প্রশাসক টিটুতেই আস্থা প্রধানমন্ত্রীর, উদ্বেলিত ময়মনসিংহবাসী



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ময়মনসিংহ, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ইকরামুল হক টিটু।  ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ইকরামুল হক টিটু। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে তার সমকক্ষ কেউ নেই। কী আওয়ামী লীগ বা অন্য দলে। দলমত নির্বিশেষে তিনি সবার আপনজন, প্রাণভোমরা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও জানতেন সেই কথা। ফলে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তার প্রতিই পূর্ণ আস্থা রাখলেন তিনি।

ইকরামুল হক টিটুকেই তিনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিলেন। প্রতিফলন ঘটালেন গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার। ফলে স্বভাবতই উচ্ছ্বাস-আনন্দে কাঁপছে সংস্কৃতির নগরী ময়মনসিংহ। এই উচ্ছ্বাস ইকরামুল হক টিটুর মনোনয়ন পাওয়ার খবরে।

এমন খবরটির জন্যই এতো দীর্ঘ সময় ছিল অপেক্ষা। অবশেষে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক নিয়ে এখন ভোটের মাঠ কাঁপাতে জোর প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন ইকরামুল হক টিটু। রাজধানী ঢাকা থেকে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপে অশেষ কৃতজ্ঞতা উচ্চারণ করলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। প্রধানমন্ত্রীই টিটুকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছিলেন। 

ইকরামুল হক টিটু বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মমতাময়ী নেত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অতীতের মতো সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। আমি সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।'

এর আগে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সংসদের সভায় ইকরামুল হক টিটুকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

গত ২৫ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ মে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৮ এপ্রিল।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থিতা নির্ধারণের মধ্য দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। ভোটের আগে জন প্রত্যাশিত ও দলীয় নেতা-কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে ইকরামুল হক টিটুকে বাছাই করায় আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে নগরীতে। হচ্ছে আনন্দ মিছিল-সমাবেশ ও মিষ্টি বিতরণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা।

বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, 'সিদ্ধান্ত গ্রহণে বরাবরই তুলনাহীন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তৃণমূলের স্পন্দন অনুভব করেন। তার এই ঐতিহাসিক মূল্যায়নে ময়মনসিংহবাসী অভিভূত। ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমেই নেত্রীকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটি উপহার দেওয়া হবে।'

ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। ভবিষ্যতে ময়মনসিংহকে মডেল সিটি করপোরেশন হিসেবে রূপান্তর করতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর বিকল্প নেই। নেত্রীর কাছে আমাদের রক্তঋণ।'

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত সাড়ে ৯ বছর পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন ময়মনসিংহ নগরীতে পরিকল্পিত উন্নয়ন, দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের সেতুবন্ধন রচনা করা, তাদের মূল্যায়ন করা, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগসহ নানা কারণেই ক্ষমতাসীনদের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন ইকরামুল হক টিটু। তিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগেরও সহ-সভাপতি।

ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে সাড়ে ৯ বছর সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর তার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট ও পূর্ণ আস্থা রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সিটি করপোরেশনের ‘প্রথম প্রশাসক’ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে চমক সৃষ্টি করেন।

মূলত দায়িত্ববোধসহ অভিজ্ঞতার ক্রাইটেরিয়াতেও সবার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন মেয়র টিটু।

   

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, যুবক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের লাল মিয়া মাঝি বাড়ি থেকে নুরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৮ িনম্বর ওয়ার্ডের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে ভিকটিম মোবাইল ঠিক করতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আরডি শপিং মলে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নিজেকে মোবাইল মেকানিক পরিচয় দিয়ে গৃহবধূর মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোনের গ্যালারি থেকে ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম সম্মানহানির ভয়ে ও তার সংসার টিকানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এতে সে সন্তুষ্ট না হয়ে বাকি আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে টিকটক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা টিকটিক আইডি সংরক্ষিত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;