রাজশাহীতে গভীররাতে মাদকের হোম ডেলিভারি!



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাতের রাজশাহী/ ছবি: বার্তা২৪

রাতের রাজশাহী/ ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী থেকে: মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন তৎপর, তখন রাজশাহীতে সহজেই মিলছে মাদক।

সীমান্তবর্তী এই বিভাগীয় শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তোপের মুখে কৌশল পরিবর্তন করেছে মাদক কারবারীরা। এতে আরও সহজেই মাদক পেয়ে যাচ্ছে মাদকসেবীরা।

স্থানীয় সূত্রের জানা যায়, রাজশাহীতে মাদক কিনতে তেমন কোনও ঝুঁকিতে পড়তে হয় না। কারণ, মোবাইল ফোনে কল করলেই গভীর রাতে হাতে চলে আসবে মাদক।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টায় বার্তা২৪.কমকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে এ তথ্যের।

এদিকে, বিষয়টি অস্বীকার করেননি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তারাও। মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, অভিনব কায়দায় মাদক ব্যবসা করে আসছে কয়েকটি মাদক কারবারি চক্র।

চক্রের অধিকাংশ সদস্যকে আমরা আইনের আওতায় এনেছি। কিন্তু এখনও যাদের আটক করা সম্ভব হয়নি তারা এই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

একই কথা বলেছেন বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আমান উল্লাহ। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত মাসে ৭৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। এ মাসে এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের মাদক বিক্রির বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে পুলিশকে জানায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, রাজশাহীতে মোবাইল ফোনে অর্ডার দিয়ে মাদক পাওয়া যাচ্ছে। এখন এটিই মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌশল।

মাদক ব্যবসায়ীদের এই কৌশলের কথা বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৫ এর অজানা নয়।

র‌্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডার সাঈদ আল মুরাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, সীমান্ত ঘেঁষা এই অঞ্চলে মাদক আসা বন্ধ করা বেশ কঠিন। তবে যেগুলো ঢুকে পড়েছে সেগুলো যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।

Arrest
হোম ডেলিভারি দিতে গিয়ে মাদকসহ আটক পলি/ছবি: বার্তা২৪.কম

 

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বিক্রির নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন। তবে কোনও কৌশলই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চিন্তার বাইরে না।

তিনি আরো বলেন, গভীররাতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) গেট সংলগ্ন বিআরটিসির যাত্রী ছাউনীর ভেতরে অভিযান চালিয়ে আজিজা আক্তার রিয়া ওরেফে পলি (২১) নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকালে তার কাছে দুই হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। তার সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন ছিল। যার মাধ্যমে যোগাযোগ করে মাদকের হোম ডেলিভারি দিতে এসেছিলেন এই নারী।

অন্যদিকে, র‍্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, সবাই মিলে কাজ করলে এ পথে মাদক নির্মূল করা সম্ভব।

   

সিলেটে উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ৫৮ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটে চারটি উপজেলায় ২৪ জন চেয়ারম্যানসহ ৫৮ জন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

উপজেলাগুলো হলো- সিলেট সদর , দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ। চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ নারীসহ ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও চার উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়াম্যান পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- ডা. মো.খলিলুর রহমান (টেলিফোন), মো.সুজাত আলী রফিক (কাপ-পিরিচ), মিল্লাত আহমদ চৌধুরী (ঘোড়া), মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম), মো.এজাজুল হক (মোটর সাইকেল), মো.সামসুল ইসলাম (আনারস)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন-নিজাম আহমদ (টিউবওয়েল), নুরুল ইসলাম (তালা), বিলাশ বোনার্জী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মো.ওলিউর রহমান (টিয়াপাখি), মো.জাকির হুসাইন (চশমা ), মো.সাইফুল ইসলাম (উড়োজাহাজ), রথীন্দ্র লাল দাস (বই), সেলিম আহমেদ (মাইক)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে মোছা.দিলরুবা বেগম (পদ্মফুল), মোছা.হাছিনা আক্তার (ফুটবল)।

দক্ষিণ সুরমায় উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়াম্যান পদে ১৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ার‌ম্যান ৩ জন।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন-মো.মইনুল ইসলাম (আনারস), মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া), মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন), মো. শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল) ও মো. সাহেদ মোশারফকে (কাপপিরিছ) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (মাইক), ফয়েজ আহমদ (তালা), আলী আছগর খাঁন শামীম (চশমা), নন্দন চন্দ্র পাল (টিউবওয়েল) ও মো. আব্দুর রহমানকে (উড়োজাহাজ) প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি (পদ্মফুল), মোছা. হালিমা বেগম (কলস) ও মোছা. ফাহিমা বেগামকে (ফুটবল) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়াম্যান পদে ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- আকদ্দুছ আলী(হেলিকাপ্টার), আলতাব হোসেন (টেলিফোন), গিয়াস উদ্দিন আহমদ (আনারস), গৌছ খান (কৈ মাছ), মোহাম্মদ এস আলী এনামুল হক চৌধুরী (মোটরসাইকেল), মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ পিরিচ), মো.আব্দুল রোসন চেরাগ আলী (ঘোড়া), মো. সেবুল মিয়া (দোয়াত কলম), সফিক উদ্দিন (উট), শামসাদুর রহমান রাহিন(শালিক)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রব (চশমা), পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু (টিয়া পাখি), মুহিবুর রহমান সুইট (মাইক), মোহাম্মদ কাওছার খান (তালা), মো.ইসলাম উদ্দীন(বই), মো.সিরাজ মিয়া (টিউবওয়েল)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- মোছা.করিমা বেগম (কলস), মোছা.জুলিয়া বেগম (ফুটবল), বেগম স্বপ্না শাহীন (প্রজাপতি)।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন মঞ্জুর কাদির শাফি(দোয়াত-কলম), আবু সুফিয়ান(আনারস), শাহিদুর রহমান (ঘোড়া)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে-আকমল হোসেন (বই), আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ আজম (টিয়া পাখি), ফরহাদ আহমদ (তালা), মো.নাবেদ হোসেন (চশমা), মো. লবিবুর রহমান (টিউবওয়েল)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- মোছা. নার্গিস পারভীন (কলস), সেলিনা আক্তার শিলা (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

;

অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির

অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি পশু ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্পে এআই টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করেন আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির হোসেন। নিজস্ব প্যাডে সিল স্বাক্ষর করে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশুদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তারা।

বিধি অনুযায়ী তাদের এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন না থাকলেও ব্যবস্থাপত্রে তারা লিখছেন সেটাও। বলছেন, ঊর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশের কথা, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন তারা এমন অনুমোদন দেননি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আস্থাশীল পরিচয় দিয়ে পশু দেহে ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে পশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তাদের আশীর্বাদে আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির হোসেন দীর্ঘদিন দাপট দেখিয়ে অন্যান্য পশু চিকিৎসকদের কোণঠাসা করে রেখেছেন।

ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক পশুপালনকারী নারী অভিযোগ করে বলেন, সরকারি প্রকল্পে চাকরি করেন বলে জাকির হোসেনের কাছ থেকে গরু-ছাগলের চিকিৎসা করাই। তিনি নিজেকে সরকারি ডাক্তার বলে পরিচয় দেন। তার ভুল চিকিৎসায় অনেক গরু অসুস্থ হতে দেখেছি।

গরু অসুস্থ হলেই তিনি ব্যবস্থাপত্রে এন্টিবায়োটিক লিখে থাকেন। এন্টিবায়োটিকের প্রভাবে গরুর সমস্যা আরও প্রকট হয় বললে দাবি করে বলেন, সরকারি জেলা কর্মকর্তারা আমার চিকিৎসা সম্পর্কে জানেন। তারা যেভাবে চিকিৎসা দিতে বলেছেন সেভাবে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দিচ্ছি বলে তিনি দাপটের সঙ্গে বলেন।

এ-বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শংকর কুমার দে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আজিজুর ও জাকিরের তাদের চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন নাই। তাদের এই ধরনের চিকিৎসার অনুমতি আমি দিইনি। এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির আমার নাম ভাঙিয়ে চলছেন।

অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা পর্যায়ের এ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি ভেটোরিনারি রেজিস্টার্ডপ্রাপ্ত ছাড়া এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন কারো নাই।

বিপ্লব ও ও জাকির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছেন এমন অভিযোগের জবাবে জেলা প্রাণিসম্পদ এ কর্মকর্তা বলেন, এগুলো ভুয়া; তারা আমাদের নাম ভাঙিয়ে চলে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, আমি জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন। আপনি যা খুশি করতে পারেন। তারা আমার রক্ষা করবে।

আরেক অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আমি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন।

;

৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০২৩-২৪ করবর্ষের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি-রফতানি শুল্ক মিলে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা যা বিগত করবর্ষের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।

গত করবর্ষের ৯ মাসে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্র জানায়, খাতভিত্তিক রাজস্ব আয়ের হিসাব হলো ৯ মাসে আমদানি ও রফতানি শুল্ক খাত থেকে আয় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা, স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকে ১ লাখ ৭০২ কোটি ৩৯ লাখ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা আয় হয়েছে। তবে এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। ৯ মাসে যে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিলো, তার ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

এনবিআরের তথ্যমতে, গত ২০২২-২৩ করবর্ষের ৯ মাসে আমদানি-রফতানি শুল্ক থেকে রাজস্ব আহরণ ছিল ৬৭ হাজার ৩৮০ কোটি ৩৪ লাখা টাকা। চলতি করবর্ষের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে আয়কর আহরণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। গত করবর্ষের ৯ মাসের ৭১ হাজার ২২৭ কোটি ২২ লাখ টাকার আয়কর রাজস্ব আয় এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। আমদানি-রফতানি শুল্ক ও আয়করের মত মূসক আহরণের ক্ষেত্রেও উল্লেখ করার মত প্রবৃদ্ধি এসেছে। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত করবর্ষের ৯ মাসে মূসক রাজস্ব আয় ছিলো ৮৬ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, চলতি করবর্ষে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।

;

তীব্র তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের পাশে তরুণ সংঘ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে তীব্র তাপদাহের নাকাল নানা পেশার শ্রমজীবী মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন। নিজস্ব অর্থায়নে কাঠফাটা রোদে সড়ক, ফুটপাতে ঘুরে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন ওই তরুণ সংঘের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার জয়দেবপুর থানাধীন ভাওয়াল মির্জাপুরে, ভাওয়াল মির্জাপুর তরুণ সংঘ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা এলাকায় নানা শ্রেণি-পেশার শতাধিক শ্রমজীবী মানুষকে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন।

জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠন মহামারী করোনা ভাইরাসের সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করেছে। চলমান তীব্র তাপদাহে যখন শ্রমজীবী মানুষের প্রাণ হাঁসফাঁস করছে তখন স্বেচ্ছাসেবী ওই দলটি নিজস্ব অর্থায়নে তৃষ্ণার্থ মানুষের পিপাসা পূরণে এগিয়ে এসেছে।

সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আশিক মাহমুদ জানান, সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত মানুষদের জন্য কাজ করাই আমাদের এই সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য। সকল সদস্যরা প্রতি সাপ্তাহে ২০ টাকা করে ফান্ডে জমা দিয়ে সেই টাকা থেকেই সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষের সেবা করি।

;