নৌকা বাইচে মাতলো রূপসী রূপসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনার রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনার রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘জোরসে চল হেইয়ো-মারো টান হেইয়ো-আরো জোরে হেইয়ো-শাবাশ জোয়ান হেইয়ো’ এমনই হর্ষধ্বনিতে মুখরিত করে ঢাক-ঢোল-কাঁসা-করতাল-মন্দিরায় বাদ্য বাজিয়ে বন্দরনগরী খুলনার রূপসা নদীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।

শনিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নদীর ১নং কাস্টম ঘাট থেকে নৌকা বাইচ শুরু হয়ে শেষ হয় খানজাহান আলী সেতুতে (রূপসা সেতু)।

খুলনা নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আর জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে বেসরকারি মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এবার ১৩তম নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/20/1540038199134.jpg
আবহমানকাল থেকেই গ্রাম-বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও হাজার বছরের সংস্করণ হল নৌকা বাইচ। তারই অংশ হিসেবে রূপসী রূপসার দুই পাড়ে লাখো মানুষের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে চলে এ নৌকাবাইচ।

ঐতিহ্যবাহী এ বাইচ উপভোগ করতে খুলনা শহর ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ এ নৌকা বাইচ উপভোগ করতে আসেন। বিনোদনপ্রেমী মানুষেরা অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নৌকা ও ট্রলার ভাড়া করেন বাইচ উপভোগ করতে। বাঙালির প্রাণের এ উৎসবে মেতে ওঠেন রূপসার দুই কূলের জনতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/20/1540038233331.jpg
এবারের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, তেরখাদা, কালিয়া, নড়াইল, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর থেকে বড়, মাঝারি ও ছোট ৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩৪টি দল অংশ নেবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৪টি দল আসেনি।

বড় দলের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে কয়রার সুন্দরবন টাইগার, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে তেরখাদার ভাই ভাই জলপরী ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে তেরখাদার আল্লাহ ভরসা।

মাঝারি ও ছোট দলের বাইচে প্রথম স্থান অর্জন করে পাইকগাছার ভাই ভাই দুরন্ত, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে কয়রার সোনার তরী ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে পাইকগাছার দুরন্ত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/20/1540038260692.jpg
এছাড়াও গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর ও ফরিদপুর এলাকার নৌকা নিয়ে বিশেষ দলের বাইচে প্রথম স্থান অর্জন করে সোনাডাঙ্গার ফলিয়া এন্টারপ্রাইজ, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে কোটালীপাড়ার সোনার তরী ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে কোটালীপাড়ার মা-বাবার আশীর্বাদ দল।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বড় দলের বিজয়ী দলকে এক লাখ টাকা, দ্বিতীয়কে ৬০ হাজার টাকা ও তৃতীয়কে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অন্যদিকে মাঝারি ও ছোট দলের প্রথম হওয়া দল ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ৩০ হাজার টাকা ও তৃতীয় দল পায় ২০ হাজার টাকা। গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর ও ফরিদপুর এলাকার দলের প্রথম বিজয়ী ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ৩০ হাজার টাকা ও তৃতীয় দল পায় ২০ হাজার টাকা।

প্রতিযোগিতা শেষে রূপসা ফেরীঘাট বাস টার্মিনালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এরপর জাতীয় ও আঞ্চলিক শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

   

বরিশালের জর্ডন রোডে ড্রেনের লোহার ঢাকনা চুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়মিত চুরি হয়ে যাচ্ছে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোডের ড্রেনের লোহার ঢাকনা। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ঢাকনা চুরি করছে তার কোনো প্রমাণও নেই। তবে রাত হলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ডের এই জর্ডন রোড।

ইতিপূর্বে গত ৩০ মার্চ জর্ডন রোডের সার্কিট হাউসের পেছনের মোড়ে সড়কের ড্রেনে লাগানো লোহার ঢাকনা বা স্লাব চুরি হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন পথচারীসহ দ্রুতগামী যানবাহনের চালকরা। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যান অনেকে। বিষয়টি জানা মাত্র বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দ্রুত ২ এপ্রিল নতুন ঢাকনা লাগিয়ে আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করেন জর্ডন রোডের বাসিন্দা ও ঐ পথে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে।

গত ১৭ এপ্রিল পুনরায় জর্ডন রোডের আরো একটি লোহার স্লাব চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোর। ফলে এই সড়কে আবারো ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। শুধু তাই নয়, চোরেরা নতুন লাগানো ঢাকনাটিও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, যার প্রমাণ চারপাশে ভাঙা ইটের সুরকী (ছবি)।

জর্ডন রোডের কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চোরের বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে গভীর রাতে এই সড়কটি ভয়ংকর হয়ে ওঠে এবং একা প্রতিবাদ করার সাহস হয়না বলে দাবি করেন অনেকেই। এই সড়কের পাশে বহুতল একটি ভবন রয়েছে। যেখানে সিসি ক্যামেরাসহ রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীও।

এই ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের একজন আলম রায়হান বলেন, প্রায় প্রতি রাতেই রাত বারোটার পর একদল টোকাই শ্রেণির মাদকাসক্তদের সোরগোল শুনতে পাওয়া যায়। তারা ভবনের সামনে আসে না, যদি আসলে তাহলে ডাক দেওয়ামাত্র ছুটে পালিয়ে যায়। তবে আশেপাশের বাসিন্দারা কেউ ভয়ে বের হয়না বলে জানান তিনি।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এই সড়কে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সচেতন হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু জর্ডন রোড নয়, নগরীর সব রোডের বাসিন্দাদেরই সচেতন হতে হবে। এই নগরীর রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের নয়, আমার আপনার সকলের। নগরবাসী যদি সচেতন না হন, তাহলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে শহর সুন্দর রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে বলে জানান মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত।

;

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেড় ঘণ্টার সভায় ৩ বার লোডশেডিং



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের একটি মতবিনিময় সভায় ৩ বার লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিন নির্ধারিত সময়ের পর বেলা ১২টায় শুরু হয়ে ১টা ৩০ মিনিটে শেষ হয় মতবিনিময় সভা। এর মাঝে অন্তত ৩ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে সভাস্থলে।

একপর্যায়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। প্রায় ১০ মিনিট পর আবারও সভাস্থলে ফিরে আসেন তারা।

এ সময় বারবার লোডশেডিংয়ের জন্য একাধিকবার দুঃখ প্রকাশ করে আয়োজক কমিটি।

আয়োজক কমিটিতে থাকা ডা. সুজিত সাহা 'বার্তা ২৪.কমকে বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়টি আমাদের দায়িত্বে না। আমরা অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলাম।

;

রাঙামাটিতে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যরাতের ঝড় বৃষ্টিতে মুহুর্মুহু বজ্রপাতের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে রাঙামাটির বরকলে জটিলা চাকমা (৫৮) নামের এক গৃহবধু নিহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় বরকল উপজেলাধীন ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভুধছড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বামী প্রমোদ কানু চাকমা জানান, রাতে হঠাৎ বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। 

এসময় আমি খাটের ওপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর আমার স্ত্রীও তার মেয়ে ও নাতনি সহ মাটিতে বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর হঠাৎ আচমকা বাড়ির ছাদে বজ্রপাত হলে আমার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার গুরুতর অবস্থা দেখে নিকটস্থ বরকল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে তার ছোট মেয়ে ও নাতনিসহ ঘুমাতে বিছানায় শুয়ে পড়েন। এই সময় হঠাৎ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। তবে সাথে থাকা তার ছোট মেয়ে ও নাতনি কাকতাঁলীয়ভাবে প্রাণে বেঁচে যান।

;

গাইবান্ধায় গরু চুরি মামলার আসামির হাতে বাদী খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গরু চুরি মামলার আসামির ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন ওই মামলার বাদী রাহিদুল ইসলাম বাবু (৩২) নামে এক যুবক। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এরআগে একইদিন রাত ৮টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি।

নিহত রাহিদুল ওই ইউনিয়নের পূর্বগোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

বিষয়টি মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, চলতি বছরের একটি গরু চুরি মামলার বাদী ছিলেন নিহত রাহিদুল ইসলাম। আর ওই মামলর আসামি ছিলেন খলিলসহ অন্যরা।

সেই মামলার জেরে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় একই মামলার আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাহিদুলের উপর হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা রাহিদুলের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে (রাহিদুলকে) চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে আসামিরাই রাহিদুলকে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে। চুরি মামলার মূল আসামি ও ঘটনার সাথে জড়িত খলিলসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।

;