সম্পত্তি দখলের পায়তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের

নাটুবাবুর জমিদার বাড়ি



সিদ্দিকুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল, বার্তা২৪.কম
বরিশালের এই জমিদার বাড়িটি মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল, ছবি: বার্তা২৪

বরিশালের এই জমিদার বাড়িটি মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের বাকেরগঞ্জের কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরীর (নাটুবাবু) জমিদার বাড়িটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত। তবে এই বাড়ি ও সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছে স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের সহযোগীরা।

সম্প্রতি এ ঘটনায় স্থানীয় বাকেরগঞ্জ থানায় জিডি করেছেন নাটুবাবুর ছোট ছেলে লন্ডন প্রবাসী বিপ্লব বহ্নি রায় চৌধুরী। জিডি নং ২৫২/১৯। একই সাথে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, জিডিতে স্থানীয় শান্তি কমিটির সহযোগী মৃত কাঞ্চন মাস্টারের ছেলে নিজামুল কাদির ও মো. রফিক হাওলাদারের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের পায়তারা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও শামিম হাওলাদার, শাহিন হাওলাদারসহ অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এই কাজে জড়িত আছে বলে অভিযোগ এই জমিদার পরিবারের।

সূত্র জানায়, বাকেরগঞ্জের শ্যামপুর গ্রামে আনুমানিক ১৬ শতকের দিকে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন প্রসন্ন কুমার রায় চৌধুরী। ১৯ শতকের গোড়ার দিক পর্যন্ত এই জমিদারির ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তাদের পঞ্চম বংশধর কুমোদ বন্ধু রায় চৌধুরী (নাটুবাবু)।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/19/1552990124721.jpg

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, আজন্ম বিপ্লবী জমিদার নাটুবাবু ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর তিনি শ্যামপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘটিত করেন। এজন্য শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গড়ে তোলেন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা দেন তিনি। তাই আজও বরিশাল অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নাটুবাবুর জমিদার বাড়িটি অত্যন্ত প্রিয়।

তারা আরও জানান, দেশ স্বাধীনের মাত্র দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে স্থানীয় রাজাকার হাশেম আলী ও তার সহযোগীরা নাটুবাবুকে হত্যা করে। এরপর থেকে হারিয়ে যায় এই জমিদার বাড়িটির সোনালী ইতিহাস।

নাটবাবুর স্ত্রী ছায়া রায় চৌধুরী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘স্বামী হত্যার পর আমি বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেছিলাম। তিনি আমার স্বামী হত্যার বিচারের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এমনকি আমাদের ৪ সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্বও নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তিনিও বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারেননি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারকে হত্যা করা হয়। এরপর আবারো অন্ধকার নেমে আসে আমাদের পরিবারের ওপর।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/19/1552990142177.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে স্বাধীনতাবিরোধীরা। তারা স্থানীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর বিভিন্নভাবে আমাদের ওপর হয়রানি করা হয়, যা এখনও চলছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে পরিবারটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ভরসার জায়গা, সেই পরিবারটিই এখন টিকে থাকতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধে বাকেরগঞ্জে ভুলু বাহিনীর নেতা ও বর্তমানে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খান আলতাফ হোসেন ভুলু বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নাটুবাবুর বাড়িটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেন নাটুবাবু। ওই সময়ে নানা অত্যাচার সহ্য করলে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশ থেকে সরে যাননি তিনি।’

এ সময় তিনি সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটি সংরক্ষণ করার দাবি জানান।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী সালেহ মুস্তানজির বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ইতোমধ্যে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ওই পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কোনো স্থাপনা ও সম্পত্তি যদি কেউ দখল করার পায়তারা করে তবে তা মেনে নেয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষই উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য উপজেলা প্রশাসন সজাগ আছে।’

   

পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা, 'পাচারকারী' আটক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় মনোরউদ্দিন নামে এক যুবককে ৭০ লাখ টাকা মুল্যের ৬টি স্বর্ণের বারসহ আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। আটক পাচারকারী মনোরউদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের কদর আলীর ছেলে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে সীমান্তের পুটখালি মসজিদবাড়ী বিজিবি চেকপোষ্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে বিজিবি। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শরীরের পায়ু পথে লুকিয়ে স্বর্ণপাচারের কথা স্বীকার করলে এ স্বর্ণের বার উদ্ধার হয়।

বিজিবি জানান, গোঁপন একটি তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন পাচারকারীরা স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে। এক পর্যায়ে রাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইজিবাইক চালিয়ে সীমান্তের দিকে প্রবেশের সময় তাকে ধরা হয়। এ সময় তাকে আটক করে বেনাপোল বাজারে রজনী ক্লিনিকে শরীর স্ক্যানিং করে পায়ুপথে ছয় পিস সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং তা উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭০০ গ্রাম। এবং যার মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার সোনাসহ এক পাচারকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার সোনার চালানটি যশোর ট্রেজারিতে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

;

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করেই আজকের এই আয়োজন। আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিচ্ছি।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;

গাজীপুরে চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মনির উদ্দিনের ছেলে মো. চান মিয়ার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন। এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।

অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানখেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধান খেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহাড়া বসিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন। গ্রামবাসী গরুর চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী বড়বাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে একজনসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আরো চার-পাঁচজন গরু চোর এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে জানতে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

;

পুলিশের সোর্সকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২১ সালে পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে চাকু মেরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলমগীর (৩১) ও মো. রাজিব (২২)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) র‍্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া এলাকায় পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি আলমগীর ও রাজিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিন্নাত আলীর সঙ্গে মিলে গ্রেফতাররা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো। আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসায় যারাই বাধা সৃষ্টি করতো, তাদেরকে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতো। খিলগাঁও থানা পুলিশের সোর্স নিহত আসিফ আসামি জিন্নাত আলীর কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়।

এতে গ্রেফতার আলমগীর ও রাজিবসহ তাদের গ্রুপের অন্যান্য সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া নয়াপাড়া এলাকায় প্রধান আসামি জিন্নাত এবং তার সহযোগী গ্রেফতার আলমগীর ও রাজিবসহ আরও বেশ কয়েকজন অবস্থান নেয়।

এএসপি শামীম হোসেন আরও বলেন, এরপর তারা আসিফকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে আসে। আসিফ মেরাদিয়া নয়াপাড়াস্থ সাকিবুল হাসান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে আসামাত্র আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আলমগীর ও রাজিবসহ তার সহযোগীরা আসিফকে জাপটে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। এ সময় আসিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় আসিফকে তার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখপূর্বক ৫/৬ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এএসপি শামীম হোসেন বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান হত্যাকারী জিন্নাত আলী এবং তার এক সহযোগীকে ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর র‍্যাব-৩ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ১৬৪ ধারায় জিন্নাতের জবানবন্দিতে গ্রেফতার আলমগীর এবং রাজিব এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে।

;