১৪ দলকে অবহেলা করা হবে আত্মঘাতী, সংসদে ইনু



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসলেও মন্ত্রিসভায় শরীকদের কাউকেই স্থান দেওয়া হয়নি। তাই অনেকটা ক্ষোভ ঝাড়লেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেছেন, মহাজোট ১৪ দলের ঐক্যের শক্তিতে বিজয়ী হওয়ার পর ঐক্যকে কার্যকর রাখতে পারেনি। পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান বন্ধে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং ঐক্য নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। মহাজোটে ১৪ দলকে অবহেলা করা হবে আত্মঘাতী।

বুধবার (৬ মার্চ) রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ছোটদের আড়ি আড়ি খেলার মত ফরমায়েশি বিরোধী দলের স্বীকৃতি সংসদকে প্রাণবন্ত করবে না বলেও মন্তব্য করেন হাসানুল হক ইনু। সংসদীয় কমিটিগুলোকে শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় সরকারকে প্রভাবমুক্ত রাখার দাবি তিনি।

জাসদ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে অমীমাংসিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারা একাদশ সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিএনপির যারা ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকে অমীমাংসিত করতে চাইছে, রাজনৈতিক সংশয় আর বিভান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে, তারা নতুন করে ষড়যন্ত্রের বিষ বাংলার মাটিতে বপন করতে চাইছে। যে কোনো নির্বাচনে অনিয়ম ঘটে, বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে ঢালাওভাবে বড় করে দেখিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাতিল করার অপচেষ্টা অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

তিনি বলেন, নির্বাচনে ৪০ হাজারের বেশি ভোট কেন্দ্র ছিল, মাত্র ২৫টির মত কেন্দ্রে বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া কোনো ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে অনিয়ম আবিষ্কার করার একটা অপচেষ্টা চলছে। ঐকফ্রন্ট গণশুনানি করেছে। এটা গণঘুমের শুনানিতে পরিণত হয়েছে। কাল্পনিক অভিযোগের ফিরিস্তি তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ যেন আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখার মত।

ইনু বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন কোনো মাপকাঠিতে মাপা যাবে। এটাকে ২০০১-২০১৮ সালের রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় দেখতে হবে। জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনের যে যুদ্ধ, সে যুদ্ধের চশমা দিয়ে এ নির্বাচনকে দেখতে হবে। জঙ্গি দমনের ভেতর সাংবিধানিক প্রক্রিয়া রক্ষা করা, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সচল রাখা, অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখার মত বিষয় শেখ হাসিনাকে করতে হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনও সেই জঙ্গি দমনের যুদ্ধের ভেতরে সংঘটিত হয়েছে। নির্বাচনের আগের ছয় মাস কী ছিল, তা দেখলেই বোঝা যায়, কোন পরিস্থিতিতে আমাদের এ নির্বাচন পরিচালনা করতে হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে ড. কামাল হোসেন সরকার বিরোধী সকল দল, ব্যক্তি ও দলছুট ব্যক্তিদের নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট তৈরি করে। একটির পর একটি হুমকি-ধামকির ভেতর দিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করা হয়েছিল। আদৌ নির্বাচন হবে কি-না, তা নিয়ে সংশয়-সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। তাদের কথাবার্তা ভাব-সাব হুমকি-ধামকি, সবকিছু নিয়ে এমন একটা অবস্থা তৈরি করা হয়েছিল, যেন গায়েবি কোনো শক্তির তাণ্ডবে পুরো নির্বাচন ভণ্ডুল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, তারা কোনো এক অদৃশ্য গায়েবি শক্তির আশায় ছিল, তারা তাদের বিজয়ী করে দেবে। গায়েবি শক্তির আশায় বসে থাকা এবং কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের কোনো নির্দেশনা না পাওয়া এবং ঐক্যফ্রন্টের তর্জন গর্জন ফাঁকা বুলিতে পরিণত হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা হতাশায় পড়েন। সে কারণেই বিএনপির এই ভরাডুবি। এর জন্য দায়ী কি নির্বাচন কমিশন? সরকার? না-কি জনগণ?

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটা ওয়ান পার্টি স্টেট নয়, এটা মাল্টি পার্টি ডেমোক্রেসি সেকুলার স্টেট। এজন্য জঞ্জাল পরিষ্কার করে অসাম্প্রদায়িক দেশ বিনির্মাণের কাছ থেকে এক দলীয় শাসন হিসেবে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে। কিন্তু বহুদলীয় শাসনের নামে রাজাকার আলবদরদের শাসন হালাল করা যায় না। শক্তিশালী বিরোধী দল মানে ভাড়া করে রাজাকার আলবদরদের তুলে এনে জামাই আদর করে বিরোধী দলের আসনে বসানো গণতন্ত্র নয়।

সরকারের কিছু সমালোচনা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, সাফল্যের পরও ক্ষেত্র বিশেষে কিছু ঘাটতি রয়েছে। আইনের শাসন, সুশাসনে ঘাটতি রয়েছে। দলবাজি ক্ষমতাবাজি দমনে খাটতি রয়েছে। ঘাটতি নিয়ে আমরা নতুন পাঁচ বছরে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। কওমী মাদরাসাকে রাষ্ট্রীয় নজরদারিতে আনার প্রশংসা করছি। তবে তেতুল কর্তাকে প্রশ্রয় দেওয়া আত্মঘাতী। আমি এতে সমর্থন করি না। জঙ্গি মাদককে যেমন কোনো রকম ছাড় দেওয়া যায় না, তেমনি তেতুল কর্তাকেও কোনো রকম ছাড় দেওয়া যায় না। তা অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করে।

   

ভরসার খালে নোনা পানি, নিরুপায় কৃষক



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেও সরষে ফুলে ভরে ছিল মাঠ। এরই মধ্যে ঘরে উঠেছে সূর্যমুখী এবং আলু। এখন তরমুজ চাষাবাদের ভরা মৌসুম। বাড়ছে রোদের প্রখরতা। মাটি হারাচ্ছে জোঁ। ফলে সকাল সন্ধ্যে দুর থেকে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হচ্ছে সেখানে। যদিও ওই জামির পাশেই খুলনার কয়রা উপজেলার তেরআউলিয়া খালে ঢেউ খেলছে নোনা পানি।

ওই খালের উপর ভরসা করেই এ এলাকার কয়েক‘শ একর জমি চাষাবাদ হয় দীর্ঘদিন ধরে। তবে বর্ষার শেষ থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই খালে থাকে মিষ্টি পানি। তবে বর্তমানে ইজারাদার ওই খালে কৌশলে ঢুকিয়েছে নোনা পানি। ফলে নষ্ট হতে বসেছে কৃষকের পরিশ্রমে গড়া লালিত স্বপ্ন।

যদিও এসব খালে নোনাপানি ওঠানো নিষেধ। কিন্তু ইজারাগ্রহীতারা গোপনে স্লুইস গেটের কপাট খুলে নোনাপানি তোলে। ফলে ওই সব খালের পানির ভরসা করে যারা চাষাবাদ করে। তখন তাদের কপালের ভাঁজ বাড়তে শুরু করে। প্রতিবছর ওই এলাকার কৃষকেরা তেরআউলিয়া খালের উপর ভরসা করে বীজ বুনে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই ইজারাদারের কৌশলের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় কৃষকদের। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা দূর থেকে পাতা পাইপলাইন থেকে উচ্চমূল্যে পানি আনে। বেড়ে যায় চাষাবাদের খরচ। লাভের খাতা ছোট হয়ে তৈরি হয় লোকসানের খাতা।

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানাযায়, কয়রা উপজেলার ৩৯টি খাল নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই খালগুলোতে নোনা পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করলে এবং মিষ্টি পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ওই এলাকর ৭ হাজার ২ হেক্টর জমিতে বছরে ৩শ’ ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

কয়রা উপজেলার চুন্ডিপুর গ্রামের এই তেরআউলিয়া খালের একপাশ দিয়ে চলে গেছে চলাচলের রাস্তা। আর অন্য পাশে সুবিশাল ক্ষেত। এই খালটি উপজেলার মসজিদকুড় গ্রাম থেকে শুরু হয়ে চন্ডিপুর, দশবাড়িয়া, কিনুকাঠী, খেপনা গ্রামের মধ্য দিয়ে ঘোষখালী খাল হয়ে শিবসা নদীতে মিশেছে।

ওই গ্রামের কৃষক আফসার আলী গাজী জানান, আমাগে খেতের পাশেই খাল। খালে পানি ভরা। কিন্তু সে পানিতে চাষাবাদ হয় না। খেতের জন্য পানি আনতে হয় ৩ রশি দূরে সেচ পাম্প থেকে। অনেক খরচ। কিন্তু করবো। খালের পানি এতো নোনা যে, ওই পানি একটু গাছের গায়ে লাগলে কচি গাছ মরে যায়।

উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইসহাক আলী সরদার জানান, আমি আমার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আমন চাষের পর সবজি আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জমির পাশে তেরআউলিয়া নামের এ খালে মিঠাপানি ছিল। বর্তমানে নোনাপানি উঠিয়ে মাছ চাষ করছেন খালের ইজারাদার। ফলে খালের আশপাশে প্রায় ২০০ একর জমিতে চাষাবাদে পানির স্কংট দেখা দিয়েছে। শুধু এ খাল নয়, আমাদের উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এমন শতাধিক বন্ধ খাল মাছচাষিদের কাছে প্রতি ৩ বছর পরপর ইজারা প্রশাসন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ এলাকার প্রায় সব বিলের মধ্যে ছোট-বড় খাল রয়েছে। এসব খাল বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি পানিতে টৈটম্বুর থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ খালের পানি সেচ কাজে লাগাতে পারলে চাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু সেই সময় ইজারাদাররা গোপনে নোনাপানি তোলে।

চুন্ডিপুর গ্রামের ওই তেরআউলিয়া খালের ইজারাদার মো. মইনুদ্দিন মিস্ত্রি জানান, এই খালটি স্লইজ গেটের কাছে। অন্যদিকে ওই স্লুইজ গেটের পাটা বা গেটটি নষ্ট। সেজন্য কিছু নোনা পানি উঠেছে। কদিন আগে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। ফলে আর নোনা পানি উঠবে না।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ সমস্যায় জন্য অনেক কৃষক আমাদের কাছে আসে। কিন্তু আমাদের কি করার আছে? আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেই।

কয়রা উপজেলা জলমহাল কমিটির সভাপতি ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে খাল, জলাশয়, খাস জমি ইজারা দেয়া হয়। তবে সেখানে নোনাপানি তোলা যাবে না। যদি কেউ গোপনে নোনাপানি তুলে কৃষকের ক্ষতি করে, তাহলে ওই ইজারা বাতিল করা হবে।

;

বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান করছি। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের একটু ভিড় হতে পারে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

আইজিপি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রশস্ত হয়েছে আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। আমি আশা করছি— আমাদের ঈদ যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। সেই সঙ্গে যথাসময় সবার ঈদযাত্রা সমাপ্ত হবে বলে আমি আশা করছি।

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আইজিপি।

;

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;

সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।

এর আগে, ২৮ মার্চ দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুরের সদর থানার কুতইড় এলাকার বাসিন্দা ও আশুলিয়ার জামগড়া মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো.ফরিদুল ইসলাম (৪৪) এবং একই এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান (৪৫)।

ডিবি পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় তা বিক্রি করত তারা। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

;