খুলনায় অ্যামোনিয়া গ্যাসের লাইন লিকেজ, শিশুসহ অসুস্থ ১৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
সী ফুড ফ্যাক্টরি, ছবি: বার্তা২৪

সী ফুড ফ্যাক্টরি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় একটি সী ফুড ফ্যাক্টরিতে অ্যামোনিয়া গ্যাসের পাইপ লিকেজ হয়েছে। এতে শিশুসহ ১৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে খুলনার রূপসার এটলাস সী ফুডে এ লিকেজের ঘটনা ঘটে। পাইপ লিকেজ হওয়ার পরপরই এলাকায় অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থদেরকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/15/1555268145774.jpg

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনার উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'রূপসার এটলাস সী ফুডে পাইপ লিকেজ হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। অসুস্থরা বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।'

খুমেকের চিকিৎসকরা জানান, অ্যামোনিয়া গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে। বিকল্প অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। অসুস্থরা দ্রুত সেরে উঠবে।

   

চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় লেগুনাচালকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী ট্রাকের ধাক্কায় লেগুনাচালকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মইজ্জ্যার টেক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত লেগুনন চালকের নাম মো. আবদুল হান্নান (৩০)। তিনি পটিয়ার উপজেলার আকবর হোসেনের ছেলের।

সাইফুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি হান্নানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাইফুদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মইজ্জ্যার টেক এলাকায় লেগুনাটি ইউটার্ন নেওয়ার সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাকে ধাক্কা লাগে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লেগুনা চাকলকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসক দেখে মৃত ঘোষণা করেন। শুনেছি ট্রাকচালককে পুলিশ আটক করেছে। ওই লেগুনাতে কোনো যাত্রী ছিল না।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় হান্নান নামে একজনকে মেডিক্যালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রেরণ করলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

;

দুই বউ মুখোমুখি, স্বামী পালালেন কচুরিপানার তলায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ বছর আগের বউ রেখে সাত মাস আগে ফের বিয়ে করেছিলেন। দুই বউ মুখোমুখি হতেই শুরু হয় ঝগড়া। আর এমন পরিস্থিতিতে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। অনেক খুঁজেও সন্ধান না মেলায় খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে একাই উঠে পালান ওই ব্যক্তি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলের দিকে সাভারের হেমায়েতপুরের চলন্তিকা হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিকেল ৫টার পরপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উঠে পড়েন তিনি।

ওই ব্যক্তির নাম রাজু। তিনি চলন্তিকা হাউজিং এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্ত্রী শিমুকে নিয়ে চলন্তিকা হাউজিং এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে শরীফা নামে আরেক নারী এসে দাবি করেন, তার সঙ্গে রাজুর পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। এক পর্যায়ে তিনজনের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। এরই জেরে রাজু দৌড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা তাকে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজু একাই উঠে পালিয়ে যান। 

রাজুর দ্বিতীয় স্ত্রী শিমু বলেন, আমি ওয়াশরুমে ছিলাম। বের হয়ে দেখি এক মহিলা আমার স্বামীর হাত ধরে টানাটানি করছে। তার দাবি সে আমার স্বামীর স্ত্রী। আমি আমার স্বামীকে ছাড়াতে গেলে সে সেখান থেকে দৌড়ে কচুরিপানা ভর্তি ডোবায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর ৯৯৯ -এ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ডাকা হলে সে নাকি উঠে চলে যায়। তবে বাসায় আসেনি।

সাভার ট্যানারি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মনজুরুল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে স্থানীয়রা জানান, সে একাই উঠে চলে গেছে। তাই ফিরে আসি। 

;

কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়ক: ঈদ উপলক্ষে পুরোদমে চলছে সংস্কার কাজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬৪৩ কোটি ব্যয়ে পুরোদমে চলছে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত করণ ও সংস্কার কাজ। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া অংশে পাথর-বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ সড়কটি পেতে যাচ্ছে এক নতুন রূপ। এছাড়াও জনপ্রশাসনমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার একটি বড় অংশ ফোরলেনে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) তত্ত্বাবধানে মেহেরপুরের মেসার্স জহিরুল লি. এ সড়কের তিনটি প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে গাংনী উপজেলার তেরাইল কলেজ পর্যন্ত এ তিনটি প্যাকেজের কাজ পুরোদমে চলমান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ গাড়াডোব থেকে বাশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশে বিটুমিন ও পাথরের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। 

জানা গেছে, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করছে মেসার্স জহিরুল লি.। আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বিটুমিন ও পাথরের মিশ্রণ এবং যন্ত্রের মাধ্যমেই নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক। যার ফলে দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে সড়ক সংস্কার কাজ।

সংস্কারকাজ তদারকিকালে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহীন মিয়া বলেন, বেজ কোর্সের কাজ চলমান আছে। এ কাজটি আমরা দুই লেয়ারে করে থাকি। যার থিকনেছ ১১০ মিলিমিটার। এ কারণে এটি দুই লেয়ারে করতে হবে।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ অংশের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী পর্যন্ত চলমান এ সংস্কার কাজের মেহেরপুর জেলার অংশ প্রায় ৩০ কিলোমিটার। সংস্কার ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৫০ ভাগের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের মান নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

জানা গেছে, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে তিনটি প্যাকেজের কাজ পূর্ণ গতিতে চলমান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগামী ডিসেম্বরে পুরো কাজ সম্পন্ন বলে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সওজ প্রকৌশলীরা।

গাংনী উপজেলার গাড়াডোব থেকে বাশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশের কাজের প্রথমে বিদ্যমান কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়। সেখানে বেজ ওয়ান হিসেবে পাথর আর বালুর মিশ্রণ দিয়ে রুলার করা হয়েছে। এরপরে বেজ কোর্সের কাজ হিসেবে বিটুমিন আর পাথর দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এর উপরে আরও একবার চূড়ান্তরুপে পাথর আর বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া হবে। 

এদিকে রাস্তা সংস্কার কাজ দ্রুত চলমান থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এ সড়কে চলাচলকারীরা। যানবাহন চালকরা বলেন, সড়কটিতে যানবাহন চালাতে গিয়ে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া খানাখন্দে ভরা সড়কটি এক প্রকার দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবেই চিহ্নিত ছিল। সংস্কার কাজের মাধ্যমে রাস্তা যেমনি প্রশস্ত হচ্ছে, তেমনি কয়েক লেয়ারে পাথর ও বিটুমিনের আস্তরণে চলাচল হচ্ছে নির্বিঘ্নে। যা পথচারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে।

এদিকে মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে আলমপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা ফোরলেনে উত্তীর্ণ হচ্ছে। বিদ্যমান প্রকল্পে কলেজ মোড় থেকে গাংনীর দিকে প্রায় এক কিলোমিটার ফোরলেন ছিল। এছাড়াও গাংনী শহরে প্রায় চার কিমি এবং বামন্দী বাজারে প্রায় এক কিমি ফোরলেন রয়েছে। পরবর্তীতে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার পুরো অংশ ফোরলেনের অনুমোদন হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ডিও লেটারে এ অভাবনীয় কাজটি অনুমোদিত হয়েছে। শিগগিরই এর নতুন টেন্ডার হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফোরলেনের কাজটি শুরু হবে। তবে পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত পুরো সড়কটি ফোরলেনে উত্তীর্ণ হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী।

;

নাফ নদীতে মিয়ানমারের জাহাজ দেখার পরই বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ এপারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের একটি জাহাজ দেখতে পাওয়ার পর থেকে এপারপ বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ শোনা যায়।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশটির জলসীমায় জাহাজটি অবস্থান করতে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানান। এ সময় থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও জাহাজটি সরে যাওয়ার পর বিস্ফোরণের শব্দ বেড়ে যায়। একইভাবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে গোলার বিকট শব্দ শোনা গেছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনেও। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে থেমে থেমে এই গোলার বিকট শব্দ আসছে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা জাহাজটি সেখানে দেখা যায়, তারপর সরে যায়। আর তখন থেকেই শাহপরী দ্বীপের সীমান্তে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তারা মাঝেমধ্যে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। কিন্তু গতকাল বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ১০টির বেশি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।

সেখানকার লোকজন জানান, এর আগে ২১ মার্চ একই জায়গায় মিয়ানমারের ‘জাহাজ’ দেখা গিয়েছিল। যেখানে এ ধরনের জাহাজ সচরাচর দেখা যায় না। তারা জানান, সকালে নদীতে কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর জাহাজটি দেখা যায়। জাহাজটি নদীতে কখন এসেছিল নিশ্চিত করে তা কেউ বলতে পারেননি।

শাহপরীর দ্বীপের আব্দুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ কিছুটা কম শোনা গিয়েছিল। তবে শুক্রবার সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের একটি যুদ্ধজাহাজ দেখা গেছে। এটি চলে যাওয়ার পর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ বেড়েছে।’

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, 'গোলাগুলি বা মর্টার শেলের বিস্ফোরণের শব্দ বৃহস্পতিবার থেকে কমে গিয়েছিল। তবে শুক্রবার ৩টার দিকে পরপর কয়েকটি শব্দ শোনা গেছে।'

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, 'গত এক সপ্তাহ ধরে টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কিছুটা কমলেও দুপুরের পর আবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে।'

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'সকালে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের জলসীমায় একটি বড় জাহাজ দেখা যায়। এটি যুদ্ধজাহাজ নাকি অন্য কোনো জাহাজ তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু জাহাজটি দুপুরের আগেই সেখান থেকে চলে যায়।'

তিনি বলেন, 'কিন্তু জাহাজটি নাফ নদী সীমান্ত থেকে সরে যাওয়ার পরপরই সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিপরীতে মায়ানমারের অপর প্রান্ত থেকে মাঝে মাঝে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। এ দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই এবং মিয়ানমারের পক্ষে যে সংঘাত চলছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।'

গত কয়েক মাস ধরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে। রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সেনা পোস্ট দখল করে বিদ্রোহীরা ইতোমধ্যেই সাফল্য দেখিয়েছে। মিয়ানমারে দ্বন্দ্ব সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান লড়াইয়ের মধ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হন।

;