অগ্নিসংযোগ মামলায় ৫ বছর পর ৯৫ আসামি খালাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল সদর উপজেলায় কলেজ ছাত্র হত্যার ঘটনায় হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার পাঁচ বছর পরে ৯৫ আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারী) আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মারুফ আহমেদ এ আদেশ দেন। এ সময় ৮৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

খালাস প্রাপ্তরা হলেন- সেলিম হাওলাদার, খান মো. আবু বকর সিদ্দিক মেম্বার, আল আমিন গাজী, জুয়েল রাঢ়ী, নূরে আলম খান, রফিক ফরাজী, সুরুজ হাওলাদার, গাজী সালাম ও আলম গাজীসহ ৯৫ জন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর চরকাউয়া ইউনিয়নে কালিখোলা গ্রামের মাতৃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে পারভেজ গাজীসহ (২০) কয়েকজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে হিন্দুবাড়ির কয়েকটি ছেলে।

পরে তাদের উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পারভেজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তার মৃত্যুর সংবাদে চরকাউয়া ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওই দিন রাতেই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঐ হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

এতে ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি দাবি করে ১৭ নভেম্বর হিন্দুবাড়ির বাসিন্দা দেবরঞ্জন হালদার কালিপদ অজ্ঞাত ১ হাজার ৬০০ জনকে অভিযুক্ত করে বন্দর থানায় মামলা করেন।

২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ১০৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় বন্দর থানার তৎকালীন পুলিশ পরির্দশক এসএম মাহবুব উল আলম। ওই সময়ে বিচারক চার্জশিট আমলে নিয়ে চার্জ গঠনের তারিখে ১০ জন নারী আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

   

মঙ্গলের বার্তা দিয়ে ফেনীতে শেষ হলো বর্ষবরণ উৎসব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উৎসব আনন্দের মধ্যে দিয়ে ফেনীতে শেষ হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব। বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে পান্তা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ৭দিন ব্যাপী লোকজ মেলাসহ নানা আয়োজন করে জেলাপ্রশাসন। নতুন বছরে মঙ্গলের বার্তা দিয়ে শেষ হয়েছে ৭ দিনের আনুষ্ঠানিকতা।

১৪৩১ বঙ্গাব্দ বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে ৭ দিনব্যাপী বর্ণিল উৎসবে মেতে ছিল ফেনী। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এ আহ্বান জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছে ফেনীর সাধারণ মানুষ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে লোকজ মেলার সমাপনী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে ফেনীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। বর্ষবরণ উৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ফেনীবাসীকে অভিনন্দন জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতির দেশ। এখানে সব ধর্মের স্বাধীনতা আছে। উৎসব মুখর পরিবেশে লোকজ মেলা সুন্দর ভাবে শেষ হয়েছে। বাঙালীর সংস্কৃতি ধারন করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে এমন মেলার বিকল্প নেই।

তিনি বলেন,শোভাযাত্রার মাধ্যমে বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়েছিল, লোকজ মেলার মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি ফুটে উঠেছে। স্টলগুলোতে গ্রামীণ ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে এটি তরূণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা। ফেনীকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এবং দেশের শিল্প সাহিত্যকে তরুণদের কাছে তুলে ধরতে বৈশাখী মেলার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ফেনী পৌরসভা মেয়র মোঃ নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ফেনীতে ৪ বছর পরে বৈশাখী মেলা হয়েছে। করোনার কারনে এটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফেনীবাসী এ মেলার মাধ্যমে ঈদ পরবর্তী আনন্দে সামিল হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ভবিষ্যতে এমন সব ধরনের আয়োজনে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।

জেলা কালচার অফিসার কামরান হাসানের সঞ্চালনায় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া, জেলা পিপি এডভোকেট হাফেজ আহম্মদ, জিপি প্রিয়রঞ্জন দত্ত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন রশিদ, জেলাপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্টলকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় এবং বৈশাখী মেলা উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন,বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা গণগ্রন্থাগার কর্তৃক আয়োজিত আলপনা অঙ্কন, ঘুঁড়ি তৈরীসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।

;

সাভারে ভাঙ্গারীর গোডাউনে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় একটি ভাঙ্গারীর গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আধ ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর বাড়ির সামনের কামালের ভাঙ্গারী গোডাউনে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, সন্ধায় আগুনের খবর পেয়ে সাভার ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। পরে ট্যানারী ফায়ার স্টেশনের আরও ২টি ইউনিট এসে যোগ দেয়। মোট ৪টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

সাভার ফায়ার স্টেশনের ওয়ারহাউজ পরিদর্শক মেহেরুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, গোডাউনটিতে থাকা ভাঙ্গারীর মালামাল, প্লাস্টিক পন্য, কাগজপত্র ছিল যা পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহত ঘটেনি। আগুন লাগার কারন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

;

‘সরকারের অর্থ জনগণেরও অর্থ, কাউকে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থপ্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, সরকারের অর্থ আপনাদেরও (জনগণের) অর্থ, কাউকে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনীর টানেল মুখ সড়কে ‘ঈদপুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ’ কতৃক আয়োজিত আনোয়ারা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের “ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। দেশের বড় বড় উন্নয়নগুলো দেশের জনগণ হিসেবে আপনিও তদারকি করতে পারেন। প্রতিটি কাজ ঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা সেটা আপনারা পাহারা দেবেন। ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলে দুষ্টুরা সুযোগ নেয়। সে সুযোগ দেবেন না।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছিলেন। অনেক চড়াই উৎরাই ফেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমিও বলবো আপনারা তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমার পিতা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমিও পালাবো না। আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম। আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো। নামফলক ভেঙে দিতো। এতে মানুষের অনেক কষ্ট হতো।

অর্থপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নেবো। আমার শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আপনাদের সেবা করে যাবো। মঞ্চে বসা আপনাদের মাঝে আমি আমার প্রয়াত পিতাকে দেখতে পাচ্ছি। অনেকেই এখানে আছেন যারা আমার পিতার সহকর্মী ছিলেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ প্রমূখ।

;

‘ড্রিমলাইনারের ত্রুটির বিষয়ে বিমান বোয়িংয়ের সাথে যোগাযোগ রাখছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ড্রিমলাইনার-৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের বিষয়ে বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম।

এ বিষয়ে দ্রুতই অধিকতর তথ্য জেনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানকে অবহিত করবেন বলে তিনি জানান।

যান্ত্রিক ত্রুটির আশঙ্কায় বোয়িংয়ের হুইসেল ব্লোয়ার স্যাম স্যালেপোর সব ৭৮৭ ড্রিমলাইনার গ্রাউন্ডেড করার কথা জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সব ড্রিমলাইনারের কার্যক্রম বন্ধ করে উড়োজাহাজগুলোতে কাঠামোতে থাকা ত্রুটি শনক্ত করা প্রয়োজন।

বিষয়টি জানার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে নির্দেশ দিয়েছেন বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের সঙ্গে ফোনালাপে মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় আপাতত উত্থাপিত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে উড়োজাহাজ তৈরিকারী কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশ সরকার এবং বিমানের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই মুখ্য বিষয়।

;