মৃত্যুঞ্জয়ী শহীদ বুদ্ধিজীবী



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
১৪ ডিসেম্বর রাতের তীব্র অন্ধকার-কালো স্ক্রিন ফুটে ধীরে ধীরে জাতির সামনে এসে মাথা তুলে দাঁড়ায় রায়ের বাজার বধ্যভূমি। মরদেহ, মাথার খুলি, কঙ্কাল-এর ক্লিপিং নিয়ে জ্বলজ্বল করে মহান বুদ্ধিজীবীদের পবিত্র স্মৃতি। 
 
জাতির সাহসী সন্তান, বুদ্ধিজীবীগণ যেন সমগ্র জাতির সামনে অভয়বাণীর মতো আবৃতি করেন কালজয়ী কথামালা:
 
‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই,
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
 
বাঙালির জীবনে স্বাধীনতার সূর্য উদয়ের পথে তাদের কথা ও বাণী শোনা গিয়েছিল। রচিত হয়েছিল তাদের সাহসিক ভাষ্য। উচ্চারিত হয়েছিল তাদের জাগরণী গান। তারা ছিলেন মানবতাবাদী অধ্যাপক, দেশপ্রেমিক সাংবাদিক, দরদী গায়ক, মাটি ও মানুষের প্রিয় শিল্পী। তারা ছিলেন এ জাতির মহত্তম সন্তান।
 
বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবী ছিলেন তারা। দেশের কথা বলেছেন জীবনভর। দেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার কথা, অধিকার ও মানবতার কথা বার বার সাহসের সঙ্গে বলেছিলেন তারা। 
 
জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে সুতীব্রভাবে উজ্জীবিত   করেছিলেন আমাদের বুদ্ধিজীবীরা। জাতির ভাগ্যাকাশ থেকে অমানিশা দূর করতে আলোর মশাল নিয়ে চলেছিলেন বুদ্ধিজীবীরা।
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আগে হানাদার পাকিস্তানি ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির এই মেধাবী সন্তানদের।
বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্তে 
পরাজয়ের আগে আগে হানাদাররা হত্যা করে বুদ্ধিজীবীদের। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী আল বদর সদস্যরা 
মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধের মাধ্যমে নিরস্ত্র শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের নিধন করে।
 
রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় ক্ষত, বিক্ষত, নিহত বুদ্ধিজীবীদের লাশের সারি। কারো চোখ তুলে ফেলা হয়েছিল। কারো মুখমণ্ডল বিকৃত করে দেওয়া হয়েছিল। সবার শরীরেই ছিল বর্বর অত্যাচারের চিহ্ন। চরমতম নির্মমতায় ও পাশবিক আক্রোশে হত্যা করা হয় জাতির বুদ্ধিজীবীদের।
 
ঘর থেকে তুলে এনে নির্মম নির্যাতন করে এইসব বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। কারণ, হানাদাররা জানতো, জাতিকে জাগিয়ে দিতে পারে বুদ্ধিজীবীরা। তাই, নিশ্চিত পরাজয়ের আগে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসররা।
 
স্বাধীনতার লাল সূর্যোদয় তারা দেখে যেতে পারেন নি। কিন্তু তাদের সবটুকু রক্ত মিশে আছে আমাদের স্বাধীনতার রক্তিম আলোয়। তাদের পুরো অস্তিত্ব মিশে আছে বাংলাদেশের পবিত্রতম লাল-সবুজ পতাকায়। তারা অমর হয়ে আছেন বাংলাদেশ নামে সবুজ-শ্যামল, স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখণ্ডে।
 
জাতির উদয়ের পথে মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে আছেন মৃত্যুঞ্জয়ী শহীদ বুদ্ধিজীবীরা। আমাদের সংগ্রামে, অর্জনে তারা আছেন। চেতনার গগনস্পর্শী বাতিঘর হয়ে একাত্তরের শহীদ মহান বুদ্ধিজীবীগণ আছেন বাঙালি জাতিসত্তার গভীর মর্মমূলে। তারা আছেন আলোর পথের যাত্রী হয়ে বাংলাদেশের অতল অস্তিত্বে।
 
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির অগ্রণী সন্তানদের প্রতি বার্তা২৪-এর বিনম্র শ্রদ্ধা।
আজ গভীর বেদনা ও ভালোবাসায় স্মরণ করি মৃত্যুঞ্জয়ী শহীদ বুদ্ধিজীবদের।
   

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। এই সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল খোলা রেখেছেন শাহ আলী থানার এডভান্স চাইল্ড কেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিকদার মিরাজুল। তিনি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করছেন।

তীব্র গরমের মধ্যেও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গেলে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক মিরাজুল।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে অনেকটা জোর করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে বাধ্য করছেন প্রধান শিক্ষক।

এমনকি শিক্ষার্থীদের কেউ স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এই হুমকির মুখে তারা স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শাহ আলী থানার রাইন খোলা শাখার সকল শিক্ষক উপস্থিত। প্রধান শিক্ষক কাজে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। কয়েকজন শিক্ষক জানান তারা প্রতিবাদও জানিয়েছেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক কিছুতেই সরকারি নির্দেশনা মানছেন না।

বরং প্রধান শিক্ষক বলছেন, সকল সরকারি নিয়ম মেনে চললে প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না। তীব্র তাপদাহ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক সাধারণ শিক্ষকদের আশ্বস্ত করতে বলেন, এটা সরকারের একটা পলিসি।

সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক মিরাজুল ইসলামকে স্কুল খোলা রাখার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এত খারাপ কেন। আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখি আর খোলা রাখি সেটা আমার ব্যাপার । সরকারের সব সিদ্ধান্ত মেনে আমার স্কুল চালাতে পারবো না।

এ বিষয়ে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রাবেয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে অনেক অভিযোগ এসেছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতী হরিসভা খানপাড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মমতা বেগম (৪০) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় পাটগ্রাম উপজেলার খানপাড়া হরিসভা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধবলসুতী বাসিন্দার মৃত বদির উদ্দিনের মেয়ে নিহত মমতা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। কানে না শোনার কারণে রেল লাইনে হাঁটার সময় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পাশে থাকা স্থানীয় লোকজন গিয়ে মমতার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ও পাটগ্রাম থানায় খবর দেন।

স্থানীয়রা জানান, মমতা ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে তার বড় ভগ্নিপতির বাড়িতে থাকতেন।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে মমতা বেগম নামে একজনের মৃত্যু খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

;

ফেনীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় দেশের মানুষ। ফেনীতে তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টি কামনায় সালাতুল ইস্তিসকারের বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ পড়ে মোনাজাতে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর নিকট বৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে এ নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশত মুসল্লি অংশ নেন। নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন মাদরাসার শিক্ষক ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান।

নামাজের আগে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নেতারা। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নামাজে আগত মুসল্লিরা বলেন, তীব্র খরতাপে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে দিন পার করছে। গরমের তীব্রতায় ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। সেজন্য আল্লাহর রহমতের আশায় নামাজ আদায় করে বৃষ্টি প্রার্থনা করতে সকলে সমবেত হয়েছে।

বক্তব্যে মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, টানা দাবদাহে মানুষ খুব কষ্টে আছে। আল্লাহ বৃষ্টির জন্য সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। সেজন্যই সবাই একত্রিত হয়ে সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করেছি।

শহর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইলিয়াছের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে আমির এ কে এম সামসুদ্দিন এবং নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউছুপ।

;

বাস উঠল রেললাইনে, পুলিশের চেষ্টায় রক্ষা পেল হাজারো যাত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনে উঠে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে এমন ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনের উপরে উঠে যায়। এ সময় মধ্যরাতে মহাসড়কে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে ছেড়েছে। একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনে থাকা যাত্রী সবুজ আহমেদ ও হৃদয় ইসলামসহ অনেকেই জানান, হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় থেমে যায়। পরে জানতে পারি এখাকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে। ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে যেকোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। 

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষ বাসটি রেললাইন উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ কন্টোলরুম বা রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চমগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে দাঁড় করানো হয়। এতে করে ট্রেনের হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।

এসআই টিটু আরও জানান, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতু পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।

;