মনোনয়ন না পেয়েও ন্যাম ভবন ছাড়েননি সাবেক এমপিরা



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ন্যাম ভবনের একাংশ/ ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ন্যাম ভবনের একাংশ/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও দুই মাস আগে। নতুন সরকার গঠন শেষ হয়েছে সেও দুই মাস হতে চলল। এবার বেশকিছু সংসদীয় আসনে নতুন মুখ এসেছে। কাজেই নতুনদের জন্য পুরনোদের বাসা ছেড়ে দিতে হবে এটাই রেওয়াজ। তাছাড়া যিনি এমপি হতে পারেননি তার তো সরকারি বাসায় থাকারও কথা নয়।

এমপি হওয়া দূরের কথা মনোনয়নই নেননি- এমন এমপিরাও তাদের ন্যাম ভবনের বাসা দখলে রেখেছেন এখনো অবদি। সংসদ সচিবালয় থেকে চিঠি দেওয়ার পরেও ৩০ থেকে ৩৫ জন সংসদ সদস্য তাদের বরাদ্দকৃত বাসা বুঝিয়ে দেননি। যে কারণে নতুন এমপিদের বাসা বরাদ্দে হিমশিম খাচ্ছে সংসদ সচিবালয়।

মনোনয়ন পাননি এখনো বাসা দখলে রেখেছেন এমন অন্তত পাঁচ জন সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা হয় বার্তা২৪.কম এর প্রতিবেদকের সঙ্গে। তাদের অধিকাংশই বলছেন, ঢাকার বাইরে থাকায় ছাড়তে পারেননি। আবার কেউ বলছেন ঢাকায় উপযুক্ত পরিবেশে বাসা ভাড়া পাচ্ছেন না, তাই একটু সময় লাগছে। তবে বিষয়টি যে যুক্তিসঙ্গত হয়নি তারা স্বীকারও করেছেন।

বাসা না ছাড়ার তালিকাভুক্তদের মধ্যে দশম সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্যরাই বেশি। অনেক সংরক্ষিত আসনের সদস্যরাও রয়েছেন।

একাদশ সংসদে দলীয় মনোনয়ন পাননি পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল। তার আসনে এবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ভোট করেছেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের আগেই তিনি বুঝতে পেরেছেন ন্যাম ভবনের বাসা ছেড়ে দিতে হবে। তারপরেও ছাড়েননি।

এ বিষয়ে এ কে এম এ আউয়াল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এলাকায় রয়েছি, ন্যাম ফ্ল্যাটের বাসায় না থাকলেও বুঝিয়ে দিইনি। কিছুদিনের মধ্যেই দিয়ে দেব। আসলে নির্বাচনের পর সেভাবে ঢাকায় যাওয়া হয় না, তাই একটু সময় লেগেছে। সংসদ সচিবালয় থেকে আমাদের গত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। আমি দ্রুতই বুঝিয়ে দেব।’

কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এমপি হতে পারিনি, বাসা তো ছাড়তেই হবে। বাসায় এখনো আমার স্টিকার, ছবিসহ বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। সেগুলো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সরিয়ে নেব এবং বাসা বুঝিয়ে দেব।’

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য হবিগঞ্জ-১ আসনের আব্দুল মুনিম চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে প্রথমে ন্যাম ভবনের বাসায় থাকার কথা বলেন। পরে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, এবার তো সংসদ সদস্য হিসেবে ভোটও করেননি তাহলে কিভাবে বাসায় থাকেন? পরক্ষণেই বলেন, ‘আমি তো বাসায় থাকি না। এলাকায় থাকি। তবে বাসা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বুঝিয়ে দেব।’

দশম সংসদের জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সদস্য মেরিনা রহমান এখনো ন্যাম ফ্ল্যাটের বাসাতেই থাকেন। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি চিঠি পাইনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী যেহেতু এমপি না, তাই বাসা ছেড়ে দিতে হবে। তবে এবার আমার ছেলে আহসান আদেলুর রহমান সংসদ সদস্য হয়েছে। আমি যতটুক জানতে পেরেছিলাম আমার ছেলেই উঠবে। পরে শুনেছি পাশের একটি ফ্ল্যাট আমার ছেলেকে দেওয়া হয়েছে। আমি শীঘ্রই আমার নামে বরাদ্দকৃত বাসা ছেড়ে দেব।’

দশম সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সদস্য উম্মে রাজিয়া কাজল এখনো ন্যাম ভবনের বাসাতেই থাকেন। তিনিও স্বীকার করেন, বাসাটি আরও আগেই ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। তবে ঢাকায় বাসা পেতে একটু সময় লাগাতে তার বাসা ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে আগামী সাত দিনের মধ্যে ছেড়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কাজল।

এ রকম প্রায় ৫০ জন সংসদ সদস্য যারা এবার দলের মনোনয়ন না পেলেও তার নামে বরাদ্দকৃত বাসাটি দখলে রেখেছেন।

এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা চিঠি দিয়েছি। পুরনো এমপিদের মধ্যে যারা এবার এমপি হতে পারেননি, তাদের গত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাসা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু অনেকেই এখনো দেননি। যেহেতু তাদেরও নতুন বাসা পেতে সময় লাগে তাই একটু সময় নিচ্ছি। আশা করি অতি দ্রুত তারা বাসা ছেড়ে যাবেন।‘

একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও ন্যাম ভবনে বরাদ্দকৃত বাসা ছাড়েননি এমন তালিকায় আরও রয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য গাজিপুর-৩ আসনের অ্যাড. রহমত আলী, জাতীয় পার্টির কুমিল্লা-৮ আসনের নুরুল ইসলাম মিলন, কুড়িগ্রাম-৪ রুহুল আমিন, নড়াইল-২ আসনের শেখ হাফিজুর রহমান, নাটোর-২ আসনের আবুল কালাম আজাদ।

জাপা’র সংরক্ষিত আসনের নূর ই হাসনা লিলি চৌধুরী, এ, কে, এম মোস্তাফিজুর রহমান,সুকুমার রঞ্জন ঘোষ,এস. এম, আবুল কালাম আজাদ, অ্যাড. মোঃ রহমত আলী, মো. আব্দুর রহমান, বেগম হেপী বড়াল, বেগম রিফাত আমিন, বেগম ফাতেমা জোহরা রাণী, বেগম শাহানারা বেগম, বেগম সফুরা বেগম, বেগম আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রমুখ। এরা সবাই এখনো ন্যাম ফ্ল্যাটের বাসা নিজের দখলে রেখেছেন।

   

সাভারে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাভারে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহতের নিথর দেহ উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন। এর আগে দুপুরের দিকে সাভার পৌরসভার সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শহিদুল ইসলাম (২৪) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার চরধরমপুর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি সাভারের সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন দন্ত চিকিৎসকের সহকারী।

হত্যাকান্ডের কারণ বা এর সাথে কারা জড়িত তা এখনও বলতে পারেনি পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৭২ কোটি টাকা) অনুদানের কথা জানিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশস্থ জাপানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য এ অনুদান দিয়েছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে।

অনুদান প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, এ অনুদানের অর্থ বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সমৃদ্ধির পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। পাশাপাশি এ অনুদানের অর্থ দেশে রোহিঙ্গা নিয়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে সেটিরও প্রশমন ঘটাবে।

;

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে মন দিয়ে রেলের জন্য কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

তিনি বলেন, রেলের কিছুটা পরিবর্তন সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছেন এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর রেলভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রেলকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অনেক কষ্টে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে অনেক স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। এদেশের মানুষকে ভালোবেসেই তিনি নিজের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আমাদের এই দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের মনে, চেতনায়, মননে ও মানসিকতায় বঙ্গবন্ধুর নাম আমাদের বুকে লেখা হয়ে গেছে। তাই আমরা যদি সবাই মিলে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই আমাদের মহান স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মদান অর্থবহ হবে।

এর আগে অফিস কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা সাক্ষাৎ করেন। ভারতের সহায়তায় বাস্তবায়নধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অলোচনা করেন তারা।

;

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বঙ্গভবনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে দেশকে অন্য পথে পরিচালিত করতে চেয়েছিল কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাৎকালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধিদল ৩ মে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলনে যোগদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।

প্রতিনিধিদল ১৯৭১ এর গণহত্যাকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য স্মারকপত্র প্রদান করেন।

তাঁরা সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করবে মর্মে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশন সাহাবুদ্দিন কমিশন নামে পরিচিত।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস. এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

;