আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল: নোমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল নোমানসহ অন্যরা / ছবি: বার্তা২৪

নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল নোমানসহ অন্যরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অস্ত্র, তলোয়ার, কিরিচ ও বাঁশ দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

রোববার (১৬ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি মোড় এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নোমান বলেন, ‘খুব অসহায় বোধ করছিলাম। মনে করেছিলাম আজকে হয়তো নাও বাঁচতে পারি। নেতাকর্মীদের অদম্য সাহসিকতা আর আল্লাহর রহমতে আজ বেঁচে গেছি।’

জানা গেছে, বিকেল সাড়ে তিনটায় নগরীর পাহাড়তলীর নয়াবাজার এলাকায় বিজয় র‌্যালির উদ্বোধন করছিলেন তিনি। এসময় অতর্কিত হামলার শিকার হন আবদুল্লাহ আল নোমান ও তার নেতাকর্মীরা।

হামলার প্রসঙ্গ টেনে নোমান বলেন, ‘কোনো নির্বাচনী প্রচারণা হিসেবে নয়, বিজয় র‌্যালি উদ্বোধন হিসবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সাবধানতার জন্য চারদিন আগে উপপুলিশ কমিশানারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রাখি। প্রথমে মনে করেছিলাম ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেবে। কিন্তু ক্রমশ তারা আমার দিকে এগিয়ে আসছিল। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আধাঘণ্টারও সময় তাণ্ডব চালায়।’

দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘এর আগেও রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন পরিস্থিতি দেখে আসছি। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হলেও কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয়ে যেতো। কখনো জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওপর হামলা হতো না। কিন্তু রাজনৈতিক জীবনে আজ প্রথম এমন পরিস্থিতিতে পড়লাম। এক যুবক আমার সামনে পকেট থেকে গুলি বের করছিল। নিজেকে খুব অসহায় বোধ করছিলাম, ভীত হয়ে গিয়েছিলাম। মনে করছিলাম আজকে হয়তো নাও বাঁচতে পারি। পরে নেতাকর্মীরা কোনোমতে আমাকে সরু গলির মধ্যে দিয়ে একটি বাসায় নিয়ে যায়। আমার অবস্থা দেখে এক ভদ্র মহিলা বাসার গেইটের তালা খুলে বাসায় নিয়ে যায়।’

নির্বাচনী পরিবেশ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমার কথায় দলের হাইকমান্ড হয়তো ভিন্নমত কিংবা একমত নাও হতে পারে। আমিও নিজেও পুরোপুরি জানি না এ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কেনো আমরা নির্বাচনে আসলাম। যেখানে প্রতিনিয়ত মিছিল, র‌্যালির ওপর হামলা, বাধা ও নেতা-কর্মীদের মামলা দিচ্ছে।’

ওই বাসায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী জিম্মি অবস্থায় থেকে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কারও সহায়তা পাননি জানিয়ে আব্দুল্লাহ নোমান বলেন, ‘চারদিক থেকে ঘেরাও করে হামলায় পাহাড়তলী থানার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ আট নেতাকর্মীর গুরুতর আহত এবং পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে।’

নির্বাচনের সাবির্ক পরিস্থিতিতে ৩০ ডিসেম্বরের পরিস্থিতি কি হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নোমান বলেন, ‘আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাস করি। কেউ বাধা দিলে তারা মানবে না। আমরাও মাঠে থাকব। আর নির্বাচনের দু-একদিন আগেও এমন পরিস্থিতি হলে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

   

ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে অপহরণ, কলেজছাত্রীসহ গ্রেফতার ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীতে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একটি কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজারকে অপহরণের পর মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাতের মামলায় কলেজছাত্রীসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা ও প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে রংপুর জেলা কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রশীদ জানান, দুই মাস আগে রংপুর সদর উপজেলার ইশ্বরপুর শালমাপা এলাকার আক্তারুল ইসলামের মেয়ে রোকেয়া কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মারিয়া চৌধুরী সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের রংপুর বিভাগীয় এরিয়া ম্যানেজার শামস আল আরেফিন হাদীর।

এরপর ম্যাসেঞ্জারে দুইজনের সখ্যতা গড়ে উঠে। মাসখানেক আগে পায়রা চত্বরে তার সাথে প্রথম দেখা হয় হাদির। এ সময় থেকে হাদিকে বড় ভাই হিসেবে সম্বোধন করে মারিয়া।

ওসি আরও জানান, সখ্যতার সূত্রে মারিয়া মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় হাদীকে রংপুর মহানগরীর কেরানীপাড়া চৌরাস্তা আইডিয়াল নার্সিং ইন্সটিটিউটের সামনে দেখা করার কথা বলে। ওই সময়ে হাদি তার সাথে দেখা করার জন্য অফিসিয়ার টয়োটা করোলা গাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানো মাত্রই মারিয়া তার সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদ রানা, শিহাব শাহরিয়ার, তুষার ইসলামকে নিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে মারিয়া তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে দাবি করে তা বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করার হুমকি দেয়।

এসময় গাড়ি উঠেই হাদিকে ড্রাইভিং সিট থেকে অন্য সিটে দিয়ে তুষার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বদরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। এ সময় হাদির কাছ থেকে মারিয়া ও তার সহযোগীরা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। না দিলে মারিয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় তারা হাদির সাথে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, এনআইডি, পরিচয়পত্র ও ব্যক্তিগত ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইলের মাধ্যমে সিন্ডিকেটের অন্য জায়গায় প্রেরণ করে। হাদির ফোনের পাসওয়ার্ড জোরপূর্বক নিয়ে তার ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে।

শুধু তাই নয়, হাদির ব্যবহৃত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নম্বর অ্যাপস থেকে ৫০ হাজার টাকা হাদির বিকাশ অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে। পথিমধ্যে টাকা বের করার জন্য সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের লাহিড়ীর হাট এলাকায় গাড়ির গতি কমালে হাদি সেখান থেকে কৌশলে নেমে টহল পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মারিয়া ও তার চার সহযোগী তরুণকে গ্রেফতার করে।

এঘটনায় হাদি মামলা করলে বুধবার দুপুরে মারিয়াসহ পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

;

থানচিতে ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি উপজেলার সীমান্ত সড়কের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে থানচি সীমান্ত সড়কের ৮ কিলো নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে চারটি ট্রাক থানচি সীমান্ত সড়কের ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় নির্মাণ কাজের জন্য ইট রেখে দুর্গম পথ অতিক্রম করে থানচি বাজারে আসছিল। পথে সীমান্ত সড়কের ৮ কিলোমিটার নামক স্থানে পৌঁছালে জঙ্গলের ভেতর থেকে সাতজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ট্রাক লক্ষ্য করে ৬-৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

গুলিতে একটি ট্রাকের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চালকেরা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে থানচি বাজারে চলে আসে। এসময় সন্ত্রাসীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ট্রাকের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। তবে কে বা কারা গুলি করেছে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেউ।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ট্রাকে গুলি লাগার খবর পেয়েছি। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

;

নির্বাচনে অনিয়ম হলে সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না: ইসি আনিছুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না: ইসি আনিছুর

নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না: ইসি আনিছুর

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময় অনিয়ম হলে সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আমাদের একটাই চাওয়া-নির্বাচনকে সুন্দর করতে হবে। কোনও অনিয়ম, কারচুপি বা যেখানেই অন্যায় কার্যক্রম হবে সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন।  

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম নগরের পিটিআই ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে নয়টি জেলার প্রতিটি উপজেলায় ইভিএম’র মাধ্যমে এবং বাকি জেলাগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না।

আনিছুর রহমান বলেন, গত নির্বাচন একই দিনে সম্পন্ন হলেও এবারের নির্বাচনে ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও কৃচ্ছতাসাধনের লক্ষ্যে চার ভাগে নির্বাচন শেষ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ৮ মে ১৫০টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি জেলাগুলোতে ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বান্দরবান জেলার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। দুর্গম, পাহাড়ি ও দ্বীপ এলাকাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটের আগের দিন নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হবে এবং বাকি জেলাগুলোতে ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া হবে এবং বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এভাবে কখনো প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বাতিল করার মতো যথেষ্ট উপাদান ছিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানকে সপ্তাহখানেক আগে থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল। যখন তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এসপিও তাকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না, এরপর আর বসে থাকা যায়নি। তখনই আমরা প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা ভোটের দিন যে যেখানে থাকবেন, আইনের স্বপক্ষে সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এতে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আমরা আপনাদের পাশে আছি।

বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিজিবি’র রিজিওনাল কমান্ডার মো. আজিজুর রহমান, ডিজিএফআই চট্টগ্রাম শাখার অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী ও জেলার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

;

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিয় থানার মনসুরাবাদ দু'পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল-২৪ এর সংবাদ কর্মী সেলিম উল্লাহর ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

হামলায় আহত সেলিম উল্লাহ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপারসন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে এ ঘটনার পর পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন ২২ এপ্রিল বিকেলে আদালতে হাজিরের পর তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলার পর সাদ্দাম হোসেনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন আহত সাংবাদিক সেলিম।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, মনসুরাবাদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীর ওপর হামলা মামলার আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

হামলায় আহত সেলিমের ভাষ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মনসুরাবাদে সংঘর্ষের মুখে পড়েন সেলিম। এ সময় তিনি সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশে ভিডিও ধারণ শুরু করেন। তা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাদ্দাম ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টাও করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পিছু হটে। হামলায় চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে মারাত্মক জখম হয়েছে বলে সেলিম জানান।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

;