বুলডোজারে বিলীন রাজ্জাকের ৬০ বছরের স্মৃতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
আব্দুর রাজ্জাকের পান দোকান, ছবি: বার্তা২৪.কম

আব্দুর রাজ্জাকের পান দোকান, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এইতো কিছুদিন হইবো, হারাদিন কাম কইরা শরীরটা জিরানির লাইগা এই পানের দুয়ানে আইছিলাম। এনে পান খাইতাম আর গ্রামের পোলা মাইয়ারে টেলিফোন করতাম। আমার লাহান এইরম শত শত মজুর পান খাইতে লাইন লাগাইতো এই দোহানে। আইজ সাহেবরা দুপুরে দোহানটা ভাইঙ্গা দিছে। কেউ না করে নাই।’

বলছিলাম চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড়ের উচ্ছেদে গুড়িয়ে দেওয়া ৬০বছরের ‘রাজ্জাক স্টোরের’ কথা। বয়সের ভাড়ে নুইয়ে পড়া আলতাফ মিয়া এই দোকানের পানের স্বাদ নিতেন ২৪ বছর ধরে।

আলতাফ মিয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলাম দোকানটির কথা। ওই সময়ে অনেকে এসেছিলেন দোকানটি শেষবারের মতো দেখতে, কেউ এসেছিলেন ভেঙে দেওয়া ধ্বংসাবেশ কুড়িয়ে নিতে।

পাকিস্তান আমলে এক প্রকার সৌখিনতার বশে প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক পানের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। দোকানের আয় দিয়ে চলছিল তার পরিবারের প্রয়োজন। ১৯৯৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে আব্দুর রাজ্জাক মারা গেলে ঐতিহ্যগতভাবে তাই এই ব্যবসার হাল ধরেন বড় ছেলে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। পরিসর বাড়িয়ে বিভিন্ন স্টেশনারী সামগ্রী দিয়ে চালান ব্যবসা। সবকিছু চলছিলো ঠিকঠাক।

পারিবারিকভাবে গড়ে ওঠা মাছিরঘাট গেইটের স্থানে সময়ের পরিধিতে গড়ে ওঠে ইমাম, রুপসা, আহমদিয়া, ফাইভ স্টার, নুর মদিনা, বিসমিল্লাহ, আল ফারিয়ালসহ বেশ কয়েকটি লবণের গুদাম। এসব গুদামে কর্মরত প্রায় ছয়শ’র অধিক শ্রমিকের সুখ-দুঃখের সম্পৃক্ত আব্দুর রাজ্জাকের পান দোকানের স্মৃতি।

সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা আলতাফ মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, আশেপাশের কাজ করা শ্রমিক থেকে নিম্ন পর্যায়ের যে কোনো মজুরি মিয়ার পান খেয়ে কাজে নামেনি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। অত্যন্ত নিরেট ভদ্র আর মিষ্টাভাষী আব্দুর রাজ্জাকের অনেক গুণ পায় তার ছেলে জসিম। কি রাত দিন, রাজ্জাক ভাই পান না খাইয়ে কাউকে ছাড়তেন না। তিনি মানুষকে পান খাওয়াতে পছন্দ করতেন।

দোকানের পাশে বার বার বাবার ফেলে যেওয়া স্মৃতিতেই যেন খুঁজছিলো জসিম। কখনও তার মনে হয়নি, বাবার রেখে যাওয়া স্মৃতি একদিন তলিয়ে যাবে।

বার্তা২৪.কমকে জসিম বলেন, বাবার রেখে যাওয়া দোকান দিয়ে আমাদের পরিবার চলতো। বাবা মানুষকে ভালোবাসে পান দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। আমাদের সবাই বাবার ছেলে বলে গর্ব করতাম। আমাদের কষ্ট লাগছে, বাবার রেখে যাওয়া স্মৃতি আমাদের সাথে আর নেই। কাল থেকে নতুন জীবন যুদ্ধের নামতে হবে আমাদের।

মাঝিরঘাট লোহারগেইটের ওই স্থানে রয়েছে ২৫টির অধিক লবণের গুদাম। এসব গুদামের ভাড়ায় নিয়ে চলে ব্যবসা করছেন ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা। এরা বেশিরভাগেই পারিবারিকভাবে এ পেশায় সমৃদ্ধ। এ ব্যবসায়ের ওপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নির্ভর করছে পরিবারের ভরণ-পোষণ। গুদাম ভেঙে দেওয়ার ফলে ইতিমধ্যে অনেক শ্রমিকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযান অব্যাহত থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়বে জসিমের ৫০ হাজারের অধিক পরিবারের আয়ের খাত। একইসঙ্গে গুদামের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মাঠ পর্যায়ের লবণ শ্রমিকরা। তাদের কাছ থেকে লবণ নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুদাম নেই; লবণ নিয়ে কোথায় রাখব?

এদিকে উচ্ছেদ কার্যক্রমের চতুর্থ দিনে প্রথমবারের মতো পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা চাচ্ছি ঢাকার সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামে মানুষের প্রশান্তি ও বিনোদনের জন্য হাতিরঝিলের আদলে একটি পর্যটন স্পট করার। যাতে মানুষ বিনোদনের জায়গা পায় এবং মানসিক প্রশান্তি পায়। এর পাশাপাশি উদ্ধারকৃত জায়গা সংরক্ষণে আমাদের তদারকি রয়েছে। কোনোভাবেই কাউকে এসব জায়গা বেদখল করতে দেওয়া হবে না।

এ সময় তিনি জানান, গত চারদিনে প্রথম ধাপের ৭৫ শতাংশ অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। দু একদিনের মধ্যে বাকি ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হবে।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন জানান, হাইকোর্টের একটি রায়ে ২ হাজার ১১২টি স্থাপনার মধ্যে সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ ছয়টিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে বন্দরের মালামাল ওঠানামার সুবিধার্থে তাদের লিজ দেওয়া হয়েছে। নৌবাহিনীর একটি স্থাপনা, এয়ারপোর্টের রানওয়ে এমন ছয়টিকে প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কোনো বিবেচনা নেই, আরএস অনুযায়ী যেগুলো ভাঙার প্রয়োজন, ইনশাআল্লাহ- সবগুলো ভাঙা হবে।

রাতের আড়ালে দুর্বৃত্তরা সীমানা ছড়িয়ে দিচ্ছে এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক জানান, সেরকম কোনো সুযোগ নেই, সব আমার নখদর্পনে, সব আমাদের মুখস্ত। এর বাইরে কেউ প্রবেশ করলেও তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোর্পদ করা হবে।

   

জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণকে ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ বলে মন্তব্য করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি মনে করে, প্রস্তাবিত একীভূতরকরণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণে জর্জরিত দুর্বল ব্যাংকের মন্দ ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহি সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যে ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে, তা সংকটের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির জন্য দায়ী মহলকে ‘দায়মুক্তি’ প্রদানের নামান্তর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মতামত প্রকাশ করেছে টিআইবি।

টিআইবি জানায়, ব্যাংকিং খাতের দুর্বল ব্যাংকগুলো রক্ষার নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, যা আর্থিক খাতে সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হওয়ার কথা। কিন্তু সংবেদনশীল ও জটিল এই কাজটি করতে আর্ন্তজাতিকভাবে অনুসৃত মানদণ্ড ও রীতিনীতি, এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজের ঘোষিত নীতিমালা না মেনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারীভাবে চাপিয়ে দেওয়া কয়েকটি ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা এবং এ প্রক্রিয়ায় থাকা ভালো ব্যাংকগুলোর অস্বস্তি, একীভূত হতে কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংকের অনীহা, সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে শঙ্কা, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা গভীরতর করেছে। যা একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়াটিকে শুরুর আগেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, যে কোনো দুর্বল ব্যাংক চলতি বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশপূর্বক নিজস্ব সম্পদ ও দায়-দেনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে মূল্যায়ন করে প্রকাশ করার কথা। যা বিবেচনায় নিয়ে সবল কোনো ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকটিকে স্বেচ্ছায় একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ রাখা রয়েছে।

প্রাথমিক এই প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হলেই কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক জোরপূর্বক একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা- মনে করিয়ে দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি দুর্বল ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যাংকই নিজ উদ্যোগে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি, আবার এ প্রক্রিয়ায় নাম আসা সবল ব্যাংকগুলো স্বীয় উদ্যোগে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে এতে যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে তাও নয়। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটি প্রথম থেকেই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ঘোষিত নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাছাড়া, দুর্বল ব্যাংকের সম্পদ ও দায়-দেনার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন ছাড়া আপাত সবল ব্যাংকের ঘাড়ে একীভূতকরণের নামে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, যা ঘটছে তা ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যারাসিটামল প্রয়োগের নামান্তর। একীভূতকরণের নামে একদিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও জালিয়াতির জন্য যারা দায়ী তাদের যেমন সুরক্ষা দিয়ে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতিকে গভীরতর করা হচ্ছে, অন্যদিকে সবল ব্যাংকগুলোর সাফল্যের পরিণামে খারাপ ব্যাংক হজম করিয়ে দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে। যা অস্বস্তি ও শঙ্কার নতুন বাতাবরণ ছড়িয়ে দিয়েছে পুরো খাতে।

দুর্বল ব্যাংককে বাঁচানোর এই প্রক্রিয়া হিতে বিপরীত হবে কি-না আশঙ্কা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, একীভূতকরণের আলোচনায় সরকারি-সরকারি, বেসরকারি-সরকারি এবং বেসরকারি-বেসরকারি তিন ধরনের ব্যাংকই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন বিবেচনায় এই ব্যাংকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একীভূত করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, কিংবা কোন সবল ব্যাংকের সঙ্গে কোন দুর্বল ব্যাংক একীভূত হবে, তা কিভাবে ঠিক করা হয়েছে- তাও স্পষ্ট নয়। আবার, একীভূত হওয়ার আলোচনার বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়ছে। অন্যদিকে, দুর্বল দুটি ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে যাওয়া সবল বলে পরিচিত সরকারি দুটি ব্যাংকের নিজেদের খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেশ বড়। এমন বাস্তবতায় ব্যাংকিং খাতের মূল সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর জবাবদিহি-ভিত্তিক সুশাসন নিশ্চিত করা ছাড়া, শুধু একীভূত করলেই সংকট মোকাবিলা করা যাবে বা গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা পাবে কিংবা খেলাপি ঋণ কমে আসবে- এমন ভাবনা সত্যিই অলীক।

একীভূতকরণ নীতিমালায় দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের পাঁচ বছর পর পুনরায় একীভূত হওয়া ব্যাংকের পর্ষদে ফেরত আসা ও ব্যবস্থাপনায় জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের পুনঃনিয়োগের সুযোগ রাখার বিধানের সমালোচনা করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ বিধান দুর্বল ব্যাংকের সংকটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির বদলে পুরস্কৃত করা এবং এক ধরনের দায়মুক্তি দেবার বিধান। পাশাপাশি, দুর্বল ব্যাংকের নিরীক্ষাকালে নতুন কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির চিত্র উঠে এলে সে বিষয় গোপন রাখার যে বিধান নীতিমালায় রাখা হয়েছে, তা শুধু আর্থিক অনিয়মের চিত্রকেই ধামাচাপা দেবে না, একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির মুখোমুখি করার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হবে। যা এক কথায় অন্যায়কে সুরক্ষা দেওয়ার শামিল। একীভূতকরণের নামে যা ঘটছে, তা হতাশাজনক এবং ঋণ খেলাপিদের হাতে ব্যাংকিং খাতের অব্যাহত জিম্মিদশার পরিচায়ক।

নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত দুর্বল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রাষ্ট্রীয় মালিকানার একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি কিনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে জনগণের অর্থে ঋণ খেলাপিদের আরও এক দফা দায়মুক্তি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ব্যাংক খাতের বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ও জন অস্বস্তি বিবেচনায় টিআইবি মনে করে, প্রত্যাশিত ফল পেতে সংশ্লিষ্ট খাতে সুখ্যাতিসম্পন্ন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞগণের মতামতের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি, ইতোমধ্যে একীভূতকরণের নামে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন স্থগিত করার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।

;

রাঙামাটিতে ইয়াবা পাচারকালে আটক ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পান ব্যবসায়ের আড়ালে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে মাদক পাচারকালে ইয়াবাসহ আটক হয়েছে সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর রাত ৪টার সময় চট্রগ্রামের হাটহাজারী থেকে পান বোঝাই একটি মিনি ট্রাক রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার আর্মি ক্যাম্পের চেকপোস্টে আসলে চেক করার জন্য গাড়ি দাড় করায় সেনাবাহিনী। এর মধ্যই সন্দেহজনক হলে লংগদু থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তল্লাশি করে ইয়াবাসহ তাদের আটক করে।

লংগদু থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও এসআই আল আমিন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে গাড়িতে থাকা পানের খাঁচাগুলো তল্লাশি করে খাঁচা থেকে একটি প্যাকেট পায়। যার মধ্যে ৫১ পিস ইয়াবা (মাদক) ছিলো। যা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় গাড়ির ড্রাইভার মারুফ ও হেলপার ইউনুছ এবং পান ব্যবসায়ী সাবেক কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম ও রফিকুল ইসলমাকে আটক করে পান বহনকারী গাড়ি সহ থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদক নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৮ এর ৩৬(১) সারনির ১০(ক)/৩৮/৪১ ধারায় অপরাধে, আসামিদের দুপুর ২টায় লঞ্চে রাঙ্গামাটি আদালতে প্রেরণ করে। 

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, আমদের কাছে খবর আসলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং মাদকসহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

;

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট উপলক্ষে আবারও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশনসহ আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে।

ভারতের দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কালেক্টর এবং নির্বাচন অফিসার ডা. প্রীতি গোয়েল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে টানা তিনদিন পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশনসহ সব ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা ও বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা জানান, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গেছে, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটের কারণে দার্জিলিংয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডা. প্রীতি গোয়াল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগামী বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত তিন দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। তবে এসময়ে ভারত ও বাংলাদেশে অবস্থানরত যাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন এবং জরুরি মেডিকেল ভিসা যাত্রীরা প্রবেশ করতে পারবেন জানিয়েছেন তারা।

;

বগুড়ায় বটির উপর পড়ে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার কাহালুতে তরকারি কাটার বটির উপর পড়ে রাহি মনি (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সাঘাটিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাহি মনি ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে।

জানাগেছে, শিশুটি মা আমেনা বেগম বাড়ির উঠানে বসে বটিতে তরকারি কাটছিলেন। শিশুটি উঠানে খেলাধুলা করার সময় দৌড়ে বটির উপর পড়ে যায়। এতে বটির সামনের অংশ শিশুটির বুকে ঢুকে যায়। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, নিহত শিশুর পরিবারের কারো কোন অভিযোগ নাই। এটি একটি দুর্ঘটনা। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

;