আজ ২১শে পদক প্রাপ্ত চারণ কবি বিজয় সরকারের প্রয়াণ দিবস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কবি আল বিজয় সরকার, ছবি: সংগৃহীত

কবি আল বিজয় সরকার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একুশে পদক প্রাপ্ত চারণ কবি আল বিজয় সরকারের ৩৩ তম প্রয়াণ দিবস আজ মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর)। ১৯৮৫ সালের এই দিনে ভারতের বেলুটিয় কন্যা বুলবুলির বাড়ি বিধান পল্লীতে মৃত্যুবরণ করেন। কবির মৃত্যু বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষে চারণ কবি বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে দুইদিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবার বিজয়গীতি প্রতিযোগিতা, কবিতায় বিজয় সরকার(স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর), কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন, কবির আত্মার শান্তি কামনা, নীরবতা পালন, বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভা, প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও বিজয় গীতির আসর।

৫ ডিসেম্বর সেমিনার, উন্মুক্ত বিজয়গীতি পরিবেশনা, সম্মাননা প্রদান, চারণ কবি স্বর্ণপদক প্রদান ও কবি গানের আসর রয়েছে।

এবছর স্বর্ণপদকের জন্য মনোনিত হয়েছেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্যামল সরকার। এছাড়া সম্মাননা প্রদান করা হবে ৭ জনকে। তারা হলেন, বিজয় গবেষক সম্মাননায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়ার কবি মোহসিন হোসেন, বিজয় নান্দীকর সম্মাননায় নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়ার শিল্পী বলদেব অধিকারী, বিজয়গীতি সম্মাননায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ার শিল্পী কানাই লাল কুণ্ডু। বিজয় সাথী সম্মাননা সদর উপজেলার বেতভিটার বিএম ফসিয়ার রহমান, মুলিয়ার রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, বালিয়া ডাঙ্গার আসাদুজ্জামান ও ফেদির ওয়াহিদুর রহমান মুকুল।

জানা গেছে, বিরল ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভা সম্পন্ন আধ্যাতিক পুরুষ কবি আল বিজয় সরকার ১৯০২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার ডুমদি গ্রামে পিতা নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মাতা  হিমালয় অধিকারীর সংসারে জন্ম গ্রহণ করেন। দশ ভাইবোনের মধ্যে বিজয় ছিলেন সবার ছোট।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাল্যকাল থেকে তিনি ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির। মাধ্যমিক শিক্ষার গণ্ডি পেরোতে না পারলেও স্কুল জীবন থেকেই তিনি গান রচনা ও সুর করে নিজে গাইতেন। শিশুকাল থেকে তার প্রতিভা বিমোহিত হয়ে তৎকালীন সময়ে বিখ্যাত লোককবি মনোহর সরকার মুগ্ধ হন। ১৯২৯ সালে বিজয় সরকার নিজেই কবি গানের দল গঠন করেন।

১৯৩৫ সালে কলকাতার এ্যালবার্ট হলে কবি গানের এক আসর বসে। ওই আসরে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিম উদ্দিন ,কবি গোলাম মোস্তফা, কণ্ঠ শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বিজয় সরকারের গান শুনে মুগ্ধ হয় এবং আশীর্বাদ করেন। ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ‘ভারতীয় ভাষা পরিষদ’ তাকে সংবর্ধনা দেয়। এ অনুষ্ঠানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ডক্টর আশুতোষ ভট্টাচার্য, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর দেবীপদ ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। তিনি একাধিকবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, ডক্টর মোঃ শহিদুল্লাহ, দার্শনিক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, বিশ্ব নন্দিত চারু শিল্পী এস.এম, সুলতান সহ অসংখ্য গুণীজনের সান্নিধ্য লাভ করেন।

‘এ পৃথিবী যেমন আছে তেমনই ঠিক রবে, সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে’ - বিখ্যাত এরকম হাজারো মরমী গানের স্রস্টা কবিয়াল বিজয় সরকার। বাংলাদেশের কবি গানের উৎকর্ষ সৃষ্টিতে কবিয়াল বিজয় সরকারের অবদান অসামান্য। গ্রামবাংলার মানুষের হৃদয়ের আকুতিকে তিনি চমৎকার সুর ব্যঞ্জনায় তুলে ধরে সাধারণ মানুষের অন্তরে ঠাঁই নিয়েছেন। প্রচার বিমুখ ও নিভৃতচারী এই সংগীত সাধক আসরের প্রয়োজনে মঞ্চে বসেই গান রচনা করে তাৎক্ষনিক ভাবে সুর করে তা পরিবেশন করেছেন। বিজয় সরকারের ভাবধারা ও সংগীত প্রসঙ্গে পল্লী কবি জসীম উদ্দিন বলেছিলেন, ‘মাঝে মাঝে দেশীয় গ্রাম্য গায়কদের মুখে বিজয়ের রচিত বিচ্ছেদ গান শুনিয়া পাগল হই। এমন সুন্দর সুর বুঝি কেহই রচনা করিতে পারে না’।

দীর্ঘ সংগীত সাধনার জীবনে তিনি প্রায় দুই হাজার গান লিখেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বিচ্ছেদিগান, শোকগান, ইসলামীগান, আধ্যাতিক গান, দেশের গান, কীর্তন, ধর্ম ভক্তি, মরমী গান, বাউল, কৃঞ্চপ্রেম, শ্রেনী সংগ্রাম ইত্যাদি। ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

   

রংপুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মামুন মিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইমাদপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিশু মামুন মিয়া ইমাদপুর ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু মামুনের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ইটভাটার মাটি আনার জন্য ট্রাক্টরগুলো যাতায়াত করে। সকালের দিকে শিশুটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দৃশ্য দেখছিল। এ সময় ভেকু দিয়ে কাটা মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টর মাটি নেওয়া শেষে পিছনে ঘুড়ানোর সময় মামুনকে চাপা দেয়। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরটি আটক করেন। পরে পরিবারের আবেদনে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

এক টিকিটের জন্য ৫০০ বার হিট, ৬ষ্ঠ দিনে বিক্রি ৩১ হাজারের বেশি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৬ষ্ঠ দিনে ৩১ হাজারের বেশি অগ্রীম টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রতি টিকিটের জন্য গড়ে ৫০০ বারের বেশি হিট করেছেন যাত্রীরা। আগামী ৮ এপ্রিলের পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেটের মধ্যে ১৫ হাজার ২০০টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ বার।অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের টিকিট পেতে উক্ত অ্যাপে হিট পড়েছে ৯৬ লাখ বার। পূর্বাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিটের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।

;

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি, থানায় জিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে এম. বেলাল উদ্দিন নামের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি একুশে পত্রিকা ও সময়ের আলো’র বাঁশখালী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

এতে দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- ছনুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাম্বলীপাড়া এলাকার ফরমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৩২) ও মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে কামাল উদ্দিন (৩৮)।

থানায় করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হুমকিদাতা কামাল ও মিজান নকল স্বর্ণ ব্যবসায়ী আহমদ কবির ওরফে স্বর্ণ মানিকের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নকল স্বর্ণ ব্যবসা নামক প্রতারণা ও গরু ব্যবসার নামে প্রতারণা করে ধরাকে সরাজ্ঞান করে ফেলেছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গরু বিক্রির কথা বলে আগ্রাবাদের দিদারুল আলম নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে ছনুয়ায় এনে মারধর করে। পরে মিথ্যা ডাকাতির স্বীকারোক্তি নিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করে। বিষয়টি নিয়ে একুশে পত্রিকা ও দৈনিক সময়ের আলোতে ‘‘গরু বিক্রির নামে সর্বস্ব লুটে নেয় ওরা” ও একুশে পত্রিকায় “বাঁশখালীতে আতংকের নাম মানিক বাহিনী, নিঃস্ব বহু মানুষ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন।

এরই জের ধরে গত ২৭ মার্চ বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে ২নম্বর বিবাদী কামাল উদ্দিন (০১৯৩০৭২২২১৮) নম্বর থেকে কল দিয়ে হুমকি প্রদান করেন কামাল। এ সময় তার পাশে থাকা মিজানকে বেলালের মা-বাবার নাম ধরে বকতে শোনা যায়। কামাল উদ্দিন আমাকে মুঠোফোনে বলে, এলাকার ছেলে। সবার সাথে ভালো থাকার চেষ্টা করবি। তোর সাথে আজকেই দেখা করতে চাই। কামাল উদ্দিন ফোন করার ৫ মিনিট পর মিজানুর রহমান (০১৮১৮২৫৮৭২৮) নম্বর থেকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

একই দিন রাত আনুমানিক ১১টা ৩৩ মিনিটে কামাল ও মিজান সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের বাড়িতে যান। এসময় দু'জন বলে, আমাদের বিরুদ্ধে নিউজ করে দেশ কানা করতেছে। এলাকার ছেলে হিসেবে সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে বলবি। না হয় তোদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কামাল ও মিজানের বৈধ কোনো পেশা নেই। মূলত নকল স্বর্ণ ব্যবসা নামক প্রতারণা ও গরু বিক্রির নামে লোকজন এলাকায় এনে মারধর করে। পরে অস্ত্র ও ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ছবি তুলে মিথ্যা ডাকাতির স্বীকারোক্তি আদায় করে সন্ত্রাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারে না। আমি এসব তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। একই সাথে আমার বাড়ি গিয়ে আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিক জিডি করেছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখব।

;

ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শারমিন (৩০) ও নূর ইসলাম (৫৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার কালিপাল মধুপুর রাস্তার মাথায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওমান প্রবাসীর স্ত্রী শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল ১১টায় ছাগলনাইয়ার বল্লবপুর রাস্তার মাথায় সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নূর ইসলাম (৫৫) নিহত হন।

দুর্ঘটনায় নিহত শারমিন কুমিল্লার লাঙ্গলকোট গোর্টশাল গ্রামের প্রবাসী বেলালের স্ত্রী। অপরজন নূর ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে লাঙ্গলকোট থেকে বারইয়ারহাট যাচ্ছিলেন বেলাল ও তার স্ত্রী শারমিন। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কালিপাল, মধুপর এলাকায় এসে পৌঁছালে সড়কের পাশে শাখা রাস্তা থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন শারমিন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন সকালে ছাগলইয়া উপজেলার বল্লবপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও টমটমের সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হন।

নিহত শারমিনের স্বামী বেলাল হোসেন বলেন, আগামী মাসের ১৭ তারিখ আমার ওমান যাওয়ার ফ্লাইট। তাই কদিন বেড়ানোর জন্য আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বারইয়ারহাট বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। মহাসড়কের পাশের শাখা রাস্তা থেকে একটা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল এসে আমাদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত একজন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে বল্লবপুর রাস্তার মাথায় একটি সিএনজি অটোরিকশার সাথে ব্যাটারিচালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হয়েছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টমটমটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

;