লেখাপড়ার পাশাপাশি চাষ করছে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লেখাপড়ার পাশাপাশি চাষ করছে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী। ছবি: বার্তা২৪.কম

লেখাপড়ার পাশাপাশি চাষ করছে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরেই মাঠে যায় তারা। এক ঘণ্টা নিজের প্লটে কাজ করে রুমে ফিরে রেডি হয়ে যায় ক্লাসে। শুধু ছাত্র নয় ছাত্রীদেরও একই রুটিন। দুপুরে ক্লাস সেরে রুমে ফিরে বিকেলে আবারো নিজের জমিতে চাষ করে ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী।

তারা উৎপাদন করছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মুলা, গাজর, লালশাক, পালংশাক, ব্রকলি, ড্রাগন ফল, পুদিনা, ধনেপাতা, শালগম, ওলকপি, মটরশুটি, গম, সয়াবিন, ভুট্টা, রসুনসহ ৬০ প্রকার সবজি। এছাড়াও পালন করা হচ্ছে হাস, টার্কি মুরগি, মাছ, গরু ও কবুতর। এতে সফলও হয়েছে তারা। নিজেদের উৎপাদিত সবজি খাওয়াসহ বিক্রি করছে তারা।

জানা যায়, ২০০৬ সালে শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ২১ দশমিক ৩৮ একর জমির উপর এ কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। এ কেন্দ্রে তিনটি ভবনে ১০টি শ্রেণিকক্ষ, পাঁচটি ল্যাবরেটরি, একটি লাইব্রেরি, একটি সভাকক্ষ, শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, অধ্যক্ষের বাসভবন, গুদামঘরসহ আরও কিছু ভবন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চারদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। রয়েছে বড় একটি মাঠ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/15/1539593661541.jpg

২০১৩ সালে শিক্ষক নাজিম উদ্দিন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের পরিত্যক্ত জমিতে ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নেন। শিক্ষার্থীরা যাতে কৃষিকাজের বাস্তব জ্ঞানসহ উৎপাদিত ফসল ভোগ করতে পারেন এমন ভাবনা থেকে শিখি-করি-খাই (শিকখা) কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। এ কাজে সফলতাও ধরা দিয়েছে। তাদের এ কর্মসূচি এখন কৃষি বিভাগ মডেল হিসেবে গ্রহণ করেছে। দেশের সব কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ২০১৩ সালে ৩৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম এ কার্যক্রম শুরু করেন। ক্যাম্পাসের মধ্যে পরিত্যক্ত ৬০ শতক জমি পরিষ্কার করে আবাদযোগ্য করেন। কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জৈব পদ্ধতিতে করা হচ্ছে সবজি চাষ। তারা সারা বছর উৎপাদিত সবজি খাচ্ছেন। বর্তমানে আবাদি জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ একরে। চাষ করা হচ্ছে ৬০ প্রকার ফসল। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ছেলেমেয়েরা কাজ করছে ফসলের ক্ষেতে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিখছে হাতে কলমে কৃষিকাজ। আর তাদের উৎপাদিত সবজি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করছে তারা।

১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আরিফ বিল্যাহ বলেন, ‘আমার প্লটে সকালে ১ ঘণ্টা ও বিকেলে ১ ঘণ্টা করে কাজ করি। আমি চেষ্টা করছি আমার ফুল বাগানে অন্যদের থেকে ভালো ফুলের চাষ করতে।’

একই সেমিস্টারের শিক্ষার্থী উম্মে জারিন তাসনিম বলেন, ‘আমি আগে কখনো কোদাল বা নিড়ানি হাতে নেইনি। এখানে ভর্তি হওয়ার পর আমার জমি আমি নিজেই তৈরি করি। এতে আমার ভালোই লাগে।’

শারমিন আক্তার নামের অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এখানে কাজ করে আমরা ফসল, মাটি, পোকামাকড়ের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। যা আমাদের ভবিষ্যতের কর্মজীবনে কাজে লাগবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/15/1539593687338.jpg

এ কর্মসূচির উদ্যোক্তা প্রশিক্ষক নাজিম উদ্দিন জানান, সাধারণত দেশের কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলোয় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কৃষিকাজ দেখানোর জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পোকা দমন ও চাষপদ্ধতি দেখানো হয়। শিক্ষার্থীরা যাতে পড়ালেখার পাশাপাশি সারা বছরই উৎপাদনে অংশ নিতে পারেন, এমন ভাবনা থেকেই এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের পুকুরে মাছ চাষ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা, উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণ করেছেন।

প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের জানান, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ এখানে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলারসহ নেই কোনো আধুনিক প্রযুক্তি। সরকার যদি এ চাহিদা মেটাতো তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও ভালোভাবে প্রযুক্তিগত জ্ঞান আহরণ করতে পারত।

তিনি আরও জানান, শিখি-করি-খাই এ কর্মসূচি এখন কৃষি বিভাগের কাছে একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

   

শোরে কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে চার লাখ টাকা ফিরিয়ে দিল ইজিবাইক চালক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে রাস্তায় পড়ে পাওয়া চার লাখ ৪৫ হাজার টাকা মালিকে ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইক চালক ইসমাইল আলী (৫৮)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইভের মধ্যস্থতায় টাকার মালিক ব্যবসায়ী শহিদুল কে বুঝিয়ে দেওয়া হয।

কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যশোর মনিহার চত্বরে ফল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম তার নিজ বাসা বকচর থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে করে চার লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে হল পট্টিতে মোটরসাইকেলে আসছিল। মনিহার চত্বর এলাকায় রাস্তার উপরে টাকার ব্যাগ পড়ে যায়। টাকার ব্যাগ পান ইজিবাইক চালক যশোর শহরতলীর রামনগর এলাকার মৃত মসলেম আলীর ছেলে শেখ ইসমাইল আলী। এদিকে টাকার ব্যাগ হারিয়ে ব্যাবসায়ি শহিদুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। একই সাথে শহরের বিভিন্ন যায়গায় মাইকিং করেন ব্যাগ খোয়া গেছে টাকা সহ।

এদিকে রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাইফ জানান, ইজিবাইক চালক ইসমাইল আলী টাকাসহ ব্যাগ পেয়েছেন জানিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসেন। ইউনিয়ন পরিষদে বসে টাকার ব্যাগ খুলে গুনে দেখা যায় সেখানে চার লাখ ৪৫ হাজার টাকা আছে। আমি ঘটনাটি কোতোয়ালি থানার ওসি রাজ্জাক সাহেব কে জানাই। পরে ওসি সাহেব ইজিবাইক চালক ইসমাইল আলী ও টাকার মালিক হল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে নিতে আসতে বলেন। আমাদের উপস্থিতিতে রাস্তায় পড়ে পাওয়া টাকা গুলি শহিদুল ইসলামকে ফেরত দেন। টাকা খুইয়ে আবার সেই টাকা ফেরত পেয়ে খুবই খুশি হল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম।

অনুভূতি প্রকাশে তিনি বলেন, সমাজের সত্যি সত্যি এখনো সৎ এবং মানবিক মানুষ আছে । তিনি ইজিবাইক চালককে বিশ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেন।

;

করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬ জন, শনাক্তের হার ৫.১০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬ জন, শনাক্তের হার ৫.১০

করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬ জন, শনাক্তের হার ৫.১০

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ জনে। এদিন কারো মৃত্যু না হওয়ায় এ সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৩ জনেই রইল। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ৩১৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্তের এ হার ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন। মোট সুস্থ ২০ লাখ ১৬ হাজার ৭৫০ জন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর অর্থাৎ ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। 

;

যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত

যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চৌগাছায় চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে শামীম হোসেন (২৭) নামে বাসের এক হেলপার নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চৌগাছা-যশোর সড়কের চৌগাছা সরকারি কলেজে পাশে ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুঘর্টনা ঘটে।

নিহত শামীম হোসেন উপজেলার সুখপুকরিয়া ইউনিয়নের আড়সিংড়ী সুখপুকুরিয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী অন্য একটি বাসের চালক রানা এবং একটি বাসের সুপারভাইজার লাভলু বলেন, শামীম যশোর-চৌগাছার লোকাল বাস ইউএ ট্রাভেলসের একটি বাসে (যশোর-ব-১১-০২০৫) চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চৌগাছা মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যশোরে যাওয়া এএ আফ্রিদি নামের একটি বাসে (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-জ ০৪-৭১৬) করে চৌগাছা ফিলিং স্টেশনে যাচ্ছিলো। ফিলিং স্টেশনে পৌঁছে বাসটির সামনের গেইট দিয়ে নামতে গিয়ে পা-পিছলে পড়ে গেলে একই বাসের পিছনের চাকা তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই চৌগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি হেফাজতে নেয়।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক লুৎফুন্নেছা লতা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কানুটিয়া ও চরপাড়া গ্রামে পৃথক বজ্রপাতে দুই জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন একই উপজেলার কানুটিয়া গ্রামের জামান মির্জার ছেলে তন্ময় মির্জা (২২) ও চরপাড়া গ্রামের আকুল শেখের ছেলে উমেদ আলী (২০)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সাথে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনায় এ দুইজন নিহত হয়।

মাগুরা মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহানুল ইসলাম জানান, বিকালে জমিতে কৃষি কাজ করার সময় আকস্মিকভাবে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাত শুরু হয় এ সময় বজ্রপাতে তন্ময় ও উমেদ আলী আহত হয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

;