দুদকের হাতে ইউপি চেয়ারম্যান আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে গ্রামের অস্বচ্ছল মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে মোঃ আমানউল্লাহ নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আমানউল্লাহ সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং হিজলতলা গ্রামের মোঃ শাহজাহানের ছেলে। 

বুধবার (২৩ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর চৌমাথা এলাকা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে তাকে আটক করা হয়।

পরে তাকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতয়ালী মডেল থানার মাধ্যমে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজী বার্তা ২৪.কমকে জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কার্ডধারী ২৫১ জন উপকারভোগীকে তিন মাসে ৯০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও সর্বোচ্চ ৭০ কেজি করে দেয়া হয়েছে। আর এতে অন্তত ২০ কেজি করে মোট ৫ দশমিক ০২০ মেট্রিকটন চাল আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। যার সরকারি মূল্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪২৭ টাকা।

তিনি আরও জানান, প্রতিমাসে ওই ইউনিয়নে ২৫১ ভিজিডি কার্ডধারী উপকারভোগীর জন্য ৩০ কেজি করে ৭ দশমিক ৫৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। আর পরিপত্র অনুযায়ী প্রতিমাসের চাল প্রতি মাসে উত্তোলন করে নিয়োগকৃত ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরন করতে হয়।

কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের বরাদ্দৃকৃত মোট ২২ দশমিক ৫৯০ মেট্রিকটন চাল উত্তোলন করে। পরবর্তীতে সেটা প্রতিমাসে না দিয়ে তিনমাসের চাল এক সাথে করে ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে একই বছরের ২১ ডিসেম্বর বিতরন করে। এতে ৯০ কেজি করে প্রত্যেক উপকারভোগীকে বিতরনের কথা থাকলেও মূলত তার ৭০ কেজি করে চাল বিতরন করে।

আবুল হাশেম জানান, আর এই কাজে তাকে ঐ ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সহযোগীতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এতে দন্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করছেন।

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজী বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর মেট্রোপলিটনের বন্দর থানায় চাল আত্মসাৎ এর মামলা দায়ের করেছেন। আর ওই মামলায় আজ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই মামলায় অপর অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীরকেও আটক করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। জাহাঙ্গীর ওই ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকার রুস্তুম আলী খানের ছেলে। 

   

পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়াকে অযৌক্তিক বলছে দোকান মালিক সমিতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়াকে অবিবেচনা, অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদফতরকে নির্ধারণ করা দেওয়া পণ্যগুলো বিক্রি করার দাবি জানিয়েছে সমিতি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। এসময় মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়াসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না জানিয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন ২৯ পণ্যের দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ দামে এসব পণ্যগুলোকে কৃষি বিপণন অধিদফতর কর্তৃক বিক্রয়ের অনুরোধ জানায়। একই সঙ্গে পণ্যগুলোর বিক্রিত লাভ দিয়ে কর্মকর্তারা বেতন নেবেন। হয় তাদের বেঁধে দেওয়া দামে কৃষি বিপণনকে বিক্রি করতে হবে, না হলে এ প্রজ্ঞাপন স্থগিত করতে হবে। আমরা এ দামে বিক্রি করতে পারবো না। দাম বেঁধে দেওয়াটা অযৌক্তিক-অবাস্তব ও অর্থহীন।

তিনি বলেন, ক্রেতার সন্তুষ্টিই বিক্রেতার কাম্য। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ শ্রেণির ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ৭ দফা দাবি পেশ করছি।

দোকান মালিক সমিতির ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

>> ২৯ পণ্যের মূল্যনির্ধারণ অবিবেচনা, অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত। তাই এখনই প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করতে হাবে। অন্যথায় ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া আমাদের উপায় থাকবে না।

>> বিভিন্ন পণ্যের আমদানি ও উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে হবে।

>> টিসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে পণ্য আমদানি করে বিপননের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বােঝা যাবে ব্যক্তি খাতের সঙ্গে সরকারি খাতের পার্থক্য কত।

>> বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য একই মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।

>> বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পর্যান্ত সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

>> ব্যবসায়ীদেরকে বিভিন্ন সংস্থার চাপমুক্ত অবস্থায় ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।

>> নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের উপর আরোপিত সকল প্রকার ট্যাক্স ভ্যাট কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনতে হবে।

গত ১৫ মার্চ ২৯টি কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদফতর। জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে অধিদফতর জানায়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪(ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়–বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।

;

১০ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ৬০০ টাকার পেথিডিন বানাতেন তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সন্তান জন্মের সময় প্রসূতি মায়েদের ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহার করা হয় ‘জি-পেথিডিন’ ইনজেকশন। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশনই দীর্ঘদিন ধরে নকল করে বাজারজাত করে আসছে একটি চক্র। ১০ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে তৈরি পেথিডিন নামের ভুয়া ওষুধটি তৈরি করে ৬০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন তারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মিন্টোরোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মতিঝিল গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলমগীর খাঁন, মো. মাসুদ রানা, মো. আহ্সান হাবীব শাওন।

এসময় ২০০টি জি-পেথিডিন ইনজেকশন, ২২০টি জি-পেথিডিনের এ্যাম্পুল, ১ হাজার ১০টি জি-ডায়াজিপাম এর এ্যাম্পুল, ৫২০টি জি-পেথিডিন এর ফাঁকা বক্স, ২০০টি জি-পেথিডিন ইনটেক স্টিকার, ২টি (১২ কেজি) জি-পেথিডিন ফয়েল পেপার, ১ হাজার ৫০০টি জি-পেথিডিন এর ব্যবহারবিধি, ১টি জি-পেথিডিনের ফয়েল লাগানোর জন্য লোহার চাপ মেশিন, ৫ কেজি এসিড, ৫টি কাঠ ও প্লাস্টিক দিয়ে বিশেষ ভাবে তৈরি স্কিন প্রিণ্ট করার ফ্রেম, ২৫০টি জি-পেথিডিন রাখার প্লাস্টিকের ট্রে জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ওষুধ অপারেশনের সময় বা অপারেশনের পরে চিকিৎসকরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করেন। প্রচলিত ‘জি-ডায়াজিপাম’ ঘুমের ইনজেকশনকে ঘরোয়াভাবে রূপান্তর করে চেতনানাশক ‘জি-পেথিডিন’ ইনজেকশন হিসেবে বাজারজাত করতেন চক্রটি।

;

বিদেশে কাজ দেয়ার নামে টাকা নিয়ে ম্যাক্সের প্রতারণা, আদালতে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশে কাজ দেয়ার নামে টাকা নিয়ে কাজ না দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির নামে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে।

জানা গেছে, যশোরের কেশবপুর পৌর এলাকার আবুল হাসান। বিদেশে যাওয়ার জন্য যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) প্রশিক্ষণ নেন। সে সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় প্রবাসী মেলা। মেলা থেকে ভুক্তভোগী আবুলসহ বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থীকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য বাছাই করা হয়।

ক্লিনার হিসেবে কাজ দেওয়ার চুক্তিতে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই লাখ করে টাকা নেওয়া হয়। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদেশে নিয়ে গেলেও কাজ দেয়নি ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস। ফলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে জেল খেটে দেশে ফিরে আসেন ভুক্তভোগী আবুল হাসান।

এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির নামে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মানবপাচার অপরাধ ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেছেন আবুল হাসান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এই মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় ভুক্তভোগী তার অভিযোগে বলেন, ২০২১ সালে যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) আয়োজিত প্রবাসী মেলা থেকে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস বিদেশে পাঠানোর কথা জানায়। তিনি ছাড়াও সেখানে অন্তত পাঁচ শতাধিক আগ্রহীকে বিদেশে চাকরি দেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়। একইদিনে সবার পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়। এরপর যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিন দিনের দক্ষতার ট্রেনিং শেষে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ক্লিনার হিসেবে সৌদি আরব পাঠানো হয়। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিদেশে যাওয়ার পর তিন মাস এক স্থানে বন্দি করে রাখা হয় তাদের। কোনো ধরনের কাজ না দিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকেন তারা। এমনকি ঠিকমতো খাবার দিতেন না প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরতরা।

সেসময় ভুক্তভোগীরা বলেন, ব্যাংক ঋণ করে সৌদি আরব এসে এভাবে মাসের পর মাস বসে থাকলে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? তাছাড়া দেশে থাকা পরিবারের খরচ কে মেটাবে? তখন সৌদি কোম্পানির মালিক বলেন, ‘আমি নিজের টাকা খরচ করে তোমাদের এনেছি। তোমরা কত টাকা খরচ করছ, কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছ সেটা আমার দেখার বিষয় না।’ এসব কথা শোনার পর ভুক্তভোগীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।

সে সময় ভুক্তভোগীরা বাংলাদেশে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস’র অফিসে যোগাযোগ করে কাজ দেওয়ার কথা বললে কর্মকর্তারা জানান, অপেক্ষা করেন কিছুদিন পর অন্য এক মালিক এসে আপনাদের নিয়ে যাবে। প্রায় ৩ মাস পর ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারে বন্দি হিসেবে তাদের কিনে আনা হয়েছে। এখন অন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে। কোনো কাজ দেওয়া হবে না। অন্য দালালদের কাছে বিক্রির বিষয়টি টের পেয়ে তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজের দাবিতে চিৎকার করতে থাকেন। ফলে কৌশলে কোম্পানিটি চুক্তি বাতিল করে উল্টো কর্মীদের নামে সৌদি আরবে মামলা দিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন।

এরপর দীর্ঘদিন ধরে সেই দেশের জেলে বন্দি থাকেনে তারা। পরবর্তীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশে ফিরে আসেন সবাই। দেশে আসার পরে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেসের অফিসে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে ভুক্তভোগীকে উল্টো হত্যার হুমকি দেন। এরপর বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেন।

মামলায় আবুল হাসান বাদী হলেও তার মামলায় স্বাক্ষীরাও ভুক্তভোগী। মামলায় ম্যাক্স ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি মানবপাচার অপরাধ ট্রাইবুন্যাল গ্রহণ করেছেন। মামলা নম্বর ২১/২৪। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

;

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেয়া নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান মাগুরা ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর ও ছবি প্রকাশ হয়েছে। এনিয়ে কোন কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বিএনএমের সদস্য আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তিনি কী এখনও সে দলের সদস্য পদে আছেন কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন। পার্টির কাছে নমিনেশন চাওয়ার সময় তিনি পার্টির সদস্য। এর আগে সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন নেওয়ার সময় তাকে প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সেভাবেই আমরা তাকে মনোনয়ন দিয়েছি, তিনি নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। 

নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বন্ধু রাষ্ট্র বলতে ইন্ডিয়াকে বলেছে। বলেছে তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছ, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারে তোমাদের সাহায্য চাই। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। তাদের সাহায্য চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া। নির্বাচন ছাড়া বিদেশি রাষ্ট্র এসে ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;