টিআইবির প্রতিবেদন মনগড়া: তথ্যমন্ত্রী
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ/ ছবি: বার্তা২৪.কম
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর প্রতিবেদন মনগড়া বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘টিআইবি প্রকৃতপক্ষে যে পদ্ধতিতে দুর্নীতির এই ধারণাসূচক তৈরি করেছে, সেটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। কোন পদ্ধতিতে তারা এটা করেছে তা স্পষ্ট করেনি।’
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টিআইবির প্রকাশ করা দুর্নীতি সূচক নিয়ে প্রতিবেদন বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান মাহমুদ বলেন, ‘যতদুর জানি, টিআইবির এই দুর্নীতি সূচক নিরুপণের মেথোডলজি তথাকথিত কিছু বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ির মতামত গ্রহণ করা ও তাদের বিভিন্ন জায়গায় কিছু কমিটি আছে নানা নামে, সেই সমিতি বা কমিটির মাধ্যমে এসব তথ্যগুলো সংগ্রহ করে। অর্থাৎ তাদের মেথোডোলজিই সমস্যাগ্রস্ত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে বলে সারাদেশে রব তুলেছিল টিআইবি। তখন বিশ্বব্যাংক অর্থ বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা বলেছিল দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরে সেটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কানাডার আদালতে মামলা করেছিল, সেখানে বিশ্বব্যাংক হেরে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও টিআইবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তা ছিল বিএনপির এজেন্ডা। বিএনপির অভিযোগের সঙ্গে তাদের প্রতিবেদনের ৮০ শতাংশ মিল ছিল। ফলে তারা একটি বিশেষ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় এটা পরিষ্কার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি দলের সংসদ সদস্যকে দুদক জিজ্ঞাসা করে এবং আদালতে দাঁড়ায়; যা বাংলাদেশে অতীতে কখনো হয়নি। যখন বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেছে বলে বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়, ঠিক সেই মুহূর্তে টিআইবি তাদের ত্রুটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ পদ্ধতি দিয়ে দেশের মানুষকে হেয় করার চেষ্টা করছে।’
এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছেন কিনা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ টিআইবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুদক ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চেয়েছে। আমি টিআইবিকে বলবো, আপনারা কোনো তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তা দুদকের কাছে বলুন।’
সরকারে থাকতে বিএনপি তিন বার দুর্নীতি চাম্পিয়ন হয়েছে- টিআইবি যখন এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তখন আপনারা স্বাগত জানিয়েছিলেন এখন টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তখন যথেষ্ট কারণ ছিল। তখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। খালেদা জিয়া নিজে কালো টাকা সাদা করেছেন। তার অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করেছেন। এখন কোনো তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে তার নির্দিষ্টে কোনো প্রামাণ নেই।’
