পুলিশের ওপর হামলাকারীরা ‘অনুপ্রবেশকারী’



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
হাইকোর্টের সামনে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের অনুপ্রবেশকারী বলে দাবি করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হামলার ঘটনার পরদিন বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন দাবি করেন। তিনি বলেন, “গতকাল যে ঘটনাটা ঘটেছে হাই কোর্টের সামনে, যা ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকায় সব জায়গায় এসেছে। আমরা নিজেরাই ছেলেদের চিনতে পারছি না! টু বি ভেরি ফ্র্যাংক, আমরা আশঙ্কা করছি, অনুপ্রবেশকারীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।” আর এর পেছনে সরকারের হাত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। “আমরা যে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, শান্তিপূর্ণভাবে যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা করছি, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটাকে বিনষ্ট করবার জন্য কাজ করছে।” বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায়ের তারিখ সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারির মধ্যেই মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের ওপর হামলার ওই ঘটনা ঘটে। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফেরার পথে হাই কোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপিকর্মীরা। তাদের বেধড়ক পিটুনির শিকার হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য, ভাংচুর হয় তাদের গাড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্র। প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে বিএনপিকর্মীরা পুলিশের হাতে আটক দুই নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার। ঘটনাস্থল থেকে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তারের পর রাতে এনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয় থানায়। মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের তারিখ সামনে রেখে সরকার দেশে ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির উসকানি’ দিচ্ছে। “আমাদের একেবারে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, যেখানে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করিনি, অথচ গ্রেপ্তার অভিযান চলছে, সবসময় হুমকি-টুমকি দিচ্ছে। দেশের যে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, সেটা তারা (সরকার) নিজেরাই বিনষ্ট করছে, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে।” বিএনপি মহাসচিবের ভাষায়, ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা’ পাকাপোক্ত করতে বিএনপি ও বিরোধীকে বাদ দিয়ে ‘একদলীয় নির্বাচন করার নীল নকশা বাস্তবায়নই’ এর উদ্দেশ্য। “সরকারের তরফ থেকে এই উসকানিমূলক কাজগুলো শুরু হয়েছে যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে।” ‘দমননীতি’ বাদ দিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দিয়ে ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সাথে কাউকে দেখা করতে দিচ্ছে না। তিনি একজন বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ। তাকে প্রতিদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। ওষুধগুলো পর্যন্ত সঙ্গে নিতে দেওয়া হয়নি।” তিনি অভিযোগ করেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ‘তুলে নিয়ে গেলেও’ এখন পর্যন্ত তা স্বীকার করেনি। “আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার সাহেবের উত্তরার বাসায় পুলিশ গতরাতে গেছে খোঁজ করেছে। যুবদলের সাবেক সহ সম্পাদক গাজী হাবিব হাসান রিন্টুকে গতরাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীকে আবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এইভাবে দমনপীড়ন চলছে।” বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান ও জিনজিরা যুব দলের সভাপতি মামুনের বাসায় পুলিশ মঙ্গলবার রাত আর বুধবার সকালে ‘অভিযান’ চালিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে দলের সহ সম্পাদক অর্পনা রায়, ছেলের স্ত্রী নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ ও মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।
   

উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া জরুরি: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

;

থানায় হামলা, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৯ জন রিমান্ডে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুরুজ্জামান নুরুসহ তার ৯ সহযোগীকে ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মনিরুজ্জামান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাজাহানপুর থানায় হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা এবং পরে গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হওয়া বিদেশি পিস্তল ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় আরেকটি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে রিমান্ড শুনানি দিন ধার্য্য ছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান জানান, দুইটি মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে তিন দিন করে দুই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানি কালে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।

তারা হলেন, শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের (সাময়িক অব্যাহতি প্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু, তার সহযোগী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান খোকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মিতুল, এবং ওহাবুজ্জামান।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ চাকুসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠুন মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাত ১০ টার দিকে নুরুজ্জামান নুরুর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা শাজাহানপুর থানায় হামলা করে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে আটক মিঠুনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। আসামি ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে।সেখান থেকেও পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। থানায় হামলা এবং মহাসড়কে ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের ৮ জন সদস্য আহত হন। ওই রাতেই পুলিশ নুরুজ্জামান নুরুসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের হেফাজত থেকে ১৫ রাউন্ডগুলিসহ দুইটি বিদেশি পিস্তল, এক কেজি গাঁজা ও তিন বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় দুই মামলা দায়ের করা হয়।মামলা দুইটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি) তদন্ত করছেন।

এদিকে নুরুজ্জামান নুরু গ্রেফতারের পর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে নুরুজ্জামান নুরুকে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়।

;

ভালুকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মারা গেছেন। নিহত মেহেদী হাসান রুবেল (৩০) বিরুনীয়া ইউনিয়নের গোয়ারী গ্রামের ফিরুজের ছেলে এবং একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বিরুনীয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিরুনীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছামছুল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, মেহেদী হাসান রুবেল সকালে নিজের মৎস্য খামারে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজ পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিরুনীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছামছুল হোসাইন বলেন, এ ঘটনা এলাকায় শোকে ছায়া নেমে এসেছে।

;

ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় নিহতদের ৫ জন একই পরিবারের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের শহরতলীতে বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ জনের মধ্যে ৫ জন ছিলেন একই পরিবারের।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরতলীর কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই পরিবারের নিহত পাঁচজন হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমি বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬), হাবিব মোল্লা (৩) ও রফিক মোল্লার মা। রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুল আলম বলেন, পিকআপভ্যানটি ভাড়া করে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। পথে মাগুরাগামী বাসের সঙ্গে ওই পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। নিহদের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

 

 

;