সংস্কৃতি বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে দেশের নদীগুলো বাঁচাতে হবে।’
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) শিল্পকলা একাডেমিতে ইরান কালচারাল সেন্টার আয়োজিত ইরানি নওরোয (নববর্ষ) ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু ইট পাথর দিয়ে ঘেরা হয়ে গেলে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি দুর্বল হয়ে যাবে। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলে প্রকৃতি বাঁচাতে হবে। নদী বাঁচাতে হবে। আমাদের গ্রামগুলো বাঁচাতে হবে।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে এসেছেন। উন্নত দেশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। দেশ ও প্রকৃতি কীভাবে রক্ষা হবে তার জন্য তিনি ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন। নদী রক্ষার কথা তিনি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। আমরা মনে করি, এ দেশের সংস্কৃতি রক্ষা করতে হলে দেশের নদীগুলো রক্ষা করতে হবে’, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সেটাকে মেলে ধরার জন্য, রক্ষা করার জন্য, এরই মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আপনারা যারা ঢাকার মানুষ; তারা দেখেছেন, আমরা বড় একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। ঢাকার নদীগুলো দখল করা হয়েছিল, তার নাব্যতা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল; নদী দূষিত হয়েছিল। আমরা পাঁচ, তিন ও দুই বছর মেয়াদের পরিকল্পনা করেছি। আমরা বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগকে পুরনো আবহে ফিরিয়ে আনবো।’
নদীর তীর উচ্ছেদে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘জনসমর্থন ছাড়া কোনো কাজ হয় না। মুক্তিযুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছিলাম, সেটা জনযুদ্ধ ছিল বলে। জনগণের আকুণ্ঠ সমর্থন ছিল বলেই আমরা জয়ী হয়েছি। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রকৃতি রক্ষা করা; বাংলাদেশের নদীগুলো রক্ষা করা। সেখানে সবাই সহযোগিতা করবেন। নতুন বছরে আপনাদের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অতিথি অধ্যাপক ড. কাযেম কাহদুয়ী, বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক অভিনেতা মামুনুর রশীদ এবং ইরান কালচারাল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলর মেহেদী হাসান।