রানা প্লাজা ট্রাজেডি

‘‘মোর বাবাক ফিরি দ্যাও’’



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
পিয়ারুল ইসলামের মা পেয়ারি বেগম, ছবি: বার্তা২৪

পিয়ারুল ইসলামের মা পেয়ারি বেগম, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘‘মুই টাকা নিয়্যা কি করিম। মোর বাবাক ফিরি দ্যাও। মোর কলিজার টুকরা বাবা ছাড়া হামরা যে অসহায়। হামার এ্যালা আর কায়ো খোঁজ রাখে না।’’

সন্তান হারানো মায়ের চোখ এখনো পিয়ারুল ইসলামকে খোঁজে। তাইতো কথাগুলো বলতে বলতে সন্তানের ছবি দেখা মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বারবার পিয়ারুলকে ফিরে আসার জন্য চিৎকার করেন বৃদ্ধা এই মা; পেয়ারি বেগম।

পিয়ারুল রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শিবপুর দিঘীরপাড় গ্রামের লায়েব আলীর একমাত্র ছেলে। সংসারের স্বচ্ছলতার আশায় দুই শিশু সন্তান আর স্ত্রীকে মা-বাবার কাছে রেখে ঢাকায় গিয়েছিলেন। রানা প্লাজায় পোশাক শ্রমিক হিসাবে কাজ নিয়েছিলেন।

২৮ বছরের যুবক পিয়ারুলকে বাঁচতে দেয়নি ঝুঁকিপূর্ণ রানা প্লাজা। ভবন ধসে মারা যান তিনি। অথচ তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পিয়ারুলের মৃত্যুর পর ছয় মাসের শিশুসন্তানকে রেখে স্ত্রী আবার বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছেন।

দুই বেলা দু’ মুঠো ভাতের জন্য লড়াই করতে থাকা পিয়ারুলের পরিবার এখন অসহায়। দেখতে দেখতে রানা প্লাজার ট্র্যাজেডির ছয় বছর পূর্ণ হয়ে গেল। কিন্তু এখনো তেমন আর্থিক ক্ষতিপূরণ পায়নি দুর্ঘটনার শিকার এই পরিবার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556109595668.jpg

এক পিয়ারুলের শূন্যতায় মা-বাবা হারিয়েছেন তাদের সন্তান। অবুঝ দু’টি শিশু হারিয়েছে তাদের বাবা। আর ছোট বোনরা হারিয়েছেন একমাত্র ভাই। হারানো সেই ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে পরিবারটি।

পিয়ারুলের বৃদ্ধ বাবা লায়েব আলী এখন সংসারের লাগাম ধরেছেন। ছেলের মৃত্যুর পর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে যে আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছিলেন, তা থেকে কিছু জমি বন্ধক নেন। সেই জমির ফসল আর দিনমজুরের কাজ থেকে যা আয় হয়, তাই দিয়ে কোনো রকমে চলছে পরিবারটি।

পিয়ারুলের অনার্স পড়ুয়া ছোট বোন নাজমিন আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘ভাইয়া ছিল সংসারে সুখ শান্তি। আজ ভাইয়া নেই। বৃদ্ধ বাবাকেই সব কিছু দেখাশোনা করতে হচ্ছে। আমার পড়ালেখার খরচ, স্বামী পরিত্যক্ত আরেক বোন, ভাইয়ের দুই শিশু ছেলে সবাইকে নিয়ে খুব কষ্টে আমাদের দিন কাটছে। আগের মতো কেউ আর আমাদের খোঁজ রাখে না। সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস অনুযায়ী আমরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাইনি।’’

পিয়ারুলের পরিবারের মতো বদরগঞ্জ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত অন্য পরিবারগুলোরও একই অবস্থা। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দিনটি অন্য সবার কাছে আবেদন ম্লান হলেও রানা প্লাজার ভবন ধসের ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারদের জীবনে অভিশাপময় এক কালো দিন হয়ে থাকবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556109528264.jpg

রানা প্লাজা ট্যাজেডিতে রংপুরের ২৬ জন পোশাক শ্রমিক নিহত হন। এর মধ্যে বদরগঞ্জে ১৮ জন, মিঠাপুকুরে সাতজন এবং রংপুর সদর উপজেলার একজন রয়েছেন। ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন অর্ধশতাধিক। যাদের বেশিরভাগই এখনো পেটের তাগিদে রাজধানীতে পড়ে আছেন।

জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় নিহতদের পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। আমরা তাদের খোঁজ খবর রাখার জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।’’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল ইতিহাসের অন্যতম ভয়ানক রানা প্লাজা ধসের দুর্ঘটনায় এক হাজার ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল দুই হাজার ৪৫৮ জন পোশাক শ্রমিক।

আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ট্রাজেডি: কাফনের কাপড় পরে নিহতদের স্মরণ

আরও পড়ুন: অশ্রু আর ফুলেল শ্রদ্ধায় রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণ

আরও পড়ুন: এনজিওগুলোর ওপর ক্ষুব্ধ রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্তরা

   

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;