নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানীতে চলছে লেগুনা



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিষেধাজ্ঞার পরও রাজধানীতে চলছে লেগুনা

নিষেধাজ্ঞার পরও রাজধানীতে চলছে লেগুনা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা এড়াতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক নির্দেশনায় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে লেগুনা চলাচল নিষিদ্ধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ৫ মাস পর রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে আবারও দাপটের সাথে চলাচল করছে অবৈধ এসব লেগুনা।

জানা গেছে, শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞার দু’এক মাস পরই রাজধানীতে লেগুনা চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে ডিএমপি’র নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানীতে আগের মতোই চলছে লেগুনা।

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্দিরা রোড, খামারবাড়ি, মহাখালী, সাতরাস্তা ও লিংকরোডে সরেজমিনে দেখা গেছে, আগের মতোই ১২-১৫ বছরের শিশু-কিশোররা লেগুনায় হেলপার ও চালককের আসনে বসে ঝুঁকিপূর্ণ লেগুনা নিয়ে রাজধানী দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও যাত্রীরা বাধ্য হয়ে লেগুনায় যাতায়াত করছেন। এসব নিষিদ্ধ লেগুনা চলছে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টদের সামনে দিয়ে। তাদের এ বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

লেগুনার চালক ও হেলপারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা পুলিশ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই আবারও রাস্তায় লেগুনা নামিয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষকেই প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয়। এছাড়া অনেক পুলিশ অফিসারই লেগুনার মালিক। ফলে টাকা খরচ হলেও চলাচলে তাদের কোনো অসুবিধা হয় না।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থেকে বাড্ডা লিংকরোডগামী গ্রিন মটরস পরিবহনের লেগুনার চালক মো. সোহেল বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘চাহিদা আছে বলেই রাস্তায় লেগুনা চলছে, যাত্রীরা উঠছেন। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে গাড়ি নামিয়েছেন মালিকরা। মাঝেমধ্যে সমস্যা হলে মালিকপক্ষ পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করেন।’

বাড্ডা লিংকরোডে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘লেগুনা চললে আমাদের কী করার আছে? মানুষ রাস্তায় গাড়ি পাচ্ছে না। লেগুনা না চললে তারা কিভাবে যাবে? লেগুনা এখন আর ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করছে না।’

রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে লেগুনা চলাচল নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

অন্যদিকে যাত্রীরা অভিযোগ করেন, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় তারা বিপাকে পড়েছেন। যেসব রাস্তায় লেগুনা চলাচল করতো সেসব রাস্তায় লেগুনা চলাচল বন্ধ হওয়ায় তাদের সমস্যা হতো। কিন্তু এখন আবারও লেগুনা চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা এখন যাতায়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।

এ বিষয়ে মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমাকে প্রতিদিন খামারবাড়ি থেকে মহাখালী অফিসে যেতে হয়। এই রোডে তেমন কোনো লোকাল বাস নেই, সব সিটিং সার্ভিস। তাও আবার ১০ টাকার ভাড়া ২৫ টাকা দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে এই রোডে লেগুনার বিকল্প নেই। তাই হুট করে বন্ধ করলেই তো চলবে না। আগে লেগুনার বিকল্প বের করতে হবে তারপর বন্ধ করা উচিৎ।’

এদিকে বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীতে ৫ হাজারের মতো বৈধ লেগুনা আছে কিন্তু চলছে ১০ হাজারের মতো। এছাড়া অধিকাংশ লেগুনা চালকের নেই লাইসেন্স। কিশোর এসব চালকরা নকল জন্ম সনদ বানিয়ে বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স করিয়ে নিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লেগুনার বৈধতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে তেমনি চালকের লাইসেন্স নিয়েও আছে সন্দেহ। এছাড়া অধিকাংশ চালক ও হেলপার কিশোর কিংবা শিশু, একটিও আরেকটি বড় অপরাধ। এসব বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া উচিৎ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ডিএমপি যখন এ সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমরা এর সমালোচনা করেছিলাম। কেননা বিকল্প ব্যবস্থা না করে লেগুনা চলাচল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে যাত্রীর ভোগান্তি বাড়বে। এছাড়া রাজধানীতে নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। হুটহাট করে লেগুনা, রিকশা বা ইজিবাইক বন্ধ করে আবার চালু করে কোনো সমাধান হবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ যদি চায় রাজধানীতে একটিও লেগুনা চলার ক্ষমতা নেই।’

   

বরিশালের জর্ডন রোডে ড্রেনের লোহার ঢাকনা চুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়মিত চুরি হয়ে যাচ্ছে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোডের ড্রেনের লোহার ঢাকনা। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ঢাকনা চুরি করছে তার কোনো প্রমাণও নেই। তবে রাত হলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ডের এই জর্ডন রোড।

ইতিপূর্বে গত ৩০ মার্চ জর্ডন রোডের সার্কিট হাউসের পেছনের মোড়ে সড়কের ড্রেনে লাগানো লোহার ঢাকনা বা স্লাব চুরি হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন পথচারীসহ দ্রুতগামী যানবাহনের চালকরা। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যান অনেকে। বিষয়টি জানা মাত্র বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দ্রুত ২ এপ্রিল নতুন ঢাকনা লাগিয়ে আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করেন জর্ডন রোডের বাসিন্দা ও ঐ পথে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে।

গত ১৭ এপ্রিল পুনরায় জর্ডন রোডের আরো একটি লোহার স্লাব চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোর। ফলে এই সড়কে আবারো ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। শুধু তাই নয়, চোরেরা নতুন লাগানো ঢাকনাটিও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, যার প্রমাণ চারপাশে ভাঙা ইটের সুরকী (ছবি)।

জর্ডন রোডের কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চোরের বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে গভীর রাতে এই সড়কটি ভয়ংকর হয়ে ওঠে এবং একা প্রতিবাদ করার সাহস হয়না বলে দাবি করেন অনেকেই। এই সড়কের পাশে বহুতল একটি ভবন রয়েছে। যেখানে সিসি ক্যামেরাসহ রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীও।

এই ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের একজন আলম রায়হান বলেন, প্রায় প্রতি রাতেই রাত বারোটার পর একদল টোকাই শ্রেণির মাদকাসক্তদের সোরগোল শুনতে পাওয়া যায়। তারা ভবনের সামনে আসে না, যদি আসলে তাহলে ডাক দেওয়ামাত্র ছুটে পালিয়ে যায়। তবে আশেপাশের বাসিন্দারা কেউ ভয়ে বের হয়না বলে জানান তিনি।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এই সড়কে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সচেতন হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু জর্ডন রোড নয়, নগরীর সব রোডের বাসিন্দাদেরই সচেতন হতে হবে। এই নগরীর রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের নয়, আমার আপনার সকলের। নগরবাসী যদি সচেতন না হন, তাহলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে শহর সুন্দর রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে বলে জানান মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত।

;

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেড় ঘণ্টার সভায় ৩ বার লোডশেডিং



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের একটি মতবিনিময় সভায় ৩ বার লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিন নির্ধারিত সময়ের পর বেলা ১২টায় শুরু হয়ে ১টা ৩০ মিনিটে শেষ হয় মতবিনিময় সভা। এর মাঝে অন্তত ৩ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে সভাস্থলে।

একপর্যায়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। প্রায় ১০ মিনিট পর আবারও সভাস্থলে ফিরে আসেন তারা।

এ সময় বারবার লোডশেডিংয়ের জন্য একাধিকবার দুঃখ প্রকাশ করে আয়োজক কমিটি।

আয়োজক কমিটিতে থাকা ডা. সুজিত সাহা 'বার্তা ২৪.কমকে বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়টি আমাদের দায়িত্বে না। আমরা অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলাম।

;

রাঙামাটিতে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যরাতের ঝড় বৃষ্টিতে মুহুর্মুহু বজ্রপাতের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে রাঙামাটির বরকলে জটিলা চাকমা (৫৮) নামের এক গৃহবধু নিহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় বরকল উপজেলাধীন ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভুধছড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বামী প্রমোদ কানু চাকমা জানান, রাতে হঠাৎ বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। 

এসময় আমি খাটের ওপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর আমার স্ত্রীও তার মেয়ে ও নাতনি সহ মাটিতে বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর হঠাৎ আচমকা বাড়ির ছাদে বজ্রপাত হলে আমার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার গুরুতর অবস্থা দেখে নিকটস্থ বরকল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে তার ছোট মেয়ে ও নাতনিসহ ঘুমাতে বিছানায় শুয়ে পড়েন। এই সময় হঠাৎ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। তবে সাথে থাকা তার ছোট মেয়ে ও নাতনি কাকতাঁলীয়ভাবে প্রাণে বেঁচে যান।

;

গাইবান্ধায় গরু চুরি মামলার আসামির হাতে বাদী খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গরু চুরি মামলার আসামির ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন ওই মামলার বাদী রাহিদুল ইসলাম বাবু (৩২) নামে এক যুবক। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এরআগে একইদিন রাত ৮টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি।

নিহত রাহিদুল ওই ইউনিয়নের পূর্বগোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

বিষয়টি মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, চলতি বছরের একটি গরু চুরি মামলার বাদী ছিলেন নিহত রাহিদুল ইসলাম। আর ওই মামলর আসামি ছিলেন খলিলসহ অন্যরা।

সেই মামলার জেরে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় একই মামলার আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাহিদুলের উপর হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা রাহিদুলের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে (রাহিদুলকে) চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে আসামিরাই রাহিদুলকে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে। চুরি মামলার মূল আসামি ও ঘটনার সাথে জড়িত খলিলসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।

;