কী মাদকে প্রাণ গেল রাবির সেই দুই শিক্ষার্থীর?



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী থেকে: হঠাৎ মাদকে আসক্ত হয়েছিলেন তিন বন্ধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মোহতাসিম রাফিদ ও তুর্য রায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) রকি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বা কোনো উৎসবের দিন তাদের আড্ডা জমতো মাদক নিয়ে। অন্য দিনের মতো সেদিন শনিবারও (৬ এপ্রিল) মাদক সেবন করেন তারা। তবে সেদিন একটু বেশি উত্তেজনা চান তারা।

এর আগেও সময়ে পদ্মার চর দিয়ে অবৈধভাবে আসা মদ তারা পান করেছে। কিন্ত ঐদিন মদের সঙ্গে ইয়াবার গুড়া, যৌন উত্তেজক ওষুধ, আর ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছিলেন। মাদকের উত্তেজনাকে আরও উপভোগ করায় ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এই বিকৃত মাদক সেবনেই প্রাণ গেছে মোহতাসিম ও তূর্যের। অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে রকিকে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আলাদা আলাদা সূত্রের সাথে কথা হয় বার্তা২৪.কম প্রতিনিধির। এই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া রকির জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

নগরীর উপ ভদ্রার সাঈদ টাওয়ারের ছাত্রাবাসে ২১৪ নম্বর রুমে থাকতেন তূর্য রায়। ছাত্রাবাসের ব্যবস্থাপক মোঃ ফারুক হোসেন এর মতে খুবই নম্র ভদ্র ছিলেন তূর্য। মাদক সেবন করার মতো ছেলে তাকে মনে হয়নি কখনো।

আর নগরীর মোন্নাফের মোড়ে পাশাপাশি দুটি ছাত্রাবাস এনএন ছাত্রাবাস আর সাল সাবিল ছাত্রাবাসে থাকতেন রকি ও মোহতাসিম রাফিদ।

বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমান উল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এনএন ছাত্রাবাসের ৪১২ নম্বর রুমে ঐদিন রাতে তারা মদ্যপান করেন।’

মদ্যপানের পর যখন তারা মারা যান, তখন সিআইডি, পিআইবি, ক্রাইম সিন গিয়ে ঐ শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকটি রুমে অভিযান চালায়। এমন সময় রকির রুমে একটি ভারতীয় মদের বোতল পায়। যেটা মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/19/1555679419467.gif
মদপানে অসুস্থ হয়ে মারা যান রাবির ‍দুই শিক্ষার্থী মোহতাসিম রাফিদ ও তুর্য রায়/ ছবি: সংগৃহীত

 

একাধিক গোয়েন্দা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে পরে বিস্তারিত তথ্য দেয় রকি। কম্পিউটার সাইন্সে পড়া এ শির্ক্ষাথী জানান, তারা নগরীর সাধুর মোড়ে মাদক সেবন করতেন। কিন্তু ঘটনার দিন অর্থাৎ (৬ এপ্রিল) রাতে তারা এনএন ছাত্রাবাসে তার কক্ষে মদ্যপান করেন।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনে অর্ডার করা ঐ ভারতীয় মদের সঙ্গে সাহেব বাজারের স্টার মেডিসিন হল থেকে যৌন উত্তেজক ঔষধ মিশানো হয়। তার সঙ্গে আবার ইয়াবার গুড়ো, ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাদকের তীব্রতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি প্লাস্টিকের বোতল ফুটো করে নল বসিয়ে নিজেরাই সিসা মাদক তৈরি করেন।

বোয়ালিয়া থানার পুলিশ কর্মকর্তা আমান উল্লাহ্ বলেন, ‘মাদক সেবনের পর থেকেই তারা অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে যখন নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তখন ছাত্রফ্রন্টের অনুসারী এই তিন শিক্ষার্থী তাদের বড় ভাইদের বিষয়টি জানান। বাম সংগঠনের কথিত বড় ভাই সোহরাব তাদের হাসপাতালে নিতে চান। তার আগে বাসার রোডের কুহেলী ছাত্রাবাসে তাদের বিশ্রাম করতে দেন।

কুহেলী ছাত্রাবাসের পাশের বাসার মলেকা বেগম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঐ দিন গভীর রাতে অনেক মানুষের কথাবার্তা শুনেছেন তারা।’

বোয়ালীয়া থানাতে এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলার বিবরণ লেখা আছে, সংগঠনের ছোট ভাইদের সুস্থতার জন্য ডাবের পানি ও স্যালাইন পানের ব্যবস্থা করেন তোহরাব।এরপর রাত ৩টার দিকে মোহতাসিম বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ৪টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ছাত্রাবাসে থাকা তুর্য রায়েরও অবস্থার অবনতি হয়। তখন তাকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রোববার (৭ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে মোহতাসিম রাফিদ এবং সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তুর্য রায় মারা যান।

ঘটনার প্রেক্ষিতে রাবির প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঘটনার পরবর্তী যা যা করার আমরা বিশ্বাবিদ্যালয় প্রশাসন থেকে করেছি।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার রায়হান হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনো তৈরি হয়নি। তবে ধারনা করা গেছে। অজানা বিষক্রিয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’

উল্লেখ্য, রোববার (৭ এপ্রিল) বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহতাসিম রাফিদ। অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তুর্য রায়।

   

বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযান, ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজার মনিটরিং ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বরিশালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ৪ ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল শহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন, বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মারজানুর রহমান, মোঃ শহীদ উল্লাহ ও শাহরুখ আলম শান্তনু।

এ সময় তারা নগরীর পোর্ট রোড পাইকারী ও খুচরা বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ও ভোক্তা অধিকার আইনে মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার সংরক্ষণ না করা এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূলে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ৪টি মামলায় ৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র‌্যাব-৮ এর ৩টি টিম।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

চট্টগ্রামে জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বায়েজিদের জুতার সোল তৈরির একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে কিভাবে এই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০মিনিটে বায়েজিদে একটি কুরিয়ান পোশাক কারখানায় আগুন লাগার খবর পায়। প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ বর্তমানে ৫টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

;

বগুড়ায় মহাসড়কে চলছে উন্নয়ন কাজ, ঈদে দুর্ভোগের আশঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা- রংপুর মহাসড়কের বগুড়া অংশে চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে ঈদে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি পয়েন্টে যানজটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক বাসচালক। আর যানজটে তীব্র ভোগান্তিতে পড়বে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষেরা। তবে বগুড়া জেলা পুলিশ মহাসড়কে যানজট হতে পারে এমন ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন।

বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ঢাকা- রংপুর মহাসড়কে বগুড়া অংশে ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান থাকলেও এবার কোন যানজট হবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যানজট হয় এমন স্থান গুলোতে ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস চালু হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ মার্চ মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন বিব্লক আন্ডার পাস, বগুড়া শহর সংলগ্ন ফুলতলা আন্ডার পাস এবং বগুড়া তিনমাথা রেলগেট ফ্লাই ওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মহাসড়কে যে সকল পয়েন্টে উন্নয়ন কাজ চলছে সেই স্থান গুলোতে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক করা হয়েছে। এছাড়াও বগুড়া শহরতলীর বনানী এবং মাটিডালী মোড়ে দ্রুত গতিতে সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই দুই স্থানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

রংপুর -ঢাকা রুটে চলাচলকারী টি আর পরিবহনের চালক সিকদার, শ্যামলী পরিবহনের চালক করিম, একতা পরিবহনের চালক সাব্বির বলেন, মহাসড়কের দক্ষিণে চান্দাইকোনা থেকে উত্তরে রহবল পর্যন্ত মহাসড়কে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি স্থানে এবার যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তারা বলেন, মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড, ভটভটি চলাচল এবং মালবাহী ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদেরকে যানজটে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

এছাড়াও মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝে বালুর ঢিবি করে রাখার কারণে দুর্ঘটনা ছাড়াও যানবাহনের গতি স্বাভাবিক রাখা যাবে না। ফলে ওই সকল স্থান গুলোতে যানবাহনের জট লেগে থাকতে পারে।

এদিকে বগুড়া জেলা পুলিশ মহাসড়কের বগুড়া অংশে যানজট হতে পারে এমন ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন। সেগুলো হচ্ছে, শেরপুরের চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার, শেরপুরের ধুনট মোড়, শাজাহানপুরের লিচুতলা বাইপাস ও বনানী মোড়, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, বগুড়া শহরতলীর চারমাথা বাস টার্মিনাল, মাটিডালী এবং শিবগঞ্জের মোকামতলা বন্দর।

বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদেরকে যেন মহাসড়কে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পয়েন্ট গুলোতে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে যানবাহন চলাচল স্বভাবিক রাখতে কাজ করবে।

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ সমন্বয় করে মহাসড়ক মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কাজ করে যাবে। আশা করি এবার যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে শিশুদের গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনাসভা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন এবং একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি শিশুদের অত্যাধিক ভালবাসতেন বলে তাঁর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর আদর্শ ধারণ করে প্রত্যেকটি শিশুকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার মনোভাব নিয়ে বড় হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দু’জনেই আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগের জন্য তিনি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, চিত্রনায়িকা মেহজাবিনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনাসভার শেষে মন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের পক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেন।

;