মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম
দৃশ্যমান পদ্মা বহুমুখী সেতু, ছবি: সংগৃহীত

দৃশ্যমান পদ্মা বহুমুখী সেতু, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজ। মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের অগ্রগতি হলেও তা আশানুরূপ নয়।

সবশেষ গত বছরের জুনে ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্ক ফোর্সের সভায় প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছিল। অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি হয়নি। জাপানের প্যাসিফিক কনসালট্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড প্রকল্পের সার্ভে সম্পন্ন করেন।

ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্ক ফোর্সের সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী সংস্থা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ১১টি প্রকল্পের মধ্যে অধিকাংশেরই অগ্রগতি হয়েছে। কোনো কোনোটি অনেক দূর এগিয়েছে। এসব মেগা প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ীই বাস্তবায়ন হবে।

পদ্মা সেতু
জানুয়ারি পর্যন্ত মূল সেতু নির্মাণকাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬৩ শতাংশ। এছাড়া নদীশাসন কাজ হয়েছে ৫০ শতাংশ। জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ ১০০ ভাগ, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শতভাগ, মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৭৩ শতাংশ। প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৮ হাজার ৩৯ কোটি টাকা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম বলেন, এখনও আমি আশাবাদী, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করা যাবে।

পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ
প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ২৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চীন সরকারের অর্থায়নে জি টু জি পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ঠিকাদারের ডিজাইনিং চূড়ান্ত না হওয়ায় ও ভূমি জমিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ব্যয় কম হচ্ছে, বিধায় প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
দ্বিতীয় পর্যায়ে মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শুরু থেকে গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৬৫১ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। আথিক অগ্রগতি ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত দু’টি চুক্তির আওতায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। প্রকল্পটির আওতায় ১২০০ মেগাওয়াটের দুইটি ইউনিটের মাধ্যমে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রকল্পের মূল কাজ ৩৪৪টি অংশে ভাগ করে কাজ হচ্ছে।

মেট্রোরেল
ইতোমধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি ২৬ দশমিক ২০ শতাংশ। মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৬৯৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে উত্তরার উত্তরাংশ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত লাইনের নয়টি ষ্টেশন স্থাপনের কাজের ৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, মতিঝিল পর্যন্ত লাইনের সাতটি ষ্টেশন নির্মাণের কাজ মাত্র তিন শতাংশ শেষ হয়েছে।

মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল)
এ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, আর আর্থিক অগ্রগতি ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ। ইপিসি কাজ ২৭ শতাংশ হয়েছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও ভরাটের কাজ সম্পূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা, এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে তিন হাজার ৬৪৭ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা।

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র
প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ২১ দশমিক ৮০শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রকল্পের জন্য দেড় হাজার একর জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭ হাজার ৫২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর
এ বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩ হাজার ৩৫০ কোটি ৫১ লাখ টাকা খরচে একটি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও ৩৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।

এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ
এ প্রকল্পটি বিল্ড ওন অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার (বিওওটি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত বছরের ১৯ আগষ্ট টার্মিনাল অপারেশন শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে মহেশখালী-আনোয়ারা, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট এবং চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস পাইপলাইন মাধ্যমে গ্যাস দেওয়া শুরু হবে।

ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ
এ প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ২০ দশমিক ১০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের ভূমি অধিগ্রহণের বাস্তবায়নের হার ৯৮ শতাংশ ও ভৌত নির্মাণ ২২ শতাংশ। অস্থায়ী পিলার দ্বারা দোহাজারী কক্সবাজার সেকশনে রেলপথের সীমানা চিহ্নিতকরণ ৮৬ শতাংশ, পরামর্শক সেবা- সুপারভিশন ১৯ শতাংশ। আর পরামর্শক অগ্রিম ১০০ শতাংশ এবং রিসেটেলমেন্ট কার্যক্রম সম্পাদন ১০ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা ।

আরও ১১টি মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়নি। এ প্রকল্পগুলো হচ্ছে- চিটাগাং জেটি নির্মাণ প্রকল্প, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাস্তা নির্মাণ, বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প, ইকো টুরিজম পার্ক এবং ইকোনমিক জোন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্প, পিডিবির ১০ হাজার মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্প, জাপানের মিৎসুই কোম্পানির বাস্তবায়ন জন্য ১৩২০ মেগাওয়াট কোলব্যাস পাওযার প্লান্ট, আর একই জাপানি কোম্পানির বাস্তবায়নের জন্য ৭০০ মেগাওয়াট এলএমজি পাওয়ার প্লান্ট, জাপানের সুমিটোম কোম্পানির বাস্তবায়নের জন্য ১২০০ মেগাওয়াট কোল পাওয়ার প্লান্ট, পিপিজি সিবিএল দ্বিতীয় ফেজ ১২০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্প এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম কোল বেস পাওয়ার প্লান্ট ফিজিবিলিটি স্টাডি।

   

বিডিজেএ'র সভাপতি মাসুম, সম্পাদক মাহবুব সৈকত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিজেএ) ঢাকার আগামী দু’বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল আইয়ের জয়েন্ট এসাইনমেন্ট এডিটর তারিকুল ইসলাম মাসুম এবং সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন মাইটিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব সৈকত।

রাজধানীতে কারওয়ান বাজার রেইনি রুফটবে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪-২৫ সেশনের জন্য বিডিজেএ'র কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি বাংলা টিভির এসাইনমেন্ট এডিটর এম এম বাদশাহ ও দীপ্ত টিভির সিনিয়র নিউজ রুম এডিটর ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট নাদিরা জাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অর্থ) সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সানবির রুপল ও নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাজু হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এশিয়ান টিভির নিউজ এডিটর মাহবুব জুয়েল, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক ঢাকা মেইলের সিনিয়র রিপোর্টার বুরহান উদ্দিন, কল্যান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাসিব মাহমুদ শাহ, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সময় টিভির সিনিয়র ক্যামেরা জার্নালিস্ট মিজানুর রহমান মিন্টু

কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, একুশে টেলিভিশনের চীফ ক্যামেরা জার্নালিস্ট ফারুক হোসেন তানভীর, দৈনিক সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার কামরুল ইসলাম, জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইসমাইল রাসেল, দৈনিক সকালের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার ইউসুফ আলী বাচ্চু।

নির্বাচন পরিচালনা করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ডিইউজেএ'র সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, বিএফ ইউ জেএ'র যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ক্রাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, ডিইউজেএ'র সাবেক সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ, বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিজাম উদ্দিন, শ্যামলীর ২৫০ শয্যা বিশিস্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার, রাজনীতিবিদ আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

;

‘যদি জোটে তাইলে ঈদে বয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু’



গুলশান জাহান সারিকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘যদি জোটে তাইলে ঈদে বয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু’

‘যদি জোটে তাইলে ঈদে বয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু’

  • Font increase
  • Font Decrease

 

‘আমগো আর ঈদ! পোলাডার লাইগা কিছুই কিনতে পারলাম না, মাইয়াটা ছুডো বুঝেনা এহনো।ঈদে দ্যেশে (গ্রামে) যে যামু টাকা পয়সার অভাবে যাইতে পারমু কিনা জানিনা। ঈদের আগে আইয়া পড়ছে ঘর ভাড়া, পোলাপাইনের বেতন কোন দিক সামলামু?  আমগো আর ঈদ প্রস্তুতি!  কিছুই কিনি নাই।’

কথাগুলো বলছিলেন মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়া বস্তিবাসী রাবেয়া খাতুন। আসন্ন ঈদুল ফিতরের খুশির আমেজ বইতে শুরু করলেও রাবেয়া খাতুন এর সংসারে নেই সে আমেজ। রাবেয়ার স্বামী রাজমিস্ত্রির সাথে জোগাড়ী খাটেন। দুই মাস অসুস্থ ছিলেন কোনো কাজ করতে পারেননি। এখন দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয় তা দিয়ে দুই ছেলেমেয়ে সহ চারজনের পরিবার চলে ছোট্ট এক খুপাড়ি ঘরে। রোজার মাসে ইফতার করেন শুধু ছোলা মুড়ি আর খেজুর দিয়ে।

রাবেয়া খাতুন বলেন, "আমগো আর ঈদ আফা ওসব বড়লোকদের আমগো না। পোলাডা হাফিজি পড়াইতেছি মাদ্রাসায়। নতুন টুপি পাঞ্জাবি দিতে চাইছিলাম হইলো না। যদি কপালে জোটে তাইলে ঈদের দিন ব্রয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু। "

ভোলার চরফ্যাশন এলাকা থেকে জীবিকার তাগিদে ১০ বছর আগে ঢাকায় এসে কাজ শুরু করেন রাবেয়া খাতুনের স্বামী খোকন। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ি হিসেবে কাজ করেন। চারজনের সংসারের দিন এনে দিন খাওয়াই দায় তাদের পরিবারের। তাই ঈদ বা কোন উৎসবে আনন্দের ইচ্ছে থাকলেও সাধ পুরনের নেই সাধ্য।

শুধু রাবেয়া খাতুনই নয়, মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ওয়াসা রোডের এই বস্তির প্রায় শতটি পরিবারের জীবন সংগ্রামের গল্প অনেকটা একই রকম।


সরেজমিনে দেখা গেছে, ওয়াসা রোডের এই বস্তিতে প্রায়ই ৮০ থেকে ৯০টি পরিবারের বসবাস। ছ্যাতছেতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এক একটি রুমের ভেতর থাকেন ৪-৫ জন । প্রত্যেকটি পরিবারের আয়ের উৎস রিক্সা চালানো,দিনমজুর, মাছ কাটা, তরকারি বিক্রি বা অন্যের বাড়িতে কাজ করা। নিম্ন আয়ের এসব মানুষ সারাদিন কাজ করে দৈনিক ৩০০-৪০০ কেউবা ৫০০- ৬০০ টাকা  আয় করেন। এত অল্প আয়ে কোনো রকমের সংসার চালানো দায় এসব মানুষের তাই তাদের নেই ঈদের কেনাকাটা বা কোন প্রস্তুতি।

বস্তিবাসী সালমা বেগম আক্ষেপের সুরে বলেন, "দুইডা মাইয়া আমার ছোটডা ঘরে শুইয়া আছে দেখেন সোনার চান! ওগো লাইগা ঈদে দুইখান ফ্রক ও কিনতে পারি নাই। আমগো আর ঈদ আফা! মাইয়ার আব্বা আমারে বাইরে কাম করবার দেয় না। হেয় সারাদিন মজুরি দিয়া যা আনে তাই দিয়া বাজার কইরা খাই। এখন চারদিক রাস্তা খোড়া বাসা বাড়িতে কাম কাজ কম করাইতাছে তাই জোগাড়ীর কাজ ও কম। নিজের জন্য লাগে না মাইয়াডার দিকে তাকাইলে চোখে পানি আইসা পড়ে!  রমজান মাসে কি কষ্টে দিন কাটাইতেছি সে আমার আল্লাহ জানে। ঈদের বাজার করমু কোন হানতে মজুররে কেউ তো আর বেতন বোনাস দেয় না।"

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হয়েছে। খাদ্য তালিকায় কমেছে আমিষের উপস্থিতি তাই মাছ মাংস খাওয়া যেন বিলাসিতা বস্তিবাসীদের কাছে। সবজির দাম উচ্চ থাকায় তাও ভাগ্যে জোটানো দায় অনেকের। পশ্চিম শেওড়াপাড়া ওয়াসা রোডের বস্তিতে তাই নেই আসন্ন ঈদ উল ফিতরের খুশির আমেজ। বেশিরভাগ পরিবারই ছেলে মেয়েদের জন্য ঈদে কিনতে পারেননি নতুন পোশাক।  ঈদ কিংবা যেকোন উৎসব সবই হার মানে তাদের সাধ্যের কাছে।

;

যশোরে গরীবের সুপার শপে অর্ধেক দামে মিলছে ৭ প্রকারের খাদ্য



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে গরীবের সুপার শপে ১৬৫ টাকায় মিলছে ৭ প্রকারের খাদ্য পণ্য। এর মধ্যে রয়েছে আধা কেজি সয়াবিন তেল, এক কেজি আলু, পেয়াজ, মুড়ি, চিড়া, মসুরডাল আধা কেজি ও ৪ পিস ডিম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের পুলিশ লাইন এলাকায় জান্নাত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অস্থায়ী এই সুপার শপ চালু করা হয়।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, রমজান উপলক্ষ্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতীতে নিন্ম আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে পণ্য সামগ্রী বাজার মূল্যের অর্ধেক দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এরমধ্যে কেজি প্রতি আলু ২০ টাকা, পেয়াজ ২৫ টাকা, মুড়ি ২০ টাকা, চিড়া ২০ টাকা, সয়াবিন তেল আধাকেজি ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৫'শ গ্রাম ৩০ টাকা ও ৪ পিস ডিম ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার থেকে কম দামে পণ্য কিনতে পেরে খুশি নিন্ম আয়ের মানুষেরা। তারা বলছেন রমজানে প্রায় সকল পণ্যের দাম বেশী। এই অবস্থায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে জান্নাত ফাউন্ডেশনের মতো অন্যরাও এগিয়ে এলে সমাজের চিত্র বদলে যাবে।

জান্নাত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সালমা খাতুন মনি জানান, ২০২১ সাল থেকে বিভিন্ন মানবিক কাজ করে যাচ্ছে এই ফাউন্ডেশন। তারই ধারাবাহিকতায় চালু করা হয়েছে গরীবের সুপার শপ। এখান থেকে বাজারের থেকে অর্ধেক দামে পণ্য কিনতে পারবে সাধারণ মানুষ।

;

রাজার সঙ্গে ভুটান সফরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজার সঙ্গে ভুটান সফরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

রাজার সঙ্গে ভুটান সফরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এর আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এর আগে বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজার আমন্ত্রণে গতকাল (২৮ মার্চ) বিকেলে তাঁর সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভারত হয়ে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখেন এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমন্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়। পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

ভুটান সফর শেষে আগামী রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

;