বরিশালের লাখুটিয়া জমিদার বাড়ি সংরক্ষণের উদ্যোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল, বার্তা২৪.কম
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী লাখুটিয়া জমিদার বাড়ি, ছবি: বার্তা২৪

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী লাখুটিয়া জমিদার বাড়ি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী লাখুটিয়া জমিদার বাড়ি ও মন্দির সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। পাশাপাশি ব্রিটিশ আমলের এই স্থাপনাটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর সূত্রে জানা যায়, এটি সংরক্ষণের জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশন বরাবর বাড়িটির উত্তরাধিকার অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ড. আলপনা রায় একটি চিঠি দেন। আর সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে এর আগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ বাড়িটি পরিদর্শন করেছিলেন। সে সময় এটি সংরক্ষণের নির্দেশনাও দিয়েছিলেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/12/1549937384657.jpg

এদিকে অস্ট্রেলিয়ান হাইকোর্টের আইনজীবী এবং লাখুটিয়া জমিদার বাড়ির অন্যতম উত্তরাধিকার পঙ্কজ রায়ের কন্যা ড. আলপনা রায় তার চিঠিতে বাড়িটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে এই স্থাপত্য সুরক্ষার জন্য উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান।

চিঠিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি সংবাদ শুনেছি যে, লাখুটিয়া জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশ সরকার ভেঙে ফেলতে পারে। আর এই সংবাদটি বাংলাদেশে এবং বিদেশে বসবাসরত রায় পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/12/1549937370330.jpg

ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, ১৭ শতকে রূপচন্দ্র রায় লাখুটিয়ার এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ১৯ শতকে তাঁর পৌত্র রাজচন্দ্র লাখুটিয়ার জমিদারির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।

বরিশাল শহর থেকে উত্তর দিকে লাখুটিয়া এলাকায় অবস্থিত এই বাড়িটিতে ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্য ইতিহাস সংগৃহীত। বেশিরভাগ স্থাপনাই আটচালা দেউল রীতিতে তৈরি। বাড়ির সবচেয়ে সুন্দর স্থাপনা হলো শিখররীতির অক্ষত কিছু মন্দির। দক্ষিণে সদর দরজার দিকে এগোলেই দেখা মেলে বিখ্যাত বউরাণীর দিঘি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/12/1549937352468.jpg

তবে কালের স্রোতে আজ সেই ঐতিহ্য বিলীনের পথে। বাড়িটির অধিকাংশ ভবন ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে। তাছাড়া বাড়িটির চারদিকের দেয়ালগুলো ধসে পড়েছে। বাইরের দিক থেকে উপরে ওঠার সিঁড়ি ভেঙে পড়ায় দোতলায় ওঠার কোনো উপায় নেই এখন।

সব মিলিয়ে বর্তমানে এটি বিধ্বস্ত দোতলা একটি ভবন। ছোট-বড় পাঁচটি মন্দির, একটি পুকুর এবং একটি বড় দিঘি এই জমিদার বাড়ির সাক্ষ্য বহন করে আসছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/12/1549937338317.jpg

এদিকে, ঐতিহ্যের স্মারক এই জমিদার বাড়ি অবহেলিত থাকলেও এখানে থেমে নেই কৌতূহলি দেশি-বিদেশি পর্যকটদের আসা-যাওয়া। নানা বয়সী মানুষের আনাগোনা থাকে সর্বদা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও বাড়ি সংলগ্ন এলাকা পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দা সামসুল আলম (৭১) বার্তা২৪.কমকে বলেন, লাখুটিয়া জমিদার বাড়ি ঘিরে জমিদারী প্রথার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখানে অনেকগুলো ভবন ছিল, আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/12/1549937322074.jpg

চারুকলা সংগঠক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এই জমিদার বাড়িটি ঘিরে অনেক ইতিহাস রয়েছে। এই বাড়িটির সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারেরও সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া এটি একটি বিস্তীর্ণ এলাকা, এই বাড়িটি ঘিরে যদি পর্যটন স্পট এবং পুরাকীর্তি ঘোষণ করা হয়, তাহলে মানুষ এর সম্পর্কে আরো জানতে পারবে এবং এর ঐতিহ্য সংরক্ষিত হবে।

বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. শাহীন আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, এই জমিদার বাড়ির উত্তরাধিকারের দেয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা লাখুটিয়া জমিদার বাড়িটি পরিদর্শন করেছি। পরবর্তীতে এটি সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রতিবেদন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনায় প্রেরণ করেছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/12/1549937302367.jpg

তিনি বলেন, এই জমিদার বাড়িটি প্রাচীণ স্থাপত্য শিল্পের স্মারক। এটি সংরক্ষণ করা হলে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রাচীন জনপদের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে এ বাড়িটির স্থাপত্য নিদর্শন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান ও জাতীয় পর্যায়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে লাখুটিয়া জমিদার বাড়ির ৪৯ দশমিক ৫০ একর জমি রয়েছে। ভবনটি এখন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বীজ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আশেপাশে বেশ কয়েকটি বীজ সংরক্ষণাগার ভবন নির্মাণ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

   

পত্নীতলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় তীব্র তাপদাহ হতে রক্ষা ও বৃষ্টি চেয়ে এবং জনজীবনে স্বস্তির আশায় নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে সালাতুল ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয় । এই নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হয় বিভিন্ন এলাকার শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় শেষে আল্লাহপাকের রহমত কামনা করে তাপদাহ থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা এবং বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিগণ।

নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি তরিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে তীব্র তাপদাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ধান ও আমের গুটির জন্য মারাত্মক ভয়ঙ্কর এই আবহাওয়া। এই মুহূর্তে বৃষ্টির পানির ভীষণ দরকার। তাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট বৃষ্টির পানি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেছেন তিনি।

শাহারিয়ার শান্ত বলেন, হাদিসে রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দুইটা সময় জাহান্নাম নিশ্বাস ছাড়ে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে। অতিরিক্ত শীত যখন হয় তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অতিরিক্ত গরমেও সমস্যার সমাধানে দোয়া করা হয়। অতীতে আরব দেশে যখন এমন প্রখর রোদ আর গরম ছিল তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরম থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সাহাবাদের নিয়ে এভাবেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। বৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সবািইকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

মাওলানা আব্দুল মুকিমের ইমামতিতে ইসতিসকার দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবং সব মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়।

;

পিরোজপুর বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির জন্য অঝোরে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলেন পিরোজপুর তাফহিমুল কোরআন মাদ্রাসার মাঠে নামাজ আদায় করতে আসা শতশত মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) সকাল ৮টায় মাদরাসার মাঠে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ নামাজে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতশত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

নামাজের ইমামতি করান বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এর খতিব মাও: আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি
বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। নামাজের মাধ্যমে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলে আল্লাহ তা বান্দাদের দিয়ে থাকেন। তাই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য এই আয়োজন।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের মাদরাসা পাড়া ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷

নামাজে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা। নামাজ শেষে মোনাজাত করেন মাদরাসটির সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

শীতপ্রবণ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। তাপপ্রবাহের কারণে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মাঠে কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষকদের। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় করতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। রোদে দুই মিনিট থাকা যায় না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতন অবস্থা। আমাদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করলাম। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেন তবে স্বস্তি ফিরবে।

সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা বলেন, সারাদেশে দাবদাহে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের জেলায়ও অস্বস্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের গুনাহর ফসল এসব। আমরা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকা নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করবেন।

;

নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঋতু সুলতানা (১৫) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. ইসমাইলের মেয়ে। সে স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসির ফলপ্রত্যাশী ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুঠোফোন বিষয়টি নিশ্চিত করেন- ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক মনির হোসাইন।

এর আগে, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা ইসমাইল জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঋতু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে গ্রাম্য চিকিৎসক ধারণা করেন- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

শিক্ষক মনির হোসাইন বলেন, ঋতুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মৃত্যুর সংবাদে তার সহপাঠী, শিক্ষকবৃন্দ তার বাড়িতে ছুটে যান। কোনোভাবেই তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

;