকা, বইছে দমকা বাতাস

ঘূর্ণিঝড় ফণী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ফণীর প্রভাবে উপকূলে বিপদ সংকেত চলছে, দাকোপের বাসিন্দারা আছেন আতঙ্কে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ফণীর প্রভাবে উপকূলে বিপদ সংকেত চলছে, দাকোপের বাসিন্দারা আছেন আতঙ্কে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আতঙ্ক বাড়ছে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে। উপকূলীয় অঞ্চলে বিপদ সংকেতের লাল পতাকা লাগানো হয়েছে। সবাইকে সতর্ক করতে চলছে মাইকিং। দমকা বাতাসের সাথে খুলনায় বৃষ্টি শুরুও হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) সরেজমিনে খুলনার উপকূলীয় এলাকা দাকোপের পানখালি ও ঝপঝপিয়া নদীর আশপাশের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার পাশাপাশি লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে শুরু হয়েছে মাইকিং। মজুদ করা হচ্ছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/03/1556872192741.gif
বাড়ি বাড়ি গিয়ে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

 

সিপিপি ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রতিটি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ইতোমধ্যে, খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালি ইউনিয়নের ভদ্রা নদীতে পানির চাপে ১নং গেটের পাটাতন ভেঙে বিলে পানি প্রবেশ করেছে।

এছাড়া ঝপঝপিয়া নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফেরিঘাটের পল্টুন ডুবে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হবার উপক্রম হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পাড় হওয়া যাত্রীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, আর দুই ফুট পানি বাড়লেই এ পথে আর যাতায়াত করা যাবে না। এছাড়া বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দাকোপের পানখালি সেতু বন্ধ আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দক্ষিণের তিন উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রার প্রায় সব নদীতে পানির চাপ বাড়ছে। একই সাথে বাতাসের বেগও বাড়ছে।

বিশুদ্ধ পানি বহনকারী ভ্যানচালক করিম মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘উপজেলা থেকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকার মানুষের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝড়ের পরে যাতে সবাই বিশুদ্ধ পানি পান, সেজন্য এ ব্যবস্থা।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/03/1556872305819.gif
উপকূলে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

 

এতসব আয়োজনের পরেও এখনো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপির সদস্যরা স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেলেও তারা আবার ফিরে আসছেন।

দাকোপ পানখালীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা রমা রানী বলেন, ‘আমার ঘরের লোক ধান কাটতি গোপালগঞ্জ গেসে। সে না ফিরলি কোথাও যাব না। ঘরে মাল জিনিস আছে। সে না আসলি কেমনে নেবো। আমরা এটুক বাতাসে অভ্যস্ত হয়ে গেসি। এখন আর ডর করে না।’

দাকোপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক করছেন। দুযোর্গ পরবর্তী প্রস্তুতি হিসেবে শুকনো খাবার, টিআর চাউল, নগর অর্থ ও ঢেউটিন মজুদ রয়েছে।‘

উল্লেখ্য, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে ( ৩ মে, দুপুর ১২টা) বলা হয়েছে, প্রবল ঘুর্ণিঝড় ফণী উড়িষ্যার উপকূল (পুরীর কাছ দিয়ে) অতিক্রম করছে। মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিলো।

ফণী আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে মধ্যরাত নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিমি যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতেও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

   

‘উপকূলীয় এলাকার পানির সমস্যা ভাবার ওয়াসার সময় হয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

উপকূলীয় এলাকার পানির সমস্যার দিকে ওয়াসার তাকানোর সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকালে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) – এর ‘কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (ক্রিয়া)’ প্রকল্প আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা: প্রেক্ষিত জেন্ডার।’

ড. সুজিত কুমার বালা বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির প্রাপ্যতার অভাব রয়েছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের সময় পানি সংকট আরও বেড়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে এই সংকট মোকাবিলার চেষ্টা চলছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। ওয়াসা ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও আমার মনে হয় এখন আমাদের উপকূলীয় এলাকার পানির সমস্যার দিকে তাকানোর সময় এসেছে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ পাইপ ওয়াটার সাপ্লাইয়ের সুবিধা ভোগ করছে আর নিরাপদ পানির সুবিধা আছে ৬০ শতাংশ মানুষের। এ ছাড়া পানির লবণাক্ততা ২৬ মিলিয়ন মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লবণ পানি ব্যবহারের কারণে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে।

‘পানি সংগ্রহ থেকে শুরু করে সরবরাহ পর্যন্ত নারীদের সম্পৃক্ততা বেশি থাকার কারণে বৈশ্বিকভাবে তাদের ‘ওয়াটার ম্যানেজার’ বলা হয়। কিন্তু পানি সংগ্রহের কাজে অতিরিক্ত সময় দিতে গিয়ে নারীরা আয় বৃদ্ধিমূলক ও কৃষি কাজে অংশ নিতে পারে না। এতে আর্থিকভাবে তারা পিছিয়ে থাকছেন।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ-এর নির্বাহী পরিচালক এসএমএ রশিদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মিষ্ঠা দেবনাথ, সুইডেন দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ রবিউল আলম।

ক্রিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন এলাকা থেকে পানি নিয়ে ভুক্তভোগী দুজন নারী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তাদের সমস্যার কথা জানান। পানির অপ্রাপ্যতা, সংগ্রহ করার জটিলতা, অনিরাপদ পানি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব, লবণাক্ততার কারণে পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘পানির যোগান দিতে গিয়ে নারীরা নানাভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। সুপেয় পানি একটি মানবাধিকার। আমরা পানি নিয়ে নানা সংকটের কথা আলোচনা করি কিন্তু নারীদের দুর্ভোগের বিষয়টি অত গুরুত্ব পায় না।

‘এসব সমস্যার সমাধানে চাই সামষ্টিক উদ্যোগ। সরকারের একার পক্ষে সব সম্ভব নয়। তাই আমাদের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’

আলোচনা শেষে শাহীন আনাম অতিথিদের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখান। প্রদর্শনীর বিষয় ছিল ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর দুর্বলতা।’

;

পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন

পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ( ২৮ মার্চ) দুপুরে শহরের মুক্তি মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন নওগাঁ সরকারি কলেজের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

নওগাঁ সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বরকত মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত হোসেন, আরমান মন্ডল, শাকিল, আরিফ,তামান্না, রিয়া প্রমুখ। এসময় আরো অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন ।

বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯ মে থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হবে। রুটিনে প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে একদিন করে ছুটি রয়েছে। কিন্তু এতে তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন। যে কোনো পরীক্ষা নিতে দেড় মাস সময় বরাদ্দ থাকে। সেখানে তড়িঘড়ি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষা শেষ করতে চাচ্ছে। এর আগে কখনোই এমনভাবে রুটিন তৈরি করা হয়নি। তারা প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে কমপক্ষে তিন দিন করে ছুটি চান

;

এলডিসি উত্তরণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এলডিসি উত্তরণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

এলডিসি উত্তরণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটবে। তখন বিদেশ থেকে কী সুবিধা মিলবে, আর কোন কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও সমস্যা মোকাবিলায় এখন থেকেই তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন- প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 বৈঠকে সবার উদ্দেশ্যে নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেসব প্রকল্পে দ্রুত অর্থছাড় করে সমাপ্ত করতে হবে।

একনেক সভায় মিশরে চ্যান্সারি হাউস নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রবাসীদের সেবাদানের জন্য বুথ ও অপেক্ষার জায়গা রাখার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, বাংলাদেশের সব জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি সেখানে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তাঁত বোর্ডের নতুন কমপ্লেক্সে নারীদের প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে কুড়িগ্রামের সব উপজেলার নদী ভাঙন রোধ, রাস্তাঘাট নির্মাণে ভাঙনের ঝুঁকি মাথায় রেখে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত), কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ), বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়), ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারজি ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়), ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত) ইত্যাদি।

;

কর্ণফলী নদীতে ফিশিং বোটে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
কর্ণফলী নদীতে ফিশিং বোটে আগুন

কর্ণফলী নদীতে ফিশিং বোটে আগুন

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাটে নোঙ্গররত ফিশিং বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ কাজ করছে কোস্ট গার্ড জাহাজ প্রমত্ত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কোস্ট গার্ড জানায়, দুপুর ১২টার দিকে কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাটে নোঙ্গররত ফিশিং বোটে আগুনের খবর পেয়ে তাদের একটি জাহাজ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এখনো আগুন নির্বাপন করা যায়নি।

;