আ.লীগে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের নাম প্রকাশ করলো রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন রুহুল কবির রিজভী, ছবি: বার্তা২৪.কম

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন রুহুল কবির রিজভী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ও হানাদার পাকিস্তানিদের পক্ষে অবস্থানকারী আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য ও তাদের সন্তান সন্ততি অনেকেই আওয়ামী লীগের বড় নেতা এমনকি দলীয় টিকিটে নির্বাচন করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দেয়, তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। আপনিই তো জামালপুরের নুরু রাজাকারের গাড়িতে প্রথম পতাকা দিয়েছেন। এখনও আপনার দলে স্বাধীনতাবিরোধীদের ভিড়।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময বক্তৃতায় বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগে রাজাকার থাকলে দেখিয়ে দেন, আমরা তাদের বিচার করবো।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের পেক্ষিতে ২৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে দলটি। দলটির অভিযোগ আওয়ামী লীগের এই ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোনো না কোনোভাবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, মক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছে।

রিজভী সংবাদ সম্মেলনে যাদের নাম প্রকাশ করেন তারা হলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, লে.কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, মুসা বিন শমসের, মির্জা গোলাম কাশেম, এইচ এন আশিকুর রহমান, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মজিবর রহামান হাওলাদার, আবদুল বারেক হাওলাদার, আজিজুল হক, মালেক দাড়িয়া, মোহন মিয়া, মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া, রেজাউল হাওলাদার, বাহাদুর হাজরা, আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার, হাসেম সরদার ও আবদুল কাইয়ুম মুন্সি।

রিজভী আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে এমন অভিযোগে এক ডজন ব্যক্তির বিচার করেছে তারা। নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে এ বিচার করলেও তাদের দলে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নিরব আওয়ামী লীগ সরকার।

   

অচিরেই পায়রা বন্দর 'ইকোনমিক হাবে' পরিণত হবে: বন্দর চেয়ারম্যান 



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
‘অচিরেই পায়রা বন্দর 'ইকোনমিক হাবে' পরিণত হবে’

‘অচিরেই পায়রা বন্দর 'ইকোনমিক হাবে' পরিণত হবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

অচিরেই পায়রা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ 'ইকোনমিক হাবে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের সাথে বৈঠককালে বন্দর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

পায়রা বন্দর দক্ষিণ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান আল মামুন চৌধুরী বলেন, পায়রা বন্দরটি বাংলাদেশের কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে এটি ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দরটি মূল সমুদ্র থেকে খুব কাছে এবং বড় মাদার ভ্যাসেল সহজেই এই বন্দরে আগমন করতে পারে।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত এর বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ জানানোর জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলটি খুবই প্রশস্ত এবং সমগ্র চ্যানেলে ন্যূনতম ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা রয়েছে, যা দেশের অন্য বন্দরগুলোর তুলনায় বেশি। পায়রা বন্দর দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পায়রা বন্দরটি প্রতিষ্ঠা করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি দূরদর্শী ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর জানান, পোর্ট সেক্টরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পায়র বন্দর এখন একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সেক্টর। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুবাইয়ের সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান। পায়রা বন্দরে কেমিক্যাল ও পেট্রোলিয়ম স্টোরেজ সুবিধাদি খাতে দুবাইয়ের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করতে পারেন বলে তিনি জানান, যেমনটি দুবাই সরকার ইতিপূর্বে সিঙ্গাপুরে করেছে।

এছাড়াও পায়রা বন্দরে বন্দর ব্যবস্থাপনা খাতে দুবাই কর্তৃক আরও কোন কোন জায়গায় বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে সে বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের অবহিত করতে শীঘ্রই পায়রা বন্দর থেকে একটি প্রতিনিধি দল সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত মতামত প্রকাশ করেন।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেন এবং এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানান। পায়রা বন্দর পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ দূতাবাস, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অদূর ভবিষ্যতে পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী অঞ্চলটি দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরে রূপান্তরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

সভায় বন্দর চেয়ারম্যান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- কমান্ডার মাহমুদুল হাসান খান (চিফ হাইড্রোগ্রাফার, পাবক), মূর্শিদুল ইসলাম (পরিচালক প্রশাসন, পাবক), ক্যাপ্টেন এস এম সরিফুর রহমান (হারবার মাস্টার, পাবক), লে. কমান্ডার রিফাত মাহমুদ, (উপ পরিচালক নিরাপত্তা, পাবক), মো. আজিজুর রহমান (উপ পরিচালক ট্র্যাফিক), অমিত চক্রবর্তীসহ (যুগ্ম পরিচালক, এস্টেট, পাবক) অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

ফেনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কোরআনে হাফেজের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার আবদুল্লাহ আল নোমান (১৪) নামে এক ক্ষুদে কোরআনে হাফেজের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহতের মামা মাওলানা মাহফুজুর রহমান (৩৭) গুরুতর আহত হয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি চরলক্ষ্মীগঞ্জ নাজেরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নুরানী শিক্ষক ও চরগোপালগাও জামে মসজিদের ইমাম।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মুহুরীগঞ্জ এলাকার কাশীপুর রাস্তায় মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হাফেজ নোমান ফেনী সদর উপজেলার শান্তি কোম্পানি রোড খাজুরিয়া পাটোয়ারী বাড়ির আলমগীর পাটোয়ারীর কনিষ্ঠ পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত নোমান ও তার মামা মাহফুজুর রহমান রাধানগর ইউনিয়নের উত্তর কুহুমা গ্রামে নোমানের নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি জেলা শহর ফেনীতে যাচ্ছিলেন। এসময় কাশীপুর রাস্তা মাথায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল চালক মাহফুজুর রহমান হঠাৎ মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে পেছনে বসে থাকা নোমান মোটরসাইকেল থেকে সড়কের উপর ছিটকে পড়ে যায়। পরক্ষণে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির ধাক্কায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে।

ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার



অভিজিত রায় (কৌশিক), স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার

৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে দেশের কারাগারগুলোতে রয়েছেন ৬৬ হাজারের বেশি বন্দি। এদিকে, কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা রয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার। কারা অধিদফতরের দেওয়া তথ্য বলছে, ধারণক্ষমতার চাইতে ২৩ হাজারের বেশি বন্দি রয়েছেন দেশের কারাগারগুলোতে।

কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বার্তা২৪.কম-কে বলছেন, আমাদের আজকে (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত সারা দেশে মোট কারাবন্দি আছেন ৬৬ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৩ হাজার ৬৮৫ জন এবং মহিলা ২ হাজার ৬৪১ জন।

দেশের কারাগারে ধারণক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাবন্দিদের হিসাব অনুযায়ী আমাদের ধারণক্ষমতা অনেক কম। আমাদের ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন।

ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দিরা কীভাবে রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ধারণক্ষমতা তো আর হুট করে বাড়ানো যায় না। তাই আমাদের ম্যানেজ করে কারাবন্দিদের রাখতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেটা থাকার কথা সেই হিসাবে ৪২ হাজার ৮৬৬ জন থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কারাবন্দি বেশি হওয়ার কারণে এক রুমে রাখার কথা ৪ জন, আমরা সেখানে ৮ জন রাখছি। ইউনিভার্সিটির হলগুলোর মতন আর কী! যদি বন্দি বেশি হয় তাহলে আমরা সেগুলো ম্যানেজ করে রাখি। আমাদের সক্ষমতা আস্তে আস্তে বাড়ছে। একসময় আমাদেরও এই সক্ষমতা পূরণ হয়ে যাবে।

এর আগে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আকরাম হোসেনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সে সময় তিনি বলেন, শুধু আকরামের ঘটনা নতুন নয়। আমাদের আন্দোলন চলাকালে ৩০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০ থেকে ৮০০ জন নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে৷ গত কয়েক দিনের মধ্যে তারা ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ৷ তারা সারা দেশকে নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছ।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে দেওয়া তথ্যকে মিথ্যা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে এই দাবির যথাযথ প্রমাণ না দিতে পারলে মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে অধিকাংশ নেতাকর্মী জেলে বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬০ লাখ লোকের তালিকা চাই। ছিল ২০ হাজার এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

;

সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কা, শিশুসহ আহত ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুসহ ৬ যাত্রী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- সিলেটের জালালাবাদ থানার বাদাঘাট এলাকার চামাউরাকান্দি গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মোস্তফা (৩৫), তার স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩২), বিমানবন্দর থানার ছালেক আহমদের স্ত্রী (নাজমা বেগমের বোন) আছমা আক্তার (৪০), আছমা আক্তারের নাতি রবিউল (৬), ভাতিজি সাজনা আক্তার (১২), সিএনজিচালিত অটোরিকশার ড্রাইভার মাঝেরগাঁও গ্রামের আজিম মিয়ার পুত্র আজাদুল ইসলাম (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) গোলাম দস্তগীর আহমদ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা অপর একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশার চালকসহ কয়েকজন যাত্রী ছিটকে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়।

;