বৈশাখে পান্তা থাকলেও ইলিশ নেই



আবদুস সাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম: পান্তা ও ইলিশের ঐতিহ্য বহু বছরের। বাঙালির বৈশাখ মানে পান্তা-ইলিশের আয়োজন। কালের আবর্তে ধীরে ধীরে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই পান্তা-ইলিশ। কারণ গ্রাম বাংলার প্রত্যেকের ঘরে পান্তা থাকলেও বাজারে ইলিশ নেই। সাগর থেকে জেলেরা ফিরছেন ইলিশ ছাড়া। এখন আর সেভাবে ধরা পড়ছে না ইলিশ মাছ।

চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটের সোনালি যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইলিশ জালে ধরা পড়ছে না। এক সময় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তো, এখন সাগর থেকে ইলিশশূন্য হয়ে ফিরছেন জেলেরা। তাছাড়া অন্য মাছের সাথে সামান্য পরিমাণে ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম অনেক চড়া। দুই থেকে তিন হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিসার মুমিনুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বছরের নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত জাটকা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বর্তমানে সাগরে জাটকা বড় হচ্ছে। তাই এ সময়ে জাটকা ইলিশ আহরণ ও বিপণন করলে মৎস্য আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ হবে। জাটকা ইলিশ দিয়ে বর্ষবরণের দিন পান্তা ভাত না খাওয়াই ভালো।

বাঙালির প্রিয় সামুদ্রিক ইলিশ নদীতে ডিম দেওয়ার পর বেড়ে ওঠার সময় হচ্ছে নভেম্বর থেকে মে মাস। এ সময়ে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, পটুয়াখালী ও শরীয়তপুর। তাই এসব জেলায় এই সময়ে মাছ ধরা নিষেধ থাকে।

কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই আবার ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখ। আর তাই এ সময়ে নয় ইঞ্চির চেয়ে ছোট ইলিশ আহরণ ও বিক্রি মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় নিষিদ্ধ করলেও, বন্ধ নেই জাটকা নিধন। বাজারে জাটকা প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।

তবে ইলিশ দুষ্প্রাপ্য। যে কয়টি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো দাম অত্যধিক। তাই দিয়েই নববর্ষের পান্তা-ইলিশ আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ‘দেশে খাদ্যের অন্যতম জোগানদাতা গ্রামের কৃষক ও খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ। সাধারণত রাতের খাবার শেষে অবশিষ্ট ভাত সংরক্ষণের জন্য পানি দিয়ে রাখা হয়। পানি দিয়ে সংরক্ষিত এই খাবারই মূলত পান্তা ভাত। কৃষকরা মাঠে কাজ করার সময় এ পান্তা ভাত খায়। দরিদ্রদের এই পান্তা খাওয়া কিন্তু কোনো শখের বিষয় নয়। গ্রামের মানুষ পান্তা ভাত খায় লবণ ও মরিচ মাখিয়ে। হাতের নাগালে পাওয়া যেত বলে বিশেষ দিনে পান্তা ভাতের সাথে ইলিশের আয়োজন থাকতো। এখন ইলিশ না থাকায় মেহনতি মানুষের সেই রেওয়াজ নেই।’

নববর্ষের পান্তা-ইলিশ আয়োজনের সুযোগে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ইলিশের গলাকাটা দাম নিচ্ছে অভিযোগ করে মৎস্য বিশেষজ্ঞ ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, পান্তা-ইলিশ খেয়ে আমরা এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের ইলিশের দাম বাড়ানোর সুযোগ করে দিচ্ছি। এদেশে কোনো জিনিসের দাম একবার বেড়ে গেলে তা আর কমানো যায় না। শুধু বাড়তে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রথম এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় দফায় ইলিশের প্রজনন মৌসুম। দেশের অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে বর্তমানে জাটকা ইলিশ বিচরণ করছে। এ সময়ে ইলিশ খাওয়ার ধুমের কারণে অসাধু জেলেরা ব্যাপকহারে জাটকা ইলিশ আহরণ করছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ইলিশের বংশবৃদ্ধি।’

গবেষণায় দেখা গেছে, নির্বিচারে আহরণের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ নদী থেকে ধীরে ধীরে ইলিশের পরিমাণ আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে, ইলিশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারত ও মিয়ানমারে। দেশের ইলিশের জন্য এটি একটি অশনি সংকেত। ইলিশ অভিপ্রায়নকারী মাছ। একবার এদের প্রজনন ক্ষেত্র পরিবর্তন করলে এটা বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইলিশকে বাঁচানোর লক্ষ্য পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়াও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

   

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। এই সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল খোলা রেখেছেন শাহ আলী থানার এডভান্স চাইল্ড কেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিকদার মিরাজুল। তিনি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করছেন।

তীব্র গরমের মধ্যেও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গেলে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক মিরাজুল।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে অনেকটা জোর করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে বাধ্য করছেন প্রধান শিক্ষক।

এমনকি শিক্ষার্থীদের কেউ স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এই হুমকির মুখে তারা স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শাহ আলী থানার রাইন খোলা শাখার সকল শিক্ষক উপস্থিত। প্রধান শিক্ষক কাজে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। কয়েকজন শিক্ষক জানান তারা প্রতিবাদও জানিয়েছেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক কিছুতেই সরকারি নির্দেশনা মানছেন না।

বরং প্রধান শিক্ষক বলছেন, সকল সরকারি নিয়ম মেনে চললে প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না। তীব্র তাপদাহ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক সাধারণ শিক্ষকদের আশ্বস্ত করতে বলেন, এটা সরকারের একটা পলিসি।

সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক মিরাজুল ইসলামকে স্কুল খোলা রাখার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এত খারাপ কেন। আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখি আর খোলা রাখি সেটা আমার ব্যাপার । সরকারের সব সিদ্ধান্ত মেনে আমার স্কুল চালাতে পারবো না।

এ বিষয়ে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রাবেয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে অনেক অভিযোগ এসেছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতী হরিসভা খানপাড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মমতা বেগম (৪০) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় পাটগ্রাম উপজেলার খানপাড়া হরিসভা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধবলসুতী বাসিন্দার মৃত বদির উদ্দিনের মেয়ে নিহত মমতা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। কানে না শোনার কারণে রেল লাইনে হাঁটার সময় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পাশে থাকা স্থানীয় লোকজন গিয়ে মমতার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ও পাটগ্রাম থানায় খবর দেন।

স্থানীয়রা জানান, মমতা ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে তার বড় ভগ্নিপতির বাড়িতে থাকতেন।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে মমতা বেগম নামে একজনের মৃত্যু খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

;

ফেনীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় দেশের মানুষ। ফেনীতে তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টি কামনায় সালাতুল ইস্তিসকারের বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ পড়ে মোনাজাতে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর নিকট বৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে এ নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশত মুসল্লি অংশ নেন। নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন মাদরাসার শিক্ষক ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান।

নামাজের আগে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নেতারা। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নামাজে আগত মুসল্লিরা বলেন, তীব্র খরতাপে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে দিন পার করছে। গরমের তীব্রতায় ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। সেজন্য আল্লাহর রহমতের আশায় নামাজ আদায় করে বৃষ্টি প্রার্থনা করতে সকলে সমবেত হয়েছে।

বক্তব্যে মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, টানা দাবদাহে মানুষ খুব কষ্টে আছে। আল্লাহ বৃষ্টির জন্য সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। সেজন্যই সবাই একত্রিত হয়ে সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করেছি।

শহর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইলিয়াছের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে আমির এ কে এম সামসুদ্দিন এবং নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউছুপ।

;

বাস উঠল রেললাইনে, পুলিশের চেষ্টায় রক্ষা পেল হাজারো যাত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনে উঠে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে এমন ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনের উপরে উঠে যায়। এ সময় মধ্যরাতে মহাসড়কে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে ছেড়েছে। একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনে থাকা যাত্রী সবুজ আহমেদ ও হৃদয় ইসলামসহ অনেকেই জানান, হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় থেমে যায়। পরে জানতে পারি এখাকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে। ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে যেকোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। 

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষ বাসটি রেললাইন উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ কন্টোলরুম বা রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চমগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে দাঁড় করানো হয়। এতে করে ট্রেনের হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।

এসআই টিটু আরও জানান, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতু পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।

;