সাংবাদিকদের ওপর হামলা

ক্যামেরা উদ্ধার হলেও গ্রেফতার হয়নি হামলাকারীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা ২৪.কম
স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড, ছবি: বার্তা২৪

স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করেছে পুলিশ। ছিনতাই হওয়া ক্যামেরা উদ্ধার হলেও গ্রেফতার হয়নি চিন্থিত সন্ত্রাসীরা।

তবে হামলাকারীদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বীরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সাকিলা পারভীন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারোটায় বার্তা২৪.কমকে তিনি এই তথ্য জানান।  

ওসি সাকিলা পারভীন বলেন, ‘হামলার শিকার সাংবাদিকরা লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে পুলিশ ছিনতাই হওয়া ক্যামেরাটি উদ্ধার করেছে। তবে হামলাকারীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/19/1555662517010.jpg

ক্যামেরা উদ্ধার হলেও সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হয়নি কেন, এর জবাবে ওসি জানান, ‘আমরা হামলাকারীদের কাছ থেকে ক্যামেরা উদ্ধার করিনি। সুজালপুর ইউনিয়নের একটি গাছ তলায় পড়ে থাকা ভিডিও ক্যামেরাটি উদ্ধার করেছি। ’

ক্যামেরাটি কোন গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে এবং কারা সেখানে রেখেছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে ওসি সাকিলা পারভীন বলেন, ‘আপনি আমার সাথে পরে কথা বলেন। আমি ব্যস্ত আছি। পারলে ডিবিসি নিউজ এর প্রতিনিধি এবং স্বপ্নতরীর লোকজনের সাথে কথা বলুন। তারাই ভালো বলতে পারবে।’

এসময় তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের জিডি ও দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ক্যামেরা যখন উদ্ধার হয়েছে। তখন আসামিরাও গ্রেফতার হবে।’

এদিকে, সন্ত্রাসী হামলায় শিকার তিন সাংবাদিকদের মধ্যে গুরুতর আহত ডিবিসি নিউজ এর রংপুর স্টাফ রিপোর্টার নাজমুল ইসলাম নিশাত বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘সাতজনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনের ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ক্যামেরা উদ্ধার হয়েছে বলে আমাকে ওসি বীরগঞ্জ নিশ্চিত করেছেন। ’

এ ঘটনায় রংপুর প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, ভিডিও জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন, ফটো জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেছেন। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা।

উল্লেখ্য, ডেসটিনির পিএসডিপ্রাপ্ত মানিক চন্দ্র বর্মণ নামে এক ব্যক্তি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড এর ব্যানারে রংপুর বিভাগের চার জেলায় বিভিন্ন লোভনীয় প্যাকেজে টার্কি মুরগির খামারি প্রজেক্ট ব্যবসা চালু করেন। এতে বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় ১২০০ খামারি অর্ধশত কোটি টাকার প্যাকেজ গ্রহণ করেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর স্বপ্নতরী কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা শুরু করে।

এ ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে (১৭ এপ্রিল) বার্তা২৪.কম এর রংপুর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ফরহাদুজ্জামান ফারুক, ডিবিসি নিউজের রংপুর স্টাফ রিপোর্টার নাজমুল ইসলাম নিশাত ও ক্যামেরা পারসন মহসীন আলীর উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাঙচুর ও ছিনতাই করে নেন।

   

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি'র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, শেখ আফিল উদ্দিন, মো. মঈন উদ্দিন এবং বেগম জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে তিন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার সর্বশেষ অগ্রগতি ও তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কমিটি তিন পার্বত্য জেলায় এনজিওগুলোর যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলোর উদ্দেশ্য ও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য অবশ্যই জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে অবহিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে বিনামূল্যে তিলের বীজ সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সারা বছর ব্যবহারের ব্যবস্থা করার একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব; বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ; পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য; চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আবদুল জব্বারের বলীখেলা মানেই একটা সময় ছিল দিদার বলীর দাপট। বছরের পর বছর ধরে রামুর এই বলী এই ঐতিহাসিক বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন অতীতের পাতায়। এরপর থেকে তাঁর জায়গাটা নেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী ও কুমিল্লার শাহজালাল বলী। টানা তিন বছর ধরে এই দুজন শিরোপা ভাগাভাগি করে আসছেন। কিন্তু এই দুই সেরা বলীই কিনা এবার খেলছেন না।

অথচ জীবন ও শাহজালাল-দুজনেই বলীখেলায় অংশ নিতে নিবন্ধনও করেছিলেন। শুরু থেকে ছিলেন লালদীঘি মাঠেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুজনেই কিনা নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

কেন দুই বলীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল ক্ষোভের গন্ধ।

জানতে চাইলে জীবন বলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু অসুস্থ। ইনজুরড হওয়ায় আমার বদলে কুমিল্লার হোমনার বিখ্যাত বলী বাঘা শরীফের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কমিটি সেটা মেনে নেয়নি। সেটি মানতে পারিনি। পরে ক্ষোভে নামই বাদ দেন।
শাহজালাল বলীও একই কারণে নাম প্রত্যাহার করেন।

পরে অবশ্য দুই বলী সরে যাওয়ায় সুযোগ পান বাঘা শরীফ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগান এই বলী। চ্যালেঞ্জ ও সেমিফাইনাল রাউন্ড জিতে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরীফ। আর এতে জীবন ও শাহাজালাল- দুই বলীর সমর্থনই যায় বাঘা শরীফের কোর্টে।

;

ফেনীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ফুলগাজীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মিনহাজ মুন্সীরহাট ইউনিয়নের কমুয়া চৌধুরী বাড়ির আবদুল মতিন চৌধুরীর দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকার ভাই ভাই অটো রাইস মিল সংলগ্ন একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনহাজের বাবা প্রবাসে থাকায় সে মায়ের সঙ্গে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বুধবার বাসার ছাদের রেলিংয়ে উঠে পাশের আরেকটি ভবনের রেলিংয়ে পা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত নিচে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি গেইট এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক মজুমদার টিপু বলেন, সকালে খেলতে গিয়ে মিনহাজ ছাদ থেকে পড়ে যায়। তার বাবা ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুবাই থেকে বাড়ি চলে এসেছেন। তিনি আসার পর উপজেলার পূর্ব দরবারপুরে পারিবারিক কবরস্থানে মিনহাজকে দাফন করা হয়।

ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;

জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিচ্ছেন ৮০ বলী, লোকারণ্য লালদীঘি মাঠ 



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে শুরু হলো ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল চারটা ২৫ মিনিটে বলীখেলার ১১৫ তম আসর শুরু হলেও দুপুর থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে লালদীঘি মাঠ।

এবারের বলীখেলায় অংশ নিতে অন্তত ১০০ জন বলী আসেন। তাদের মধ্যে ৮০ জনকে নিবন্ধন করে আয়োজক কমিটি। প্রথম রাউন্ড শেষে চ্যালেঞ্জ রাউন্ড হয়। এরপরই হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।


যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। ১৯০৯ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একবছর বাদ দিলে প্রতিবছর এই মেলা হয়ে আসলেও করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। পরের বছরেও এই মেলা হয়নি একই কারণে। ২০২২ সালেও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলেছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সড়কের মাঝখানে অস্থায়ীভাবে রিং তৈরি করে আয়োজন করা হয় বলীখেলায়। গত বছর থেকে বলীখেলা ফিরেছে নিজের পুরনো ঠিকানা-লালদিঘী ময়দানে। এবারও সেখানেই হচ্ছে শতবর্ষী এই আসর।

বলীখেলাকে কেন্দ্র করে মাঠের আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে বৈশাখী মেলা।

;