বোয়িং ম্যাক্সে ভীতি ও স্মার্ট ডিভাইসের গুপ্তচরবৃত্তি



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বোয়িং ম্যাক্স, ছবি: সংগৃহীত

বোয়িং ম্যাক্স, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুগে যুগে প্রযুক্তি মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে করেছে সহজ ও আরামদায়ক। বর্তমান যুগের আবিষ্কার ইন্টারনেট পুরো পৃথিবীকে নিয়ে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তবে এই প্রযুক্তির এতসব ইতিবাচক দিকের সঙ্গে সঙ্গে নেতিবাচক দিকও রয়েছে।

আধুনিকযুগের উড়োজাহাজ মানুষের যাতায়াত করেছে সহজতর। এক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিশ্বখ্যাত উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িং। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই উড়োজাহাজ মানুষকে পৌঁছে দিচ্ছে হাজার হাজার মাইল দূরের গন্তব্যে, এতে মানুষের সময় বেঁচে যাচ্ছে আবার কষ্টও দূর হয়েছে।

এতসব সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স প্রযুক্তির নেতিবাচক দিকও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে দুটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজে চড়তে যাত্রীরা এখন রীতিমতো ভীত। এই দুর্ঘটনার জন্য সফটওয়্যারের ত্রুটিকেই দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে মানুষ এখন বোয়িং ম্যাক্সে চড়তেই ভয় পাচ্ছে।

বোয়িং বলছে, তারা সফটওয়ারের বিষয়টি সমাধানে কাজ করছে এবং আসন্ন গ্রীষ্মে বিষয়টির সমাধান হবে।

একজন বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ বলছেন, বোয়িং কোম্পানিকে এ বিষয়ে স্বচ্ছ হতে হবে এবং আশা করছেন, বোয়িংকে এজন্য মিলিয়ন ডলার অর্থ খরচ করতে হবে এবং যাত্রীদের বোঝাতে সক্ষম হতে হবে যে, আসলেই উড়োজাহাজটি নিরাপদ।

গত ১০ মার্চে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ম্যাক্স উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশে এই মডেলের উড়োজাহাজ অবতরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

ইথিওপিয়া থেকে নাইরোবি যাওয়ার সময় বোয়িং ৭৩৫ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় ১৫৭ জন যাত্রী ও ক্রু নিহত হয়। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর লায়ন এয়ারের একটি বোয়িং৭৩৭ ম্যাক্সে ইন্দোনেশিয়ার কাছে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ জন নিহত হন।

এই দুর্ঘটনার পর এয়ারলাইন্সগুলো বোয়িং অর্ডার দেওয়া বন্ধ রেখেছে। বোয়িং এরই মধ্যে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার লোকসান গুনেছে।

ইন্দোনেশিয়ার গারুদা এয়ারলাইন্স এরই মধ্যে বোয়িংকে দেওয়া ৫০টি ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের অর্ডার বাতিল করেছে।

ফ্লাইদুবাইয়ের চেয়ারম্যান শেখ আহমাদ বিন সাঈদ আল মাকতুম তার সব গন্তব্যেই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স পরিচালনা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কারণে এয়ারলাইন্সটিকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এজন্য শেখ আহমাদ বোয়িং কোম্পানির কাছে ক্ষতিপূরণ আশা করছেন।

বর্তমানে এয়ারলাইন্সটির ১৩টি উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড রয়েছে। শেখ আহমাদ বলছেন, বোয়িং কোম্পানিকে এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, তারা পুনরায় ম্যাক্স পরিচালনা করতে পারবেন। নতুবা তাদের বিকল্প চিন্তা করতে হবে।

সূত্র জানায়, ইথিওপিয়ান এয়ারের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো এয়ারলাইন্সকে (বেবিচক) দেশের কোনো বিমানবন্দরে ম্যাক্স সিরিজের কোনো উড়োজাহাজকে অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি দেওয়া হবে না।

এরই মধ্যে দেশীয় এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা বোয়িং ম্যাক্স-৮ অর্ডার দিয়েছে। এক বছরের মধ্যে এটি তাদের বহরে যুক্ত হওয়ার কথা।

একেবারে অতি সাম্প্রতিক প্রযুক্তি স্মার্ট হোম টেকনোলজি মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটিও মানুষের জীবনকে যেমন সহজ করেছে, তেমনি ঘরের নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার মানে কি এই যে এই প্রযুক্তির কোনো নেতিবাচক কিছু নেই।

যদি আপনার ঘরে স্মার্ট হোম টেকনোলোজি থাকে, আপনি জানেন যে, এই ডিভাইসটি আপনাকে দেখছে। কিন্তু যদি এমনটি হয় আপনি যদি তাদের দেখতে পেতেন। একটি নতুন যন্ত্র আপনার ডিভাইসগুলো কিসের ওপরে আছে সেগুলো শনাক্ত করতে পারে।

একবার যদি এই অ্যাপ ডাউনলোড করা হয় তাহলে সফটওয়্যারটি দেখায় যে প্রতিটি ডিভাইস কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে, ডিভাইসের কন্টাক্ট কে, কি পরিমাণ ডেটা ডিভাইসটি তথ্য বিনিময় করে এবং কত ঘনঘন করে। আমাদের গল্পটি হলো একটি স্মার্ট হোম টেকনোলজি কিভাবে আপনারই বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে।

   

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষতা উন্নয়ন ও সবাের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে হাতিয়ার বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ লক্ষ্যে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘গ্লোবাল স্কিলস ফোরাম’ এর আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। সরকার সাধারণ শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষের পাশাপাশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার পাঠ্যক্রমে জীবন ও জীবিকা সংক্রান্ত পাঠ এবং প্রয়োজনীয় জীবন অভিজ্ঞতার পাঠ সন্নিবেশিত হয়েছে। তাছাড়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মান উন্নয়নে সরকার বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিক বিনিয়োগের ফলে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানান। সাধারণ শিক্ষার ন্যায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মেয়েদের হার ছেলেদের অংশগ্রহণের হারকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্ত্রী জানান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবো সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপসমূহের ফলে দক্ষতা উন্নয়নে গুণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে জানান। মহাপরিচালক হোংবো নারী শিক্ষার প্রসার ও মান বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন সরকার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও দেশজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানমুখী বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের উন্নয়নে কাজ করছে তেমনি মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও নতুন নতুন দক্ষতা তৈরিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।

গ্লোবাল স্কিলস ফোরামের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ প্যানেল আলোচনায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থার পরিবর্তনে বাস্তবায়িত প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ এমপ্লয়ারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাকি রিজওয়ানা, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ছাড়াও জেনেভায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা এ প্রকল্পের সাফল্যের ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানান এবং এ প্রকল্প অন্যান্য দেশের দক্ষতা উন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

;

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পিতাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৪ এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার বাবা। এই ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরবর্তীতে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আসামি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

রায় ঘোষণার আগে মামলায় ছয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।

;

সাতক্ষীরায় পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় বাইপাস সড়কের ধারে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাজমোহন দাস (৩৫) এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম। 

নিহত রাজমোহন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের প্রভাত কুমার দাসের ছেলে।

পুলিশ জানায়, রাজমোহন দাস মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরা থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেলা দশটার দিকে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের ধারে থাকা একটি পিলারের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে রাজমোহন দাস ঘটনাস্থলে নিহত হন।

 

;

একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪ কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার

একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহ ও কাঠফাটা রোদে রাস্তার মোড়ে মাথায় হাত দিয়ে বসা এক রিকশাচালক। টপটপ করে ঘাম ঝরছে। বারবার মাথার ঘাম গামছা দিয়ে মোছার চেষ্টা করছেন। গরমের কারণে রাস্তায় তেমন লোকজন নেই। রিকশাচালক গোলাপ মিয়ার মাথায় চিন্তার ভাঁজ। একদিকে রিকশার ভাড়ার চাপ, আরেকদিকে সংসার চালানো।

দিনটা পার হলেই রিকশার ভাড়া দিতে হবে, তিনশো টাকা৷ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত তার উপার্জন মোট আশি টাকা। রাতে রিকশার মহাজনকে যেভাবেই হোক টাকা দিতেই হবে। উপার্জন হোক বা না হোক এ-টাকা তাকে দিতেই হবে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে তার।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌরবাজারে দেখা মিলেছে এমনই এক রিকশারচালকের৷ তার নাম গোলাপ মিয়া (৪০)। পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউপির পূর্ব বীরগাঁও গ্রামের মাঝিবাড়ির বাসিন্দা তিনি।

এলাকাবাসী ও রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্ত্রী দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার গোলাপ মিয়ার। মেয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বাকিরাও স্কুলে লেখাপড়া করছে। ছেলেমেয়েরা সবাই মেধাবী। লেখাপড়ায় তারা আগ্রহী। তীব্র অভাব অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এলাকাবাসী জানান, গোলাপ খুবই সহজ সরল ও পরিশ্রমী মানুষ। নিয়মিত নামাজ পড়েন। নিজস্ব থাকার নিজস্ব কোন জায়গা নাই। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভালো। অভাবের কারণে খাবার জোটানো কঠিন। লেখাপড়ার খরচ তাদের জন্য যুদ্ধ করার মতো কষ্ট হচ্ছে। তার নিজস্ব একটা গাড়ি হলে পরিবার নিয়ে উপার্জন করে ভালোভাবে চলতে পারতেন বলে ধারণা তাদের।

রিকশাচালক গোলাপ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংসার নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছি। ভাত জোটানো যেখানে দায় সেখানে লেখাপড়া কীভাবে করাব বলেন? তবুও সন্তানের মুখের দিকে তাকালে মনডা মানে না আর, তাদের আবদার রাখতে পারি না।

তিনি আরও জানান, একটা আনলে আরেকটা বাকি থাকে। আমার নিজস্ব একটা প্যাডেলের রিকশা ছিল। ২৫ বছর আগে চিকিৎসার খরচ আর তীব্র অভাবে বিক্রি করেছিলাম। পরে আর কেনার সাধ্য হয়নি। একটি অটোরিকশা হলে সংসারটা চালাতে পারতাম। বাড়িটাও ঝুপড়ি ঘর, বৃষ্টি আসলেই ভিজতে হয়; এভাবেই চলছি।

;