সৈয়দ আশরাফকে স্মরণ করে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব

একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কথা স্মরণ করে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় আবেগআপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজের আপন ভাইয়ের মতোই তাকে দেখতাম। আজ কিশোরগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ জানাই, আশরাফ অসুস্থ থাকা অবস্থায় তাকে আমরা দলীয় মনোনয়ন দেই। তাকে বাদ দিতে পারিনি। তখনও সে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন। এই যে তার অনুপস্থিতিতে তাকে মনোনয়ন দিলাম, কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুরের মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছে। যেদিন আমরা শপথ নেবো সেদিনই তার মৃত্যুর খবরটা পেলাম। যা সবচেয়ে কষ্টকর , যে সে শপথটাও নিতে পারল না।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

লন্ডনের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লন্ডনে আওয়ামী লীগের শাখা গড়ে তোলার জন্য আমি আশারাফসহ সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করেছি। সে আমাকে বোনের মতোই জানত। আশরাফ খুব মেধাবী ছিল। এমনও সময় ছিল যখন তার কাছে খাবারের টাকাও ছিল না। সেখানে সে কাজও করত, পাশাপাশি রাজনীতিও করত। ১৯৮০ সালে আমাকে একদিন ফোন করল, আপা অনেক দিন হয়ে গেলো বাড়ির রান্না খাইনা। আমি বল্লাম চলে আসো। এতো সহজ-সরল ছিল, বলত আসব যে আমার ট্রেনের ভাড়াটাও তো নেই। আমি বলেছিলাম, ব্যবস্থা করে আসো, আমি পরে ব্যবস্থা করব। বোনের কাছে যেভাবে আবদার করে, আশরাফ সেভাবে আমার কাছে আবদার করত। ভাইদের হারিয়ে যাদের খুব কাছে পেয়েছিলাম আশরাফ তাদের মধ্যে একজন।

তিনি বলেন, আমি আশরাফকে ১৯৯৬ সালে লন্ডন থেকে নির্বাচন করার জন্য দেশে আসতে বলেছিলাম। সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়, আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন তাকে প্রতিমন্ত্রী করি। আমরা আবার সরকার গঠন করি তখন তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলাম এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে আশরাফ। আশরাফ একজন জ্ঞানী লোক। তাকে হারানো আমাদের দল ও দেশের জন্য ক্ষতি। কিন্তু ক্যানসারের মতো একটা রোগ তাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গেলো।

তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিল সৈয়দ আশরাফ। আজ আমরা যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি সেক্ষেত্রে সৈয়দ আশরাফেরও বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। অসম্ভব সহজ সরল ছিল সে। তাঁর বাবা দেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সৈয়দ আশরাফও দীর্ঘদিন মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সবসময় অসম্ভব সৎ জীবন-যাপন করেছে। ওর টাকা নেই, পয়সা নেই। কষ্ট করে চলতে হতো। তাঁর চিকিৎসার জন্য যা যা করার আমি তা করেছি। তাঁর মতো একজন প্রজ্ঞাবান ও জ্ঞানী রাজনীতিবিদের চলে যাওয়ার ক্ষতি কোনদিন পূরণ হবার নয়।

তৃণমূল ছাত্র রাজনীতি থেকে আশরাফ উঠে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। তাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলাম, পরবর্তীতে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করেছিলাম। তার রাজনৈতিক জ্ঞান ছিল অনেক ভালো। সারা বিশ্বের রাজনৈতিক বিষয় ছিল তার নখদর্পণে। সে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যখন অসুস্থ হলেন মন্ত্রী হিসেবে তার চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার দিতে পেরেছি। তার স্ত্রী যখন অসুস্থ হয়, তখনও খোঁজখবর রাখতাম।

শোক প্রস্তাবের ওপর আরও আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এবং সাবেক বিরোধী দলের নেতা জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বেগম রওশন এরশাদ।

   

বাস উঠল রেললাইনে, পুলিশের চেষ্টায় রক্ষা পেল হাজারো যাত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনে উঠে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে এমন ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনের উপরে উঠে যায়। এ সময় মধ্যরাতে মহাসড়কে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে ছেড়েছে। একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনে থাকা যাত্রী সবুজ আহমেদ ও হৃদয় ইসলামসহ অনেকেই জানান, হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় থেমে যায়। পরে জানতে পারি এখাকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে। ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে যেকোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। 

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষ বাসটি রেললাইন উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ কন্টোলরুম বা রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চমগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে দাঁড় করানো হয়। এতে করে ট্রেনের হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।

এসআই টিটু আরও জানান, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতু পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।

;

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। যথাসময়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদ স্পেশাল-৯ নামের একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও বিকল্প আরও তিনটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।

স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে বিশেষ ট্রেনটি ছেড়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকট শব্দে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। তবে বিকল্প আরও তিনটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

যথাসময়ে বিকল্প লাইন দিয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। ট্রেনটি উদ্ধার করতে চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী দল।

লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধারের বিষয়ে চকরিয়ার স্টেশন মাস্টার এস এম ফরহাদ জানান, ইঞ্জিন ট্যুল ভ্যান কাছাকাছি চলে এসেছে। এটার উপর নির্ভর করছে কতক্ষণে সেকশন ক্লিয়ার হবে। তবে আশা করছি বিকেলের আগেই এই লাইনটিও স্বাভাবিক হবে।

;

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের বোদা—দেবীগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কে ট্রাক ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন পথচারী নারীসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চার জন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে জেলার বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের কলাপাড়া নামক স্থানে মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন বোদা পৌরসভার সদ্দার পাড়া গ্রামের সাফিরের স্ত্রী পথচারী নুরজাহান (৬০) ও একই উপজেলার মাজগ্রাম এলাকার মানিক ইসলামের ছেলে জাহিদ ইসলাম (২৫)।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, দেবীগঞ্জ থেকে পঞ্চগড়গামী একটি দ্রুতগামী ট্রাক ও বিপরীতমূখী একটি দ্রুতগামী ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। এসময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা একজন পথচারী নারীকে গাড়িগুলো চাপা দিলে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। একই সময় মারা যায় ট্রলির চালক জাহিদ। এদিকে স্থানীয়দের সহায়তায় উভয় গাড়ির আহতের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

;

কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসহনীয় তাপদাহে পুড়ছে দেশ। তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করছে দেশবাসী। তাই বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছেন কুষ্টিয়ার মুসল্লিরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। বিশেষ দোয়াতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করেন মুসল্লিরা।

এতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

নামাজ ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন।

মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন বলেন, মানুষের পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইসতিসকার নামাজ তিন দিন আদায় করা সুন্নত।

প্রসঙ্গত, কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে উঠছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল ।

নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। তবে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

;