বনের জমি দখলের খেলার নাম ‘ডিমার্কেশন’



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে ফিরে: বনের জমি দখলের নতুন খেলার নাম ডিমার্কেশন। এই খেলায় খেলোয়াড় অনেকেই, আর তাদের গোল হচ্ছে বনের ‘নিষ্কণ্টক জায়গা’ অন্যের হাতে তুলে দেওয়া।

এই ডিমার্কেশনের খেলায় বনের দখলে থাকা নিষ্কণ্টক জমি তুলে দেওয়া হয়েছে প্রভাবশালীদের হাতে। আর  জবরদখলে এবং অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের জমি দেখানো হয়েছে বনের নামে। একদাগে হয়তো দশ একর জমির মধ্যে ২ একর ব্যক্তিমালিকানাধীণ । এখানে দেখা যাচ্ছে আগে থেকেই ৮ একর দখলে রয়েছে। নতুন করে ডিমার্কেশনের নামে নিষ্কণ্টক ২ একর ব্যক্তির নামে দেখানো হচ্ছে। ফলাফল বন বিভাগ সেখানে বাস্তহারা হয়ে যাচ্ছে।

ডিমার্কেশনের খেলায় কখনই বনের স্বার্থ দেখা হয় নি বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবারই বন বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে। আর এর পেছনে কাজ করেছে কোটি কোটি টাকার খেলা। ২০১১ সালে হবিরবাড়ি মৌজায় এমন একটি খেলা হয়। এখানে শহীদুল ইসলাম শহীদ যিনি বাউন্ডারি শহীদ নামে সর্বজনবিদিত। তার গ্রামের বাড়ি অবস্থিত এই মৌজায়।

 

বিবদমান দাগ ৪৩৮ এ মোট জমির পরিমাণ ১১১.৬৪ একর। এরমধ্যে  ব্যক্তিমালিকানাধীন ১২.৬৪ একর, খাস ১.৮৯ একর, বন্দোবস্তকৃত ১৩.৮৫ একর। অবশিষ্ট ৮৩.৬৩একর জমি বন বিভাগের। তৎকালীন ভালুকা সহকারি কমিশনার ভূমির নেতৃত্বে গঠিত ডিমার্কেশন কমিটি গঠন  করা হয়।

কমিটি শহীদের বাড়ি, খামার, পুকুর জলাশয় দেখিয়েছে বনের নামে। আর বনের জমিগুলো দেখিয়েছে  শহীদের নামে। শহীদের নামে ডিমার্ক করার সঙ্গে সঙ্গেই বনের বিশাল বাগান সাবাড় করে দখল নিয়েছে। বন বিভাগের গজারী বনের জায়গায় শোভা পাচ্ছে বাউন্ডারি শহীদের আমের বাগান।

অন্যদিকে বন বিভাগ কিন্তু তার বাড়িতে হাত দিতে যায়নি। অর্থাৎ ৪৩৮ দাগের প্রায় বেশিরভাগ জায়গা এখন শহীদের দখলে। সম্প্রতি বন বিভাগে কিছু অফিসার এই জায়গা উদ্ধারের উদ্যোগ নিলে শহীদ তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শহীদের বক্তব্য হচ্ছে এই জমিতো আমার পুর্বপুরুষের বসত ভিটা। এটা কি করে বনের হয়। আপাতদৃষ্টিতে শহীদের অকাট্য যুক্তি খণ্ডনের কোনো উপায় নেই। কিন্তু তার আসলে কতটুকু জমি আর তিনি কতটুকু ভোগ দখল করছেন তার হিসেব কিন্তু কেউই নিতে পারেন নি।

বন বিভাগকে বিবাদী করে ডিমার্কেশনের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেছেন। আর এতেই আটকে গেছে বনের ভবিষ্যত। যার ফলে প্রায় পুরো জমিই এখন ভোগ করছেন বিএনপি শহীদ। এই ঘটনার মূল অনুঘটক ছিলেন তৎকালীন ভালুকা রেঞ্জ অফিসার আবুল হাশেম খান। কথিত রয়েছে হাশেম খান এর জন্য মোটা অঙ্কের বাণিজ্য করেছেন। ওই ঘটনার কিছুদিন পরেই অবসরে চলে যান হাশেম। যদিও তার অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা আটকে দিয়েছে বন বিভাগ।

এই ডিমার্কেশনে বন বিভাগকে আরেকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। একই দাগের বিপুল পরিমাণ জমি বিচ্ছিন্ন জায়গায় চিহ্নিত করা।  এখানে ব্যক্তিমালিকার জমি একদিকে দিয়ে দিলে বন বিভাগ নিষ্কণ্টক হয়ে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গেছে ৭টি পৃথক জায়গায় বন বিভাগকে দেখানো হয়েছে। বনের ভেতরে ভেতরে ব্যক্তিমালিককে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।

বিট অফিসার আব্দুর রফিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, শহীদের খামার পুকুর জলাশয় দেখানো হয়েছে বনের নামে। আর যেখানে আমাদের বাগান ছিলো সেই বাগান মার্ক করে দেওয়া হয়েছে শহীদের নামে। বনের জমিগুলো যদি একদিকে দেওয়া হতো তাহলে কিন্তু রক্ষা করতে সুবিধা হতো। কিন্তু তা না করে বিভিন্ন জায়গা দেওয়া হয়েছে। আর মাঝে মাঝে ব্যক্তিমালিক থাকায় তারা একটু একটু করে গিলে খায় বনের জমি।

অতীতে দেখা দেখা গেছে ব্যক্তিমালিক বনের ভেতরে বসে দিনে দিনে তার রাজত্বের প্রসারিত করেছে। এতে করে পরাজিত হচ্ছে বন বিভাগ। ক্ষেত্র বিশেষে অবৈধ সুবিধা নিয়ে বনের জমি অন্যহাতে তুলে দিচ্ছে খোদ বনেরই লোকজন। এভাবেই হয়তো একদিন বাস্তহারা হয়েছে মল্লিকবাড়ি বন বিট। শক্তহাতে দমন করা না গেছে হয়তো অন্য বিটগুলো একদিন শহীদদের ভোগে চলে যাবে।

অভিযোগ রয়েছে, এখানে পুলিশ প্রশাসনও বনের বিষয়ে খুব একটা আন্তরিক নয়। মামলা দিতে গেলেও অনেক সময় তাদের সাড়া পাওয়া যায় না। দখলদাররাও প্রভাবশালী তাদের টাকার গন্ধে অনেকেই বুদ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে মনে করেন, সোনার চেয়ে দামী এই বন বিভাগের জমি রক্ষা করতে হলে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্ভব নয়। শহীদকে থামানো গেলে বন আশিভাগ নিরাপদ হয়।

অনেকবারে চেষ্টা করেও শহীদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয় নি। ভালুকা রেঞ্জ সংলগ্ন তার বাসায় গেলেও সাক্ষাৎ পাওয়া যায় নি।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। এখানে এসে অনেকবার বাউন্ডারি শহীদের নাম শুনেছি। ডিসির সঙ্গে কথা বলেন, তিনিও হয়তো এই নাম জেনে থাকবেন। আগে কি হয়েছে বলতে পারি না। দখলবাজরা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। দখলবাজ যেই হোক তার রক্ষা নেই। বনের জায়গা রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন সব উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক রকিবুল হাসান মুকুল বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সারাদেশে বনের জমি ডিমার্কেশন করার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এখানে বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলে থাকবে। মার্ক করার কাজ শেষ হলে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান করা হবে। সেখানে কেউ ছাড় পাবে না। আশা করছি এই কাজটি বন বিভাগের জন্য মাইলফল হয়ে থাকবে।

আশা এবং দুরাশার কথা হচ্ছে সম্প্রতি কিছু ভালো উদ্যোগ নিয়েছে ময়মনসিংহ বন বিভাগ। অনেকগুলো অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাদশা টেক্সটাইলকে বনের লোকজন এক সময় সমীহ করে চলতো। সেই বাদশা মিয়ার প্রাচীর গুড়িয়ে দিয়ে প্রভাবশালীদের আস্থানা গুড়িয়ে দিয়ে দখলবাজদের কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে।

যে কারণে দখলবাজদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও দখলবাজরা প্রকাশ্য হাম্বিতম্বি করে বেড়াচ্ছে। তাদের কথা না শুনলে সেই কর্মকর্তার আর এখানে থাকতে হবে না। বদলী হয়ে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। শহীদের নামে অনেক মামলা হয়েছে, রহস্যজনক কারণে প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় শহীদের নামে ভুল, না হলে তার বাবার নাম ভুল না হলে তার ঠিকানা ভুল করা হয়েছে। আর সেই ভুলের ফাঁক গলে অধরা থেকে বনবিভাগের এই মূর্তিমান আতঙ্ক।

ডিমার্কেশনের নিয়ম হচ্ছে, কারো আপত্তি থাকলে ডিসির কাছে আবেদন করে ডিমার্কেশনের। ডিসি তখন অফিসার নিয়োগ করেন। সেই অফিসার বন বিভাগের উপস্থিতিতে চিহ্নিত করে দেন ব্যক্তিমালিকানার জমি। এরপর একটি স্কেচ ম্যাপ অনুমোদন করে দেওয়া হয়।

   

মহেশখালীর ‘সিরিয়াল কিলার’ আজরাইল লোকমান অবশেষে র‍্যাবের জালে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চার হত্যা মামলাসহ ১০ মামলায় দীর্ঘ দুই দশক পলাতক থাকার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলার’ মহেশখালীর সক্রিয় জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখা (রিক্রুটমেন্ট উইং) এর প্রধান মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমানকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র‍্যাব-১৫ এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে তার সদর্প পদচারণা। ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ শরীফ চেয়ারম্যানের কনিষ্ঠ পুত্র, কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান এবং মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ২১ মে ২০১১ তারিখে সরকারি বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কোরআনে হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখন্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেয়। লোকমান ও তার সহযোগীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও ৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২৯ মার্চ ২০১২ তারিখে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই সালের ১১ জুন তারিখে কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় দরিদ্র মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।

র‍্যাব জানায়, র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মহেশখালীর দুর্গম সোনাদিয়া দ্বীপের আস্তানায় আত্মগোপনে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে গত ২৭ মার্চ ভোরে অভিযান পরিচালনা করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমানকে (৫৩) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমান (৫৩) মহেশখালীর কালারমারছড়ার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় র‍্যাবের পক্ষ থেকে।

 

;

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: মৎস্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: মৎস্যমন্ত্রী

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: মৎস্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) শীর্ষক" প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমুল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে মোতাবেক কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদেরকে পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরো নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে মৎস্য সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বংগবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি আহবান জানান। 

জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষীদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মৎস্যচাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মৎস্যচাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

আব্দুর রহমান বলেন, সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের মৎস্য সেক্টরে সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগনের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পুরণ এবং গ্রামীন জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তিনি এসময় উল্লেখ করেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

৯৯৯-এ ফোন: বিদেশগামী যাত্রীর ভিসা-পাসপোর্ট-বিমান টিকিটসহ ব্যাগ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন কল পেয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে সৌদিপ্রবাসী বিদেশগামী যাত্রীর ভিসা-পাসপোর্ট-বিমান টিকেটসহ ব্যাগ হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, বুধবার ভোরে ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনে তখন অত্যধিক ভিড় ছিল। কোনো আসন ফাঁকা না পেয়ে দরজার কাছে দাঁড়ানো সিরাজগঞ্জ সদরের রেলওয়ে কলোনীর অধিবাসী সৌদিপ্রবাসী মমিন শেখের (৪৫) পাসপোর্ট-বিমান টিকেটসহ ব্যাগটি অসাবধানতাবশত ট্রেনের বাইরে পড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় মমিন শেখ অজ্ঞান হয়ে যান। তার সহযাত্রী ফাহিম নামে একজন কলার এই তথ্য জানিয়ে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, সেদিন বেলা দুইটায় সৌদি আরবের ফ্লাইট, ব্যাগটি না পেলে তার আত্মীয়ের সর্বনাশ হয়ে যাবে, যথাসময়ে কাজে যোগ না দিলে চাকরিও চলে যেতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল গোলাম রহমান রেলওয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই সালাউদ্দীন কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে এবং খোঁজ-খবর নিতে থাকে। পরে তারা খবর পান যে রেল কিলোমিটার নম্বর ৩০৯, পুংলী নামক স্থানে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় হাজেরা বেগম (৪০) নামে এক নারী ব্যাগটি খুঁজে পান। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাগটি নিয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির হন। ব্যাগটি হাজেরা বেগমের মাধ্যমে ব্যাগটির মালিক মমিন শেখকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

;

হাতীবান্ধায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের মধ্য ধুবনি এলাকার পানিতে পড়ে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে একজন মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) সকালে ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের মধ্য ধুবনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল বারেক ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ সাইফুল সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে জেলেরা পুকুরে মাছ ধরতে জাল ফেললে, জেলের জালে লাশ ভেসে ওঠে।

সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;