খুলনায় নদী দখল করে ইটভাটা, হুমকিতে পরিবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ইটভাটা নির্মাণে হুমকিতে সেতু-পরিবেশ

ইটভাটা নির্মাণে হুমকিতে সেতু-পরিবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হরি ও ভদ্রা নদীর ৪ কিলোমিটার এলাকায় জমি ইজারা নিয়ে গড়ে উঠেছে ১৮টি ইটভাটা। ইটভাটার মালিকরা নদী তীরবর্তী জায়গা ইজারা নিলেও ধীরে ধীরে নদী দখল করে ভাটা নির্মাণ করছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। জোয়ার-ভাটায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে নদীর উপর নির্মিত সেতু।  একই সাথে নদীর পূর্ব পাড়ের খর্ণিয়াবাজার, ভদ্রদিয়া ও রানাই গ্রামের প্রায় সাড়ে তিনশ বাড়ি ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে। সেই সাথে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।

সরেজমিনে  ঘুরে দেখা গেছে, এই ভাটাগুলো নদীর পশ্চিম পাশে উত্তর-দক্ষিণে প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে নদীর ভেতরে অর্ধেক জায়গা (২০-২৫ ফুট) দখল করে ফেলেছে।  এ কারণে নদীর গতি পরিবর্তন করে পূর্ব দিকে চলে আসছে। এতে ভাঙনের মুখে পড়েছে পূর্ব পাশের ওই সব স্থাপনা।

এলাকাবাসী জানায়, নদীর পাড়ে ভূমিহীন কৃষকেরা সরকারের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়েছিলেন।  সেই জমির সাথে ব্যক্তিগত জমি নিয়ে ২০০৯ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে ভাটা মালিকেরা ১৮টি ভাটা গড়ে তুলেছেন।  ভাটাগুলোর মালিকেরা নদীতে বাঁধ দিয়ে ছোট ছোট পুকুর নির্মাণ করছেন। এসব পুকুরে জমা পলিমাটি দিয়ে তাঁরা ইট তৈরি করছেন।  এভাবে বাঁধ দেওয়ায় নদীর স্রোত কমে যাচ্ছে। পলি পড়ে নদীটি নাব্যতা হারাচ্ছে।  এ ভাটাগুলো অধিকাংশ বসত বাড়ির ১০ থেকে ১০০ গজের মধ্যে।  বসত বাড়ি কাছে হওয়ায় ভাটার ধোঁয়া-বালিতে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  তাছাড়া ভাটার ধূলা আর কালি ফসলি জমিতে পড়ায় ফসল উৎপাদনও কমে গেছে।  অতিরিক্ত ইট বহন করার কারণে খর্ণিয়া-শোলগাতিয়া পাকা সড়কটিও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/15/1550222849136.jpg

নদী দখলকারী এসব ভাটা গুলো হলো, হাফিজুর রহমানের এবি ব্রিকস, হুমায়ন কবিরের  কেবি-১ ব্রিকস ও কেবি-২ ব্রিকস, শাহজাহান জম্মাদারের নূরজাহান ব্রিকস, গাজী আবদুল হাদীর সেতু ব্রিকস, গাজী ফজলুর রহমানের সাতক্ষীরা ব্রিকস, নারায়ন চন্দ্র চন্দের কেএমপি ব্রিকস, হাফিজুর রহমানের এবি ব্রিকস, এফএমবি ব্রিকস, ইসমাইল হোসেনের আলমদিনা ব্রিকস, মশিউর রহমানের মেরি ব্রিকস, লতিফ জম্মাদারের জেবি-১ ও জেবি-২ ব্রিকস, আমিনুল হকের লুইন ব্রিকস, গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকস, ইকবাল জম্মাদারের স্টোন ব্রিকস, অসীম কুমার দের প্রাইম ব্রিকস ও তুষারের টিএম ব্রিকস। এর মধ্যে হাফিজুর রহমানের এবি ব্রিকস, এফএমবি ব্রিকস, মশিউর রহমানের মেরি ব্রিকস, অসীম কুমার দের প্রাইম ব্রিকস ভাটার বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।

আঙারদাহো গ্রামের এমদাত হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, ভাটাগুলো প্রতিনিয়ত নদী মেরে ফেলছে।  রাতের আঁধারে বস্তার মধ্যে ইটের ছোট-বড় টুকরো ভরে ভাটার সামনে নদীতে ফেলা হয়।  সেখানে পানি বাধা পেয়ে পলি জমছে তখন সেখানে বাঁধ দিয়ে দিচ্ছে।

রানাই গ্রামের আবু তালেব বলেন, ভাটার ধোঁয়া আর বালিতে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে।  ওভার লোডেট ইট-ট্রলি ইট বহনের কারণে খর্ণিয়া-শোলগাতিয়া রাস্তাটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

মেরি ব্রিকসসের মালিক মশিউর রহমান বলেন, আমি নদীতে বাঁধ দেয়নি।  ইটভাটার লাইসেন্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি।  দ্রুতই লাইসেন্স পেয়ে যাবো।

খর্ণিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও খুলনা-৫ আসনের সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, নদী দখল বন্ধ করা প্রশাসনের কাজ।  আমি ডিসি সাহেবকে জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও বলেছি। কিন্তু তারা পদক্ষেপ না নিলে আমার কিছু করার থাকে না।  অবৈধ ভাটা ও নদী দখলদার ভাটার ব্যাপারে ঠিক ওই ভাবে খোঁজ নেওয়া হয়নি।  এখন খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ জানান, সরকার বলছে নদী বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। আর ভাটা মালিকরা বলছে নদী মরণে আমরা বাঁচব।  নদী দখল হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লাভ বেশি। তারা খননের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করতে পারবে।  সেকারণে তারা কিছু বলে।  আর নদীটি ভরাট হলে নদীর পাশের বসবাসকারী ১০-১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ বছরের ৮ মাস পানির নিচে ডুবে থাকবে।

পাউবো ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা অনেক বার নদী দখল মুক্ত ও খননের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু ওই ভাটাগুলোর মালিকরা অধিকাংশই সরকার দলীয় ও প্রভাবশালী যে কারণে সকল উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। কারণ আমরা এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নই, এখানে চাকরি করতে এসেছি।

পাউবো খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম কে বলেন, নদীটি খননের জন্য ৫/৭ বছর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে আজও তা হয়নি। সম্প্রতি ভাটাগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছি। সেটা ঢাকা অফিসসহ সকল স্থানে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। তারপর নদী দখলের কার্যক্রম শুরু হবে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, যারা নদী দখল করছে বা অবৈধ ভাবে ভাটা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, যুবক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের লাল মিয়া মাঝি বাড়ি থেকে নুরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৮ িনম্বর ওয়ার্ডের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে ভিকটিম মোবাইল ঠিক করতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আরডি শপিং মলে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নিজেকে মোবাইল মেকানিক পরিচয় দিয়ে গৃহবধূর মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোনের গ্যালারি থেকে ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম সম্মানহানির ভয়ে ও তার সংসার টিকানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এতে সে সন্তুষ্ট না হয়ে বাকি আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে টিকটক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা টিকটিক আইডি সংরক্ষিত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;