দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে গড়ে ১২ জন



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। কোনোভাবেই যেন রোধ করা যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু। দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলো যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হিসাব বলছে, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১২ জন করে প্রাণ হারাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক মনিটরিংয়ের অভাব, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোসহ বেশ কয়েকটি কারণেই ঘটছে এমন দুর্ঘটনা।

তবে সড়কে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চালক বা মালিকদের উপযুক্ত শাস্তি হচ্ছে না। গাড়ির চালক-মালিক, সংশ্লিষ্ট পুলিশ আর সাধারণ মানুষ সচেতন হলেই এ দুর্ঘটনা কমতে পারে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

অন্যদিকে বেহাল সড়কে চলার অযোগ্য লক্কর-ঝক্কর যানবাহনগুলো অবাধে চলাচল করছে। চলমান দেশজুড়ে ট্রাফিক পক্ষ অনুষ্ঠিত হলেও সড়কের শৃঙ্খলা এখনো ফিরছে না তাই মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে না।

সর্বশেষ বুধবার (২৩ জানুয়ারি) লক্ষীপুরের ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৬ জন সহ ৭ জন নিহত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কাতারে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য মানুষের নাম যুক্ত হচ্ছে। তবুও মৃত্যুর পর দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর কোনো ফল মিলছে না।

এদিকে সারা বছরের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, বিগত এক দশকের মধ্যে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সে বছর ৩ হাজার ৫১২টি দুর্ঘটনায় মোট প্রাণ হারায় ৪ হাজার ৭৬ জন মানুষ। যা দিনে গড়ে ১২ জন করে পথচারী বা যাত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে।

যেখানে ২০১৭ সালে ২ হাজার ৯১৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৬৭২ জন। ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৩০ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৯৩১ জন। ২০১৫ সালে ১ হাজার ৬৯০ টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭২৫ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়।

জানতে চাইলে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে চালক যতটা দায়ী ঠিক ততটাই পরিবহন ব্যবস্থাপনা দায়ী। পরিবহন অব্যবস্থাপনার জন্যই দুর্ঘটনা গুলো সংগঠিত হয়ে থাকে।

সুশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থাপনা হলে সড়কে নিহতের ঘটনা কমে আসবে। পাশাপাশি মানুষের সচেতনতার একটা বিষয় তো থাকবেই।

একই বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাপরিচালক মোজাম্মেল হক চৌধুরীও পরিবহন ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, সড়ক চরম পর্যায়ে বিশৃঙ্খল যে যার মত করে পারছে সেভাবে চলছে। রাস্তায় গাড়ি নামাচ্ছে আর ব্যবসা করছে। যার ফলে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতাদের কারণে অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। এসব ঘটনার পিছনে প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তিরা থাকেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

সড়ক দুর্ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট একদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনার মামলা গুলোর খুব একটা সাজা হয়েছে এমন নজির নেই বললেই চলে।

সড়ক দুর্ঘটনার মামলার সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রহমান স্মিতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, আইনের মারপ্যাঁচে আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার মামলা গুলোর সাজা নিশ্চিত করা যায় না। যে কারণে বছরের পর বছর সড়ক দুর্ঘটনার মামলা গুলো ঝুলে থাকে।

মামলার দীর্ঘসূত্রীতায় হতাশ হয়ে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়া পরিবার গুলো। আইন প্রয়োগ বাস্তবায়ন ও নাগরিক সচেতনতা না তৈরি হলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে না বলে মনে করেন এই আইনজীবী।

এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিনা লাইসেন্স কিংবা ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে কোন চালক দুর্ঘটনা ঘটালে অবশ্যই সেই চালকের বিরুদ্ধে সঠিক বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবতা সেটা হচ্ছে না। যার ফলে চালকদের মাঝে কোন ভয় কাজ করছে না। তারা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছে।

পাশাপাশি মানুষের অসচেতনতার জন্যও দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে যার যার জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক আইন মানতে হবে তবেই সড়কের মৃত্যুর হার কমবে।

   

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৭২ কোটি টাকা) অনুদানের কথা জানিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশস্থ জাপানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য এ অনুদান দিয়েছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে।

অনুদান প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, এ অনুদানের অর্থ বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সমৃদ্ধির পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। পাশাপাশি এ অনুদানের অর্থ দেশে রোহিঙ্গা নিয়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে সেটিরও প্রশমন ঘটাবে।

;

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে মন দিয়ে রেলের জন্য কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

তিনি বলেন, রেলের কিছুটা পরিবর্তন সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছেন এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর রেলভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রেলকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অনেক কষ্টে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে অনেক স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। এদেশের মানুষকে ভালোবেসেই তিনি নিজের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আমাদের এই দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের মনে, চেতনায়, মননে ও মানসিকতায় বঙ্গবন্ধুর নাম আমাদের বুকে লেখা হয়ে গেছে। তাই আমরা যদি সবাই মিলে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই আমাদের মহান স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মদান অর্থবহ হবে।

এর আগে অফিস কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা সাক্ষাৎ করেন। ভারতের সহায়তায় বাস্তবায়নধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অলোচনা করেন তারা।

;

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বঙ্গভবনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে দেশকে অন্য পথে পরিচালিত করতে চেয়েছিল কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাৎকালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধিদল ৩ মে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলনে যোগদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।

প্রতিনিধিদল ১৯৭১ এর গণহত্যাকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য স্মারকপত্র প্রদান করেন।

তাঁরা সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করবে মর্মে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশন সাহাবুদ্দিন কমিশন নামে পরিচিত।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস. এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

;

নোয়াখালীতে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এক প্রবাসী তরুণের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এক প্রবাসী তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়। নিহত আনোয়ার হোসেন অনিক (২২) কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জগদানন্দ গ্রামের মাজারুল হক মন্টু মিয়ার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের টোকিও ফুডের পাশে হায়দার ইলেক্ট্রনিক্সের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলের দিকে বন্ধুদের ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়ি থেকে জেলা শহর মাইজদীতে আসেন অনিক। সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টোকিও ফুডের পাশে হায়দার ইলেক্ট্রনিক্সের সামনে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অনিক গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের বাবা মন্টু মিয়া জানান, অনিক ২ মাস আগে বিয়ে করে। সে আবুধাবি প্রবাসী ছিল। ২মাস ৫দিন আগে সে দেশে ফিরে আসে। আসরের নামাজের পর বাড়ি থেকে সে বের হয়। আমাকে বলেছিল তাদের একটা ইফতার পার্টি আছে। ইফতার পার্টি শেষে বাড়ি ফিরবে। ইফতারের সময় একটি নম্বর থেকে আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে জানানো হয় অনিককে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। হাসপাতালে এসে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গেছে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;