রূপকল্প- ২০২১
সুশাসনে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ
সুশাসনের ক্ষেত্রে এগিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনও কয়েকটি ক্ষেত্রে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। সুশাসনের ক্ষেত্রে অনেক কাজ করার আছে। ইতোমধ্যে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। অগ্রগতি আছে দারিদ্র্যের হার কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বাজেট ঘাটতি পাঁচ শতাংশের নিচে রাখা, সবার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও নারী-পুরুষের সমতা অর্জন খাতে।
২০১০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য তৈরি করা রূপকল্প-২০২১ এর মধ্যবর্তী মূল্যায়নে উঠে এসেছে এই চিত্র।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রতিবেদনটি স্টিয়ারিং কমিটির সভায় উপস্থাপন করে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) দলিল প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিইডির সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ কমিটির সদস্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘সুশাসনের কোনো মাপকাঠি নেই। একেক রকম পণ্ডিতের কাছে সুশাসনের ব্যাখা একেক রকম। দেশে সুশাসন অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে। আরও ভাল করতে সরকার কাজ করছে। সুশাসন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং অনেকগুলো পক্ষের সমাহারে নিশ্চিত হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সভায় অনেক সচিবই মত দিয়ে বলেছেন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা উচিত। তাহলে ঢাকার উপর চাপ কমবে। কেন্দ্রীয় ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণের প্রস্তাব সচিবদের কাছ থেকেই আসছে, এটা সুশাসনের লক্ষণ।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট দেশজ উৎপাদনের লক্ষ্য অনেকাংশেই পূরণ হয়নি। কেননা প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় একটু উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল। লক্ষ্য অর্জিত না হলেও ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ড. শামসুল আলম বলেন, ‘২০১৪-১৫ অর্থবছরের পর চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সংশোধন করে কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে পরবর্তীতে যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু এই পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার আলোকে, তাই আমরা একটু আগেভাগেই দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছি।’