নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ‘একপেশে’: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন 'একপেশে' বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের মানবাধিকার পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
গত ১৩ মার্চ ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
এতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অভাবনীয় রকম একপেশে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। নানা অনিয়মে ভরা ঐ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি।’
নির্বাচনী অনিয়ম ছাড়াও গত বছর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, উদ্দেশ্যমূলক আটক, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা, রাজনৈতিক কর্মীদের বন্দী, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে মার্কিন প্রতিবেদনে।
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), অধিকারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, তাদের তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। ঐ প্রতিষ্ঠানগুলো মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। তাদের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন করলে তা একপেশেই হবে। আমরা এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করছি।’
গত জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও প্রচারণায় ছিল না। অনেক জায়গায় পোস্টার লাগায়নি, প্রার্থীদেরও দেখা যায়নি।’
‘বিএনপি প্রথম দিকে ৩০০ আসনে ৮০০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিল যেটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন দেওয়ার ইতিহাসে রেকর্ড এবং এটি করতে গিয়ে যে মনোনয়ন বাণিজ্যের কথা জেনেছি-শুনেছি এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনিভিপ্রেত, এ বিষয়গুলো এ রিপোর্টের মধ্যে আসেনি।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ভালো উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রায় ২৩ লাখ লোক কারাগারে আছে।’