ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে খুলনায় গুমোট আবহাওয়া



মানজারুল ইসলাম স্টাফ করেসপন্ডেন্ট খুলনা বার্তা২৪.কম
ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে খুলনায় গুমোট আবহাওয়া / ছবি: বার্তা২৪

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে খুলনায় গুমোট আবহাওয়া / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে খুলনায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। হালকা মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে আছে খুলনার আকাশ। তবে সকাল পর্যন্ত খুলনার কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি।

শুক্রবার (৩ মে) ভোরেও মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে জারি করা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এখনো বহাল রয়েছে। খুলনায়ও চলছে একই সংকেত।

সরেজমিনে খুলনার রূপসা নদীতে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই খুলনার সকল নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। নদী পারাপারের জন্য ট্রলারের উপর ভরসা করছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩২৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও নদী তীরবর্তী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয় জেলেদেরকে নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত ও চরে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসার জন্য বলা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১১৪টি মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, কৃষকরা ক্ষেতে আধাপাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অধিকাংশ জমির ধান পাকেনি। উপায় না পেয়ে আধাপাকা ফসল তোলা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঝড়-তুফান হলে বেশি ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা আগাম ফসল তুলছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/03/1556850994041.jpg

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘খুলনাসহ আশপাশের অঞ্চলের আকাশে হালকা মেঘ ও গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সন্ধ্যা নাগাদ বা রাতের কোনো এক সময়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী খুলনা উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ফণী খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এ অঞ্চলে ঝড়ের কোনো প্রভাব নেই।’

নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে থাকা কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জাফর রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এখনো কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। উপজেলার আবহাওয়া এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। তবে হালকা রোদ। তারপরও সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে ১২৬ সদস্যের সাতটি টিম অল্প সময়ের মধ্যেই মাঠে নেমে পড়বে। মানুষকে নিরাপদে নিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান উপজেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের এই কর্মকর্তা।

সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা থাকায় কয়রা উপজেলার জনসাধারণ নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে যেতে শুরু করে। বিশেষ করে কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩, ৪, ৫ ও ৬নং কয়রা সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে এবং উত্তর বেদকাশী, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জন সাধারণ নিজেদের জান মাল রক্ষার্থে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে শুরু করে। কিন্তু আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্থি ফিরে আসে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/03/1556851022015.jpg

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়রায় মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ অমবশ্যার গোন (সময়) হওয়ায় নদীতে দেড় থেকে দুই ফুট পানি বেড়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, আইলার প্রাক্কালে যেমন তীব্র গরম অনুভব হয়েছিল, তেমনি মনে হচ্ছে। আর অমাবশ্যার গোন হওয়ায় তারা বাঁধ ভাঙন ও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।

অপরদিকে, খুলনার দাকোপ উপজেলার মানুষ জানে একটা ঝড় আসছে, তবে কেমন বড় বা কি হতে পারে তা নিয়ে ধারণা নেই। যারা সচেতন তাঁরা বলছেন। পরিস্থিতি বুঝে চিন্তা করবেন। অনেকে বলেছেন, ঝড় আসলে কি করার আছে। মাঝে মাঝেই তো আসে।

এদিকে জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী’র সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে জেলার ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় ১হাজার ৯৫ জন ও দাকোপ উপজেলায় ১ হাজার ৩৬৫জন স্বেচ্ছাসেবকসহ ২ হাজার ৪৬০জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি এবং নয়টি উপজেলায় নয়টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে ১১৪ টি মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/03/1556851133194.jpg

আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার (৩ মে) ভোররাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর অতবা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে বিকেল নাগাদ ভারতের ওড়িশায় উপকূলে অতিক্রম করতে পারে। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সন্ধা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। খুলনা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারে এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উল্লেখ্য, খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলের নদীতে পানি বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আতঙ্কিত উপকূলবাসী।

   

চট্টগ্রামে পত্রিকা সম্পাদকের বাড়িতে ডাকাতি, নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার লুট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় একটি আঞ্চলিক পত্রিকার সম্পাদকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দল ওই বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মাদার্শা এলাকায় দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

তৌফিক ইফতিখার জানান, আমি দুই দিন আগে বাড়ি থেকে শহরে চলে আসি। বাড়িতে শুধু কেয়ারটেকার ছিল। ঘটনার দিন রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকে জানালার গ্রিল কেটে ৬ জনের মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে।

ডাকাতরা ঘরে প্রবেশের পর প্রথমে বাড়ির কেয়ারটেকারকে মারধরের পর হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। এরপর ঘরের প্রত্যেকটি কক্ষের জিনিসপত্র তছনছ করে লুটপাট চালায়। এসময় ডাকাতরা নগদ ৪০ হাজার টাকা, ১ ভরি স্বর্ণ ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার জানান, ঘরে কেয়ারটেকার ছাড়া কেউ না থাকায় সংঘবদ্ধ চোরের দল জানালা কেটে ঘরে প্রবেশ করে ১ ভরি স্বর্ণ ও সামান্য কিছু নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

হুন্ডি ব্যবসায়ীদরে দৌরত্ম্য প্রতিরোধে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

হুন্ডি ব্যবসায়ীদরে দৌরত্ম্য প্রতিরোধে ও বৈধ পথে রেমিটেন্সে বাড়াতে সচেতনার পদক্ষেপ নিতে সুপারশি করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক র্কমসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতবিার (১৮ এপ্রলি) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রথম বৈঠক এই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করনে ইমরান আহমদ এমপি। কমিটির সদস্য আব্দুল মোতালবে, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এবং শাম্মী আহমদে বৈঠকে অংশগ্রহণ করনে।

বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়রে কার্যক্রম সর্ম্পকে উপস্থাপন ও বর্তমানে বিদেশে জনশক্তি প্রেরণের হার এবং রেমিটেন্সে প্রবাহ বিষয়ে প্রতিবেদনসহ বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিদেশে কর্মরত জনবল বৃদ্ধির জন্য বায়ারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে করণীয় এবং বৈধপথে রেমিটেন্স প্ররেণে সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষপে গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া, বিদেশগামী জনবলকে সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান, লোন প্রাপ্তিতে সহায়তা এবং বিদেশে শ্রমিক মৃত্যুজনিত সমস্যা নিরসনে জন্য র্সবােচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করারও সুপারশি করা হয়।

বৈঠকে বিদেশে জনশক্তি প্রেরণে নতুন নতুন শ্রমবাজার অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্বের সকল শ্রম চাহদিা দেশে যুুক্তি সংগত অভিবাসন ব্যয়ে জনশক্তি উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনশক্তি র্কমসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুর‍্যে এর মহাপরিচালক, বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রত্যেকের উচিত শেখ হাসিনাকে সহায়তা করা: গণপূর্ত মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন তার লিডারশিপের মাধ্যমে একটি পরাধীন দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন, ঠিক তেমনি তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যিনি এই দেশটাকে যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাকে সহায়তা করা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের ম্যাক্স ইন্ডাস্ট্রির এএসি ব্লক এন্ড প্যানেলস কারখানা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এখন অনেক ভালো অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি। কি ছিলো পাকিস্তানের আমলে? শূন্য থেকে আজকে এই অবস্থানে এসেছি। এ অবস্থানে আসার পেছনে একটি মাত্র কারণ জনগণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা ও গুড লিডারশিপ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান(অবঃ), হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আশরাফুল আলম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, ম্যাক্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমঙ্গীর, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহানা আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার।

;

নীলফামারীতে এক পরিবার চারদিন ধরে অবরুদ্ধ, পুলিশ মোতায়েন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে জমিসংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে একটি পরিবার চারদিন ধরে অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছে। বাড়ি থেকে বের হলেই তাদের মেরে ফেলা হবে বলে জানানো হয়েছে। ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবারের আট সদস্য প্রতিপক্ষের ভয়ে খেয়ে না-খেয়ে বাড়ির মধ্যে জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন।

অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হয়ে পরিবারের এক সদস্য গোপনে পালিয়ে এসে পুলিশ নিয়ে গেলে পুলিশের সামনেই দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের হালকাপাড়ায় সরেজমিন দেখা যায়, মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে নুহ ইসলামের আধাপাকা বাড়ির গেট ভেতর থেকে বন্ধ। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পরিবারের লোকজনকে ডাকলে তারা জানলা খুলে প্রথমে বলেন, আপনারা সাংবাদিক আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারবেন! বাড়ি থেকে বের হলেই আরমান গংরা আমাদের পিটিয়ে মারবে।

এ ধরনের কথা হওয়ার সময় নুহ ইসলামের ভাগিনা বাড়ি থেকে সাংবাদিকদের কাছে আসতে চাইলে আরমান পক্ষের পাঁচ থেকে সাতজন ব্যক্তি লাঠিসোটা হাতে নিয়ে ‘ধর ধর’ বলে চিৎকার দিয়ে ধাওয়া করেন।

নুহ ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোনো নিরাপত্তা পাচ্ছি না। পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

প্রতিপক্ষ প্রধান আরমান গ্রুপের সঙ্গে কথা বললে তাদের ১০ থেকে ১২ জন নারী-পুরুষ সমস্বরে বলেন, বুধবার পুলিশের সামনে আমাদের লোকজনকে নুহ-রা পিটিয়েছে। আমরা তাদের শাস্তি দেওয়ার পর শান্ত হবো।

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাশচন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ সেখানে অবস্থান করবে।

 

;