আইজ শীত পড়ছে, বাঁশিত কড়া সুর উঠব না



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ), বার্তা২৪.কম
বাঁশি বিক্রেতা কদ্দুস। ছবি: বার্তা২৪.কম

বাঁশি বিক্রেতা কদ্দুস। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আট বৎস্যর আগের কথা। ভাদ্র মাইস্যা চাঁদনী রাত। হেই রাইতে বাড়ির পেছনে ইশকুলের বারিন্দাত বইয়্যা একলা বাঁশি বাজাইতাছিলাম। হুট কইরা বিরাট আওয়াজ হইল। ওই সময় মনে অইল ইশকুলের পাশে থাহা কড়ই গাছটা ভাইঙ্গা পড়তাছে। মেলা ভয় পাইছিলাম। বুক ধড়ফড় করতে লাগলো। কিন্তু বাঁশি বাজানি থামাই নাই। বাঁশি বাজাইতে বাজাইতে বাড়িত আইয়্যা পড়ি। হেরপর অসুখে পইর‌্যা গেলাম। নাক-মুখ ফুইল্যা গেলো। এক হপ্তাহ কবিরাজি ওষুধ খাইয়্যা ভালা অইলাম। পরে খবর লইয়্যা জানলাম হেই রাইতে কড়ই গাছের কোনো ডাইল ভাঙে নাই। গাছটার ডাইলপালা ঠিকই আছে। হের পরের থেইক্যা আর রাইতের বেলা একলা বাঁশি বাজাই না।’

বার্তা২৪.কমের কাছে নিজের ৪০ বছরের বাঁশি বাজানো জীবনের একটি ভয়ার্ত অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন আব্দুল কদ্দুস (৫৩)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের কাশিচরণ গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত তালেব হোসেনের ছেলে।

৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাঁশিওয়ালার দেখা মিলে গৌরীপুর পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে। চত্বরের পামগাছের নিচে বাঁশির পসরা সাজিয়ে বসে আছেন তিনি। একই সঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে চলেছেন একমনে। আর শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করছে তার সেই সুর।

সুর থামলে এ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় আব্দুল কদ্দুসের। কথায় কথায় জমে গল্প। তার বাঁশিতে বেজে ওঠে নানা রকম সুর। সেই সুরে মন্ত্রমুগ্ধ হয় দর্শনার্থীরা।

কীভাবে বাঁশিওয়ালা হয়ে উঠলেন জানতে চাইলে আব্দুল কদ্দুস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। লেহাপড়া করবার পারি নাই। তয় বাঁশি বাজানির লেইগ্যা আমি উতলা ছিলাম। তাই একদিন বাজান আমারে লইয়্যা গেলো সরিষাহাঁটি গ্রামের বিখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ রইছ উদ্দিনের কাছে। পরে ওস্তাদের বাড়িত থাইক্যা কাইজ-কাম করি। আর রাইতে ওস্তাদ আমারে বাঁশি বাজানির তালিম দিতো। হেরপর ১৩ বৎস্যর বয়সেই আমি বাঁশি বাজানি শিইখ্যা ফেলি। আস্তে আস্তে বাঁশি বানানির কামও শিহি।’

মোহন বাঁশি, নাগিনী বাঁশি, কল বাঁশি, পাতা বাঁশি সহ বিভিন্ন ধরনের বাঁশি তৈরি করতে পারেন কদ্দুস। এসব বাঁশি তৈরির জন্য সুসং দুর্গাপুরের পাহাড়ি এলাকা থেকে ‘তরলা’ বাঁশ কিনে আনেন তিনি। ওই বাঁশ কেটে, রোদে শুকিয়ে, গরম লোহার শলাকা দিয়ে ছিদ্র করে, বার্নিশ করে এক একটি বাঁশি তৈরি করা হয়। প্রতিদিন স্থানীয় হাট-বাজারে ৫ থেকে ৬শ টাকার বাঁশি বিক্রি করেন তিনি। তবে রাজধানী ঢাকায় গেলে প্রতিদিন ২ হাজার টাকার বাঁশি বিক্রি হয় তার।

এক সময় অভাব-অনটনে থাকলেও বাঁশি বিক্রি করে কদ্দুস এখন গ্রামে জমি-বাড়ি করেছে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। দাম্পত্য জীবনে কদ্দুসের স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে।

কথা প্রসঙ্গে কদ্দুস জানান, বাঁশি বাজানো শেখানোর জন্য কেন্দুয়া থানার বেকুরহাটি গ্রামে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছেন। ৭-৮ জন যুবক প্রতিমাসে ৫শ টাকা দিয়ে বাঁশি বাজানোর তালিম নেয় তার কাছে। এছাড়াও দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকজনও অগ্রিম অর্ডার দিয়ে তার কাছ থেকে বাঁশি কিনে নিয়ে যায়।

এরই মাঝে সন্ধ্যা নেমেছে। শীতের প্রকোপের সঙ্গে বইছে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া। এমন সময় দর্শনার্থীদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি বলে, ‘কদ্দুস ভাই বাঁশিতে গরম একটা সুর তোলো।’

কথার রেশ টেনে কদ্দুস বলেন, ‘আইজ শীত পড়ছে, শইলডাও জুইত নাই। কড়া সুর উঠবো না।’ এই কথা বলেই বাঁশি হাতে নেয় কদ্দুস। করুণ সুরে বাঁশিতে বেজে উঠে ‘পূবালী বাতাসে, বাদাম দেইখ্যা চাইয়্যা থাকি, আমারনি কেউ আহে রে।’

বাঁশির সুরের মূর্ছনায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে সন্ধ্যার আলো রাতের আঁধারে মিলে যেতে থাকে।

   

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;