রঙে আনন্দে দেশজুড়ে বর্ণিল বৈশাখ



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ, ছবি: বার্তা২৪.কম

উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঐতিহ্যবাহী নানা অনুষ্ঠান আর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। ঢাক-ঢোল, বাদ্য  নাচ-গানের মধ্য দিয়ে মহা ধুমধামের সঙ্গে বছরের প্রথম দিনটিকে পালন করছেন দেশবাসী।

পুরাতন গ্লানিকে মুছে ফেলে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ নতুন বাংলা বছরের প্রত্যাশায় নতুনকে বরণ করে নিয়েছে সব শ্রেণি পেশার মানুষ।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীদের বৈশাখের আগমনী রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ সুরের মূর্ছনায় শুরু বৈশাখী উৎসবের। রমনার বটমূলের মতো দেশের প্রতিটি বিভাগ জেলা উপজেলায় নানা আয়োজন পালিত হচ্ছে বৈশাখ। কোথাও বসেছে মেলা, কোথাও বা আয়োজন চলছে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555240908102.jpg

 

চট্টগ্রাম
মঙ্গল শোভাযাত্রা, চিরায়ত বৈশাখী মেলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে বাংলা ১৪২৬ সালকে বরণ করছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষ। রোববার সকাল সাড়ে ৯ টায় নগরীর সার্কিট হাউজ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

ডিসি হিলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা আয়োজন করেছে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জিমনেশিয়াম মাঠে এবং সিআরবি শিরিষ তলায় চলছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ঢোলক বাদন, গান, আবৃত্তি, নৃত্য, নাটক, কবিগান, লালনগীতি, মাইজভান্ডারী ও মরমী গান, উপজাতীয় শিল্পীদের পরিবেশনা,সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় দলীয় সঙ্গীত, বৃন্দ আবৃত্তি, কবিতা পাঠ, সম্মাননা প্রদান এবং বৈশাখী মেলা।

ডিসি হিলের আশপাশে এক কিলোমিটার এলাকায় বসেছে চিরায়ত বৈশাখী মেলা। নজরুল স্কয়ারকে ঘিরে লাখো মানুষের ঢল। সকাল ১০ টায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের বর্ষবরণ ও বিদায় উপলক্ষে মঙ্গলশোভাযাত্রা বের হয়।

রংপুর

সারাদেশের মতো রংপুরেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণের আয়োজন চলছে। নববর্ষ উদযাপনে বাঙালি সংস্কৃতির রঙে ঢঙে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে উত্তরের প্রাচীণতম জেলা রংপুর।

সকালের সূর্যের আলো চারদিক ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাক-ঢোলের আওয়াজে প্রকম্পিত হয়ে উঠে নগরীর আশপাশ। পহেলা বৈশাখের ডাকে ছড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে রুখে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির বার্তায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার।

সকাল ১১টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

এছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক আনন্দ র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রংপুর মহানগরী থেকে একটু দূরের গ্রামগঞ্জে চলছে নাগর দোলা, পুতুল নাচ, লাঠি খেলা, পাতা খেলা, হা-ডু-ডু, ঘুড়ি উৎসবসহ বৈচিত্রময় সব আয়োজন। আবার কোথাও বসেছে বৈশাখী মেলা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555244652334.jpg

গোপালগঞ্জ

সারাদেশের ন্যায় পহেলা বৈশাখ উদযাপনে আনন্দ উচ্ছাসে মেতে ওঠে গোপালগঞ্জবাসী। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে গোপালগঞ্জে সকালে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। জেলা প্রশাসন, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উদীচী,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ত্রিবেনী একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাক ঢোল, বিভিন্ন রং-বেরংয়ের ব্যানার ফেস্টুন, গ্রামীন নানা উপকরন নিয়ে এবং মেয়েরা গ্রামীন সাজে সেজে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে এবং জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলিতে আলাদাভাবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পালন করে।

খুলনা

পহেলা বৈশাখে ভোরের প্রথম আলো ফুটতেই খুলনায় শুরু হয় বৈশাখ আবাহন, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা ও লোকজ সাংস্কৃতিক বিভিন্ন আয়োজন। হরেক সাজে সেজে আনন্দ-উৎসবে মেতেছে সবাই। নেচে-গেয়ে, রং লাগিয়ে একে অন্যের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করছে খুলনাবাসী।

প্রতিবছরের ন্যায় ভোরের সূর্যোদয়ের পর পরই উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী খুলনা জজকোর্টের সামনের সড়কে এসা হে বৈশাখ গানের মাধ্যমে খুলনার প্রথম বৈশাখী উৎসব শুরু করে।

খুলনা জেলা প্রশাসনের অয়োজনে বৈশাখী গানের আয়োজন হয় নগরীর বিভাগীয় জাদুঘরের বকুল তলায়। নানা রংয়ের ফেস্টুন, ঘোড়া, দোয়েলসহ বর্ণিল সাজের সাথে বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাসহ শোভাযাত্রাটি যখন কেডিএ এভিনিউ অতিক্রম করছিলো তখন আশপাশের মানুষ হাত নেড়ে অভিনন্দন জানায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555242138889.jpg

মেহেরপুর

মাথাল মাথায় চাষী, জাল ঘাড়ে নিয়ে জেলে, কামার, কুমার আর ঋষি সবাই যেন একই সুতোয় গাঁথা। ঐক্যবদ্ধ যাত্রার মধ্য দিয়ে জানান দিলেন আমরা সবাই বাঙালি। আবহমান বাংলার এমনই চিরায়ত দৃশ্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর জেলা জুড়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ষ বরণ করা হয়।

নড়াইল

আজকের দিনে সবশ্রেণির মানুষ যেরুপে সেজেছে তার মতো রঙিন সাজে নড়াইলকে সাজাতে চান সকলে। নিজ জেলাকে গড়তে চান স্বয়ং সম্পূর্ণ জেলা হিসেবে।  নববর্ষের এই দিনে কাধে কাধ মিলিয়ে নড়াইলকে একটি মডেল জেলা হিসাবে গড়ে তুলব। দুর্নীতি, মাদক, বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানিকে না বলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নড়াইলবাসী। নববর্ষ উপলক্ষে ছয়দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

রাঙামাটি

মঙ্গল শোভাযাত্রার  মধ্য দিয়ে নববর্ষকে-১৪২৬ বরণ করলো রাঙামাটিবাসী। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বাংলা নববর্ষকে পালন করে সর্বস্তরের জনসাধারণ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙামাটিতে দিনব্যাপী কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজন করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555243079408.jpg

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ ১৪২৬ উদযাপিত হয়েছে। রোববার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা বের হয়।  পরে বের হয় আনন্দ র‌্যালি। র‌্যালিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা ঐহিত্যবাহী পোশাক পড়ে অংশ নেয়। এর আগে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় পান্তা ভাতের আয়োজন করা হয়।

ফরিদপুর

দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ সালকে বরণ করছে ফরিদপুরবাসী। এ উপলক্ষে রবিবার সকালে ফরিদপুর শহরের কোর্ট চত্বরে বর্ষবরণের আয়োজন করে ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতিক উন্নয়ন সংস্থা। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়র খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বণার্ঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে বাংলার ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খেলা হা ডু ডু, লাঠি খেলা ও সাপ খেলাসহ বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও জেলার প্রতিটি উপজেলায় একযোগে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555243465294.jpgময়মনসিংহ

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনে মঙ্গল শোভাযাত্রা নেমেছে মানুষের ঢল। আনন্দ র‌্যালির সব পথ এসে মিলেছে ব্রক্ষপুত্র নদঘেষা জয়নুল উদ্যান বা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে। 

সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও সুখি-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে নতুন আশায় পথচলার অঙ্গীকার করেছেন সবাই। এজন্যই বিগত বছরের জীর্ণ মালিন্যকে পেছনে ফেলে নতুনকে বরণ করে নিয়েছে ময়মনসিংহবাসী। বাঙালির চিরায়ত উৎসবের দিন পহেলা বৈশাখে আজ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে হালখাতা। মিষ্টিমুখ করানো হচ্ছে ক্রেতাদের।

সিরাজগঞ্জ

‘বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনের বাঙালি, মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব পালিত হচ্ছে।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাংলা বর্ষবরণ পহেলা বৈশাখ পালিত হচ্ছে। কুষ্টিয়া পৌরসভার আয়োজনে আজ রোববার ভোর ৬টার দিকে পৌর পুকুরে প্রদীপ নৌকা ভাসিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র আনোয়ার আলী।  মঙ্গল শোভাযাত্রা,  আনন্দ র‌্যালি  আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নৃত্য সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে পুরো জেলায় পালন করা হয় বাংলা নববর্ষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555242072521.jpg

বগুড়া

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বগুড়ায় পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। বছরের নতুন দিনকে বরণ করে নিতে মঙ্গলপত্র পাঠ, পুতুল নাচ, লাঠিখেলা, লোকগীতি, পালাগান, মাছ কাটার গান, লালনগীতি, পান্তা  উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

‘বাংলার মুখ’ এর ব্যবস্থাপনায় শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন থাকছে বর্ণীল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, মোটরসাইকেল খেলা, লাঠিখেলা, সাপখেলা, পাতাখেলা, বানরখেলা, মোরগ লড়াই।

 একইভাবে রাজশাহী, লালমনিরহাট, নওগাঁ, ভোলা, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেটসহ সব জেলা উপজেলা শহরে নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় সর্বস্তরের মানুষ।

   

খুলনায় ১২টি স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে কেএমপি’র লবণচরা থানা পুলিশ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এক বাস তল্লাশি করে এই স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে লবণচরা থানার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টুংগীপাড়া এক্সপ্রেসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৯০৩৩) একজন ব্যক্তি সন্দেহজনক কোন বস্তু বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। বাসটি জিরোপয়েন্ট মোড়স্থ খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে রূপকথা রেষ্টুরেষ্টের সামনে আসলে বাসটি তল্লাশি করা হয়।

টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহন থামিয়ে কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) গোপীনাথ কানজিলাল; লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক এবং এসআই (নি:) প্রদীপ বৈদ্য সহ সঙ্গীয় ফোর্স, স্থানীয় জনগণ এবং সাংবাদিকের সম্মুখে

যাত্রীদের তল্লাশি করাকালে স্বর্ণ চোরা চালানকারী সাতক্ষীরা’র দেবহাটা থানার শাখরা কমলপুর এলাকার মোঃ আলম গাজীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৮) কে জুতার (লোফার) ভিতরে সুকৌশলে সাজিয়ে রাখা ১২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার প্রতিটি স্বর্ণের বারের ওজন ১১৬ দশমিক ৬৫ গ্রাম প্রায় ও সর্বমোট ওজন ১৩৯৯ দশমিক ৭৪ গ্রাম। যার সর্বমোট মূল্য অনুমান ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৩০৩ টাকা।

পুলিশ আরো জানায়, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে স্বর্ণের বার বাসযোগে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেখান থেকে স্বর্ণ সাতক্ষীরা বর্ডার অঞ্চল দিয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উল্লেখিত স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত আছে এবং কোথা থেকে স্বর্ণগুলো আনা হয়েছে ও কোথায় পৌঁছে দিবে সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

;

উপজেলা ভোট

তৃতীয় ধাপেও আপিল নিষ্পত্তি করবেন ডিসিরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটেও প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশন থেকে আপিল শুনানি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে। আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

তৃতীয় ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে।

;

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে: মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রজন্ম ’৭০ বাংলাদেশের প্রজন্ম সম্মেলন ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র এগারো দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। ’৭০’র সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন, চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। শুরু হয় হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে আজ তিনি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে।

প্রজন্ম ৭০ বাংলাদেশ-এর সভাপতি আশরাফুল করিম ভূঁইয়া সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন খান, বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ফসিহ উদ্দিন মাহতাব, সদস্য সচিব এস এম মাহাবুবুর রহমান, আলোক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন বক্তৃতা করেন।

;

বরিশালে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য। ঘটনাটি নগরীর রূপাতলী গ্যাস্টারবাইন পুলিশ বাড়ি সড়ক এলাকার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তানিয়া আক্তার। তিনি এ সময় দাবি করেন, তার প্রতিবেশী রিয়াজ ফরাজী ও বিএমপি’র (বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ) ওয়্যারলেস অপারেটর এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তার অনেকদিন ধরে একটি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।

এ ঘটনায় তিনি বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (এমপি নং ১৪৪)। পরে আদালত অভিযুক্ত রিয়াজ ফরাজী, আমিনুল ইসলাম, শহিদ ফরাজীকে ১৪৪/১৪৫ জারি অনুযায়ী, তাদের প্রতি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ জারি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া আক্তার আরো অভিযোগ করেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে এসআই মাইনুল তার লিখিত মতামত বাদী পক্ষের হয়ে কোর্টে জমা দেন। সে প্রেক্ষিতে আদালত ১৮৮ ধারা জারি করেন। ওই জমিতে কিছুদিন পর দালান নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপরে রিয়াজ ও তার দুলাভাই এএসআই আমিনুল ইসলাম ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলরের কাছে যান। তারা জমি মেপে যে সিদ্ধান্ত দেন, তা আমরা মানলেও তারা মানেননি।

পরে রিয়াজ ও তার দুলাভাই এএসআই আমিনুল ইসলাম তানিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের অ্যাডভোকেট ও আমিন দিয়ে সরেজমিন মাপজোখ করেন এবং প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্ত দেয় থানা পুলিশ।

সে সিদ্ধান্তও তিনি মেনে নিলেও তার প্রতিপক্ষ মেনে না নিয়ে উল্টো তানিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করে। তারা তানিয়াকে ধরতে না পেরে অন্তঃসত্তা ছোট বোন মুনিয়াকে বেধড়ক মারধর করে ফের তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

তানিয়া অভিযোগে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মামলাটি দায়ের করা হয়’। এটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা বলে দাবি করেন তানিয়া আক্তার। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করতে চাইলে শারীরিকভাবে অসুস্থ দাবি করে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

;