একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধীদলে থাকতে চায় জাপা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জাপার প্রেসিডয়াম ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের যৌথসভা, ছবি: বার্তা২৪.কম

জাপার প্রেসিডয়াম ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের যৌথসভা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতার মজা ছাড়তে চায় না জাতীয় পার্টি। যে কারণে এবারও প্রথম পছন্দ সরকারের শরিক হওয়া। প্রয়োজন হলে দশম সংসদের মতো একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধীদলে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

বুধবার (২ জানুয়ারি) জাপার বনানী কার্যালয়ে প্রেসিডয়াম ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সুত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য বার্তা২৪.কমকে বলেন, শুধুমাত্র একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য মত দেন, জাতীয় পার্টিকে প্রকৃত অর্থে বিরোধীদলে থাকার পক্ষে। তিনি বিরোধীদলে থেকে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দলকে সংগঠিত করার পক্ষে।

তবে বেশিরভাগ নেতা সরকারে থাকা অর্থাৎ মন্ত্রিসভায় অংশ নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলেছেন যদি প্রয়োজন হয়, বিগত দশম সংসদের মতো একইসঙ্গে মন্ত্রিসভা ও বিরোধীদলে থাকা। এই পক্ষের মত হচ্ছে, এই মুহূর্তে সরকারের বিপক্ষে মাঠে নেমে ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। তাতে হিতের বিপরীত হতে পারে। আমাদের লড়ার জন্য করার জন্য কিছু নেই। তার চেয়ে সরকারে থেকে দলকে শক্তিশালী করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা অনেকে আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেছেন, আমরা উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আবার ভোট দিয়ে জিতিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকও। তাই আমরা যদি বিরোধীদলে থাকি তাহলে উন্নয়ন ব্যহত হবে। তাতে ভবিষ্যতে মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়া কঠিন হবে।

সংখ্যাধিক্যের মতে সরকারে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা (ওবায়দুল কাদের ও মসিউর রহমান রাঙ্গা) কথা বলে চূড়ান্ত জাপা মহাসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন ইস্যুটি সামনে চলে আসে, তখন অনেকে জানতে চান কে হবেন সংসদীয় দলের প্রধান। এ বিষয়ে আলোচনায় কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব রাঙ্গা, এরশাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মতামত দেন। স্যার (এরশাদ), ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) ও জিএম কাদের যে কেউ হতে পারেন এমন আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।

আবার সরকারের সঙ্গেও কিছুটা আলোচনার বিষয় রয়েছে। তারা চান সরকারের মতামতেরও কিছুটা প্রতিফলন ঘটাতে। তাদের যুক্তি হচ্ছে যেহেতু জাপা মহাজোট থেকে ভোট করেছে এবং এখনও মহাজোটে আছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে জিএম কাদের বলেন, আমাদের পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে কে সংসদীয় দলের নেতা হবেন। বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের পরপরেই পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক বসবে।

সরকার না-কি বিরোধীদলে থাকবে সে বিষয়ে প্রথমে মহাজোটের সঙ্গে আলোচনা। এরপর পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে চূড়ান্ত করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সময়ের প্রয়োজনে সবকিছু করা হবে। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ ২৯৭ আসন পেয়েছিলো, তখনতো বিরোধীদল ছিলো না। তাহলে সেটাকে আমরা কিভাবে দেখবো।

তবে সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য একটি শক্তিশালী বিরোধীদল থাকা দরকার বলে মন্তব্য করে জিএম কাদের।

জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় অংশ নেন মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসন বাবলা, মজিবুল হক চুন্নু, এসএম ফয়সল চিশতী, চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সালমা ইসলাম, অ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আজম খান, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।

সভায় ৪১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ডাকা হয়। প্রেসিডিয়াম নন এমন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন ৮ জন নেতা। তাদের মধ্যে সেলিম ওসমান এমপি, আদেলুর রহমান আদেল, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, রুস্তম আলী ফরাজী, পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ, রানা মোহাম্মদ সোহেল, পনির উদ্দিন আহমেদসহ সব মিলিয়ে ২৬ জন নেতা অংশ নেন।

পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন।

   

ছেঁড়া ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, বাবা সংটাপন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছেঁড়া ১০ টাকার নোট না নেয়ার দ্বন্দ্বে ইকবাল হোসেন (২২) নামে এক মুদি দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সাদেক মুন্সির (৬২) অবস্থা সংটাপন্ন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছেলে ইকবাল হোসেন ও বাবা সাদেক মুন্সি একই ইউনিয়নের দিগারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলা বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে ছেলে ইকবালকে নিয়ে মুদি দোকান করেন সাদেক মুন্সি। ঘটনার দিন রাতে সিগারেট কিনতে আসেন একই গ্রামের ফারুক মিয়া। টাকা দেওয়ার সময় একটি দশ টাকার নোট ছেঁড়া থাকায় তা বদল করে দিতে বলেন ইকবাল। কিন্তু তাতে রেগে যায় ফারুক। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজ মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে সেখানে তারা কিছুক্ষণ বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে পারভেজ সঙ্গে নেওয়া ছুরি দিয়ে দোকানের ভেতরেই এলোপাথারি আঘাত শুরু করে ইকবালকে। ওই সময় বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইকবাল। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারাকান্দা থানার ইনচার্জ ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাদেক মুন্সির অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ফারুক ও পারভেজকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

;

সাভারের যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পাইপলাইনের জরুরি মেরামতকাজের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১২ ঘণ্টা সাভারের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা সাভারের টংগাবাড়ী, আশুলিয়া, খেজুরবাগান, গৌরীপুর, খাগান, কুমকুমারি ও আক্রান এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

;

নীলফামারীতে সার্কাসে রাত হলেই শুরু হয় অশ্লীলতা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা টটুয়ার ডাঙ্গায় সার্কাস ও যাদু প্রদর্শনীর নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। খোলামেলা পোশাকে এসব নাচ গানের আসরে পঙ্গপালের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানালেও নেয়নি কোন ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০ টায় দি রওশন গ্রেট সার্কাসে গিয়ে দেখা যায়, সার্কাসের প্যান্ডেলের ভিতরে মেয়েদের দিয়ে খোলামেলা আপত্তিকর নাচগান প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব নাচগানের বেশির ভাগ দর্শক হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সার্কাসের শো পরিচালনা করার থাকলেও রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব অশ্লীল নৃত্য। এতে করে রাত যতই বাড়তে থাকে সার্কাসে শুরু হতে থাকে অশ্লিল নৃত্য ।এসময় কাউকে মোবাইলে ভিডিও না করার জন্য বারবার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভবদেশ রায় বলেন, এখানে সার্কাস চলছে ভালো কথা। আমাদের বাড়ির লোকজন আসবে দেখবে কিন্তু রাত হলে অশ্লীলতা বাড়ে এলাকার সব ছেলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এখানে চলে আসে। যুবসমাজ এভাবে নষ্টের দিকে যাচ্ছে।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলার রহমান বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এসে শুনি সার্কাসের কথা,সেখানে অশ্লীল কিছু হলে আমি প্রশাসনকে অবগত করব।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোসের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

;

ময়মনসিংহে তিন দিনে ৪ জনের মৃত্যু, ধারণা হিটস্ট্রোক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে চার উপজেলায় তিন দিনে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহত চার জনই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার গফরগাঁও, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ ও ফুলপুর উপজেলায় চার জনের মৃত্যু হয়।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ও নিহতের পরিবার সুত্র জানায়, গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের আফাজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে ফজলুল হক ঢালী (৫৬) বাজার করে বাড়িতে ফিরে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা টয়লেটের টয়লেটের দরজা খুলে দেখেন ফজলুল হক সেখানে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। পরে তার মায়ের ডাক-চিৎকারে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গফরগাঁও পরিবার পরিকল্পনা ও উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ফজলুল হক ঢালির মৃত্যু হয়েছে। যে কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে, অতিরিক্ত গরমে এমনটা হতে পারে বলেও ধারণা করেন তিনি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সুটিয়া বাজারের রমজান খলিফা (৫৫) নিজের দোকানে বসে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তিনি শরীর খারাপ লাগছে বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় টের পেয়ে মাথায় পানি দিতে শুরু করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই রমজান অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে, হাসপাতালে নেয়া হয়নি বা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পাইস্কা গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফুলপুর উপজেলায় কয়রা ইউনিয়নের ইমাতপুর গ্রামে শিল-পাটা কাটার কাজ করছিলেন রমজান আলী। হঠাৎ সেখানে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই রমজান আলী মারা যান।

নিহত রমজান আলী রমজান আলী তারাকান্দা উপজেলার ৩ নম্বর কাকনী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়াডের বগীরপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে।

তারাকান্দা বগীপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. তরিকুর রহমান খন্দকার রাশেদ বলেন, রমজান আলী গ্রামে গ্রামে ঘুরে মশলা ভাটার শিলপাটা কাটায় হস্থশিল্পী শ্রমিকের কাজ করত। প্রতিদিনের মত আজ সকালে সে বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে পাশ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলার ইমাতপুরে যায়। সেখানে কাজ করা অবস্থায় দুপুরে প্রচন্ড গরমে সে স্ট্রোক করে মারা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ‍্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ন কবীর বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই রমজান আলীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ধারনা করা যায় অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে বা অন্য কোন কারণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।

একই দিন সকালে জেলার ভালুকা উপজেলায় কামরুল ইসলাম (৩০) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত কামরুল ইসলাম জেলার গৌরীপুর উপজেলার রায় শিমুল গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র ছেলে। সে ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকার পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন।

ভালুকা শিল্প পুলিশের এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, নিহত কামরুল ইসলাম ভালুকায় বসবাস করে পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন। ঘটনার দিন সকালে কামরুল অসুস্থ অবস্থায় তার ভাইকে নিয়ে গার্মেন্টস যান। গার্মেন্টসে গিয়ে কর্তব্যরত নার্সকে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে চলে আসেন। সেখান থেকে কামরুল ইসলাম প্রথমে চুরখাই কমিনিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, কামরুল আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন। সকালে মুলত তার ভাইকে নিয়ে ছুটি নিতে গার্মেন্টসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

;