কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বরিশালে রুবেল মিয়া (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী মেহেদি হাসান রনিকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। আটক মেহেদি হাসান রনি ঝালকাঠি কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা শওকত আহমেদের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল মিয়া সরকারি ব্রজমোহন কলেজের ইংরেজী ১ম বর্ষের ছাত্র এবং উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
এছাড়াও এই ঘটনায় রুবেলের বন্ধু সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বাংলা ১ম বর্ষের ছাত্র নাইমুর রহমান মিতুল (২২) গুরুত্বর জখম হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন রাফসান নামে আরেকজন। বর্তমানে মিতুল বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, নগরীর মল্লিক রোডের বাসিন্দা নেছার উদ্দিনের মেয়ে সাওদার সাথে দুইবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মেহেদী হাসান রনি (৩০) এবং দুই বারই তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এর পর থেকেই রনি নানাভাবে সাওদাকে উত্যক্ত করে আসেছিলেন। এরপর বিষয়টি সাওদা তার ছোট ভাই রাফসানকে জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাওদা, তার ভাই রাফসান, রাফসানের বন্ধু রুবেল ও মিতুল সহ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ঘুরতে আসেন।
একপর্যায়ে মেহেদী হাসান রনি ছুড়ি নিয়ে এসে সাওদার ও্পর হামলা চালাতে যায়। এ সময় সাওদার ভাই রাফসান বাধা দিলে তার ওপর চড়াও হন। পরে রুবেল, মিতুল সহ অন্যরা তাকে ছাড়াতে আসলে রুবেলের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন রনি। পাশাপাশি রুবেলের বন্ধু মিতুলকেও ছুরিকাঘাত করেন।
এ সময় আশপাশে থাকা লোকজন রনিকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রুবেল ও মিতুলকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নাইমুর রহমান মিতুল বলেন, ‘বিকালে বন্ধুরা মিলে বেলস পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধু রাফসানের সাথে রনির পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিলো। যখন রনি রাফসানকে মারতে ছিলো, তখন আমরা ছাড়াতে গিয়েছিলাম।’
এই বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ঘটনাটি ঘটে। মেহেদি হাসান রনির কাছে থাকা ছুরি দিয়ে তিনজনকে আহত করেন।
এতে গুরত্বর আহত রুবেল মিয়া নামে একজন শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে মারা যান। বাকি দুজনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘এই ঘটনায় মেহেদি হাসান রনিকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত পরবর্তীতে বিস্তারিত বলা যাবে।’