ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস আজ



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ৪ এপ্রিল, ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ম্যানেজার বাংলোয়  ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন ২৭ সেনাকর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বৈঠকে, প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেডে।

ওই দিনের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী, তৎকালীন মেজর সিআর দত্ত, মেজর জিয়াউর রহমান, কর্নেল এমএ রব, রব্বানী, ক্যাপ্টেন নাসিম, আব্দুল মতিন, মেজর খালেদ মোশাররফ, কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী, ভারতের ব্রিগেডিয়ার শুভ্র মানিয়ম, এমপিএ মৌলানা আসাদ আলী, লে.সৈয়দ ইব্রাহীম, মেজর কেএম শফিউল্লাহ প্রমুখ।

এখান থেকে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা ছাড়াও তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে উঠে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীসহ কয়েকটি সেক্টরের কমান্ডাররা বিভিন্ন সময়ে তেলিয়াপাড়া সফর করেন।

ম্যানেজার বাংলোসহ পাশ্ববর্তী এলাকা ছিল মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সেনানায়কদের পদচারণায় মুখরিত। ১৯৭১ সালের ২১ জুনের পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের কারণে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপিত সেক্টর হেড কোয়ার্টার তুলে নেয়া হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিজড়িত তেলিয়াপাড়া চা বাগান স্মৃতিসৌধ এলাকা বর্তমান সময়ে আকর্ষণীয় পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন বুলেট আকৃতির স্মৃতিসৌধ, ম্যানেজার বাংলো ও চা বাগানের সৌন্দর্য অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/04/1554332080264.jpg

তবে আক্ষেপের বিষয় হলো, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও ঐতিহাসিক এ স্থানটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। অথচ এই স্থানটিকে সংরক্ষণ করে একটি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর নির্মাণ করলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এ বিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোহাম্মদ আলী পাঠান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ি সদরদপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অন্যতম প্রধান স্বাক্ষী তেলিয়াপাড়া ম্যানেজার বাংলো। মুক্তিযুদ্ধের এ স্মৃতিচিহ্নকে সংরক্ষণের জন্য আমরা অনেক কথা বলছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি’।

অনুযোগের সুরে তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের মে মাসের ৭ তারিখে তেলিয়াপাড়াতে একটি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রিয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মুর্শেদ খান বীর বিক্রম এই তেলিয়াপাড়াকে ভবিষ্যত প্রজন্মের উপস্থাপনের জন্য সেখানে একটি মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষনা দিয়ে ছিলেন। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য একটি মহা পরিকল্পনা করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় এ কমপ্লেক্সটি করার জন্য এলজিইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সে অনুসারে পরিকল্পনা করা হলেও পরবর্তিতে ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) বোর্ড অব ডাইরেক্টরির সিদ্ধান্ত নেয় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ নষ্ট হবে। এমন অজুহাতের মুখে আজ পর্যন্ত এ প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি’।

তিনি আরো বলেন, ‘সমগ্র দেশবাসীর কাছে তেলিয়াপাড়া একটি ঐতিহাসিক স্থান। আমাদের প্রাণের দাবী, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে ম্যানেজার বাংলোকে যাদুঘর ঘোষণা করা হোক। আমরা এখনও আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্য সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর। ফলে ঐতিহাসিক এই স্থানটিকেও সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তিনি’।

   

বিসিএস পরীক্ষা উপলক্ষে আরএমপি’র নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন কর্তৃক আয়োজিত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট পরীক্ষা রাজশাহী মহানগরীর ২৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ পরীক্ষা  অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আরএমপির এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

আদেশে পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের চতুর্দিকে ২০০ (দুই শত) গজের মধ্যে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, বিক্ষোভ প্রদর্শন, মাইকিং, বিস্ফোরকদ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হলো- রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বরেন্দ্র কলেজ, শাহ্ মখদুম কলেজ, শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ, অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কলেজ, শহীদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান সরকারী ডিগ্রী কলেজ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কোর্ট কলেজ, মাদার বখশ্ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, ক্যান্টমেন্ট বোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ, হাজী জমির উদ্দিন শাফিনা মহিলা কলেজ, কলেজিয়েট স্কুল, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী প্রমথনাথ (পি.এন) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গভ: ল্যাবরেটরী হাইস্কুল, শহীদ নজমুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ মিশন একাডেমী, লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কোর্ট একাডেমী এবং নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়।

;

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তিন বছরের জন্য তাকে নিয়োগের বিষয়ে জানানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিন বছরের জন্য এই নিয়োগ দেয়া হলো।’

বর্তমান চেয়ারম্যান নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ। তিনি ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম দফায় দুই বছরের জন্য সিডিএ চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর আবারও তার নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানো হলে তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এর আগে ছয় দফায় টানা ১০ বছর সিডিএ চেয়ারম্যান ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। যিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য।

;

সমন্বিত প্রচেষ্টায় শব্দদূষণ হ্রাসে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমন্বিত প্রচেষ্টায় শব্দদূষণ হ্রাসে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক। উচ্চমাত্রার শব্দদূষণে কানে কম শোনা থেকে শুরু করে স্থায়ীভাবে বধির হচ্ছে মানুষ।

এই ক্ষতির প্রভাব পাখির প্রজননের ওপরও পড়ছে। শব্দের উৎস চিহ্নিত করে শব্দদূষণ হ্রাসে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক সভা থেকে শুরু করে বিয়ে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পিকনিক সব ক্ষেত্রে এর কান ফাটানো শব্দ চলে। তবে আইনে শর্ত সাপেক্ষে এর অনুমতিও রয়েছে। তবে তার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত শব্দদূষণের মাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবল। সেই লক্ষ্যে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শব্দদূষণের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় শব্দদূষণ সহনীয় পর্যায় নেমে আসবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মুহা. আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশন) মো. মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুব্রত ঘোষ, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান, রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ।

এর আগে, পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ‘প্রটেক্ট ইয়োর ইয়ার, প্রটেক্ট ইয়োর হেলথ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। পরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় বক্তারা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবার সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বলেন, আমাদের সঠিক অনুধাবনের অভাবে দিন দিন পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অনেক পরিবেশবাদী বাংলাদেশের শব্দদূষণের বর্তমান পর্যায়কে ‘শব্দ-সন্ত্রাস’ নামে অভিহিত করেছেন।

শব্দদূষণের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন, রাজশাহী পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীন। তিনি জানান, রাজশাহী পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মোট ১৭টি অভিযান পরিচালনা করে ৪২ জন গাড়িচালককে ৩৩ হাজার ৯শ টাকা জরিমানা এবং ৮০টি হাইড্রোলিক হর্ন ধ্বংস করা হয়েছে।

এছাড়াও শব্দদূষণ রোধে করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ২শ শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজের ১শ ৮০ জন শিক্ষার্থী এবং ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ১শ ১ জন ইমামদের নিয়ে শব্দদূষণ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।

এছাড়াও টিটিসিতে প্রায় ১শ ৬০ জন মোটর পরিবহন শ্রমিকদের ও ৫৫ জন সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে।

 

;

ডিএনসিসির সঙ্গে চীনের আনহুই প্রদেশের সমঝোতা স্মারক সই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং চীনের আনহুই প্রদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) গুলশান ডিএনসিসি নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ডিএনসিসি'র সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এবং আনহুই প্রদেশের ফরেন অ্যাফেয়ারস বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইয়াং জায়োলিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। আজকের এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। এই চুক্তির ফলে দুই শহর একে অপরকে অর্থনৈতিক ও কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় ও সহযোগিতা করবে। দুই সিটির উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে যে কোনো ধরণের সহযোগিতা করতে পারবে আনহুই প্রদেশ। অন্য দিকে ডিএনসিসির উত্তম কার্যক্রমগুলোও শেয়ার করতে পারবে।'

মেয়র বলেন, 'চীন দূতাবাসের সাথে ডিএনসিসি দীর্ঘদিন ধরে যৌথভাবে কাজ করছে। গত বছর চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় বনানী কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী নারীদের মাঝে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। গত রমজান মাসেও চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় মিরপুর ভাসানটেক বস্তিতে এক হাজার পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ডিএনসিসি'র বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও বাস্তবায়ন করছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। আজকের এই নতুন চুক্তিতে ডিএনসিসি'র সাথে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।'

এ সময় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি'র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

;