সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই: দীপু মনি
সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, ‘সকল ধর্মই শান্তির কথা বলে, মানবপ্রেমের কথা বলে। কোনো ধর্মে সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই মুসলিম কিন্তু সবাই সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করে।’
রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ইউএনডিপি আয়োজিত ‘এডুকেশন টুওয়ার্ড পিসফুল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সোসাইটিস: দ্য রোল অব রিলেজিয়ন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘ইসলাম ধর্মে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। যদিও বতর্মান বিশ্বে মুসলিমদের একটি অংশকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করা হচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রীস হামলার ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের আমি শুধু বলব, এরা সন্ত্রাসী। আমি বলব, ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্মের হয়ে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তাদের কোনো ধর্ম নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানিরা ১৯৭১ সালে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, অথচ তারাও মুসলিম। ওই সময় তারা বলে আসছিল, তারা হিন্দুদের মারছে। কিন্তু এই অংশের অধিকাংশ মুসলিম ছিল। যারা দেশের ভাষা-সংস্কৃতিকে বিশ্বাস করে। একজন মুসলিম কখনো আরেকজন মুসলিমকে হত্যা করতে পারে না।’
দেশ স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে সাংবিধানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
দিপু মনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মের স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে কারও ওপর হস্তক্ষেপ করা হয় না। সকলের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আছে।’
এ সময় সৃজনশীল সাংস্কৃতিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা কথাও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডামা ডিয়েং, জাতিসংঘের আবাসন সমন্বয়ক মিয়া সেপ্প, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম আফজাল, নর্থ সাউর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আতিক ইসলাম।