বান্দরবানে কেএনএফ’র আরও এক সদস্য কারাগারে
বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফ সন্দেহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক আরও এক জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো ব্যক্তির নাম রুয়াল থান লিয়ান বম (৩৩)। তিনি বান্দরবানের রুমা উপজেলার ১ নম্বর পাইন্দু ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আরথাহ পাড়ার তুয়ালিন বমের ছেলে।
বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রুমা থানায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে রুয়াল থান লিয়ান বমকে আটক করে আদালতে হাজির করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এপর্যন্ত মোট ৬৫ জন কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৬৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জন নারী রয়েছেন।
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বরিশালের জর্ডন রোডে ড্রেনের লোহার ঢাকনা চুরি
নিয়মিত চুরি হয়ে যাচ্ছে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোডের ড্রেনের লোহার ঢাকনা। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ঢাকনা চুরি করছে তার কোনো প্রমাণও নেই। তবে রাত হলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ডের এই জর্ডন রোড।
ইতিপূর্বে গত ৩০ মার্চ জর্ডন রোডের সার্কিট হাউসের পেছনের মোড়ে সড়কের ড্রেনে লাগানো লোহার ঢাকনা বা স্লাব চুরি হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন পথচারীসহ দ্রুতগামী যানবাহনের চালকরা। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যান অনেকে। বিষয়টি জানা মাত্র বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দ্রুত ২ এপ্রিল নতুন ঢাকনা লাগিয়ে আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করেন জর্ডন রোডের বাসিন্দা ও ঐ পথে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে।
গত ১৭ এপ্রিল পুনরায় জর্ডন রোডের আরো একটি লোহার স্লাব চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোর। ফলে এই সড়কে আবারো ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। শুধু তাই নয়, চোরেরা নতুন লাগানো ঢাকনাটিও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, যার প্রমাণ চারপাশে ভাঙা ইটের সুরকী (ছবি)।
জর্ডন রোডের কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চোরের বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে গভীর রাতে এই সড়কটি ভয়ংকর হয়ে ওঠে এবং একা প্রতিবাদ করার সাহস হয়না বলে দাবি করেন অনেকেই। এই সড়কের পাশে বহুতল একটি ভবন রয়েছে। যেখানে সিসি ক্যামেরাসহ রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীও।
এই ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের একজন আলম রায়হান বলেন, প্রায় প্রতি রাতেই রাত বারোটার পর একদল টোকাই শ্রেণির মাদকাসক্তদের সোরগোল শুনতে পাওয়া যায়। তারা ভবনের সামনে আসে না, যদি আসলে তাহলে ডাক দেওয়ামাত্র ছুটে পালিয়ে যায়। তবে আশেপাশের বাসিন্দারা কেউ ভয়ে বের হয়না বলে জানান তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এই সড়কে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সচেতন হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু জর্ডন রোড নয়, নগরীর সব রোডের বাসিন্দাদেরই সচেতন হতে হবে। এই নগরীর রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের নয়, আমার আপনার সকলের। নগরবাসী যদি সচেতন না হন, তাহলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে শহর সুন্দর রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে বলে জানান মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেড় ঘণ্টার সভায় ৩ বার লোডশেডিং
কুমিল্লায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের একটি মতবিনিময় সভায় ৩ বার লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিন নির্ধারিত সময়ের পর বেলা ১২টায় শুরু হয়ে ১টা ৩০ মিনিটে শেষ হয় মতবিনিময় সভা। এর মাঝে অন্তত ৩ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে সভাস্থলে।
একপর্যায়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। প্রায় ১০ মিনিট পর আবারও সভাস্থলে ফিরে আসেন তারা।
এ সময় বারবার লোডশেডিংয়ের জন্য একাধিকবার দুঃখ প্রকাশ করে আয়োজক কমিটি।
আয়োজক কমিটিতে থাকা ডা. সুজিত সাহা 'বার্তা ২৪.কমকে বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়টি আমাদের দায়িত্বে না। আমরা অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলাম।
রাঙামাটিতে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
মধ্যরাতের ঝড় বৃষ্টিতে মুহুর্মুহু বজ্রপাতের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে রাঙামাটির বরকলে জটিলা চাকমা (৫৮) নামের এক গৃহবধু নিহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় বরকল উপজেলাধীন ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভুধছড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বামী প্রমোদ কানু চাকমা জানান, রাতে হঠাৎ বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়।
এসময় আমি খাটের ওপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর আমার স্ত্রীও তার মেয়ে ও নাতনি সহ মাটিতে বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর হঠাৎ আচমকা বাড়ির ছাদে বজ্রপাত হলে আমার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার গুরুতর অবস্থা দেখে নিকটস্থ বরকল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে তার ছোট মেয়ে ও নাতনিসহ ঘুমাতে বিছানায় শুয়ে পড়েন। এই সময় হঠাৎ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। তবে সাথে থাকা তার ছোট মেয়ে ও নাতনি কাকতাঁলীয়ভাবে প্রাণে বেঁচে যান।