দুর্বল হুজিবিদের কড়া নজরদারিতে রেখেছে র‍্যাব



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহিত

ছবি: সংগৃহিত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজিবি) সাংগঠনিক ভাবে এখন অনেকটা দুর্বল। ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪৯ আসামির মধ্যে ২৯ জনই হুজিবি'র জঙ্গি। রায় পরবর্তীতে নেতৃত্ব শূন্য এই জঙ্গি সংগঠনটির উপর কড়া নজরদারি বসিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র‍্যাব)। অবশ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, জঙ্গি সংগঠনগুলো কখনও নেতৃত্ব শূন্য থাকে না। শুধু অর্থ ও অস্ত্রের সংকট থাকলেই এই সংগঠন গুলো নিঃশেষ হয়ে যায়।

আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর কার্যত নেতৃত্বশূন্য হয় সংগঠনটি। তার আগে ওই বছরই হামলা চালিয়ে টঙ্গীতে মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায় হুজিবির জঙ্গিরা। এতে গোয়েন্দারা মনে করেন, শক্তিশালী না হলেও তৎপরতা চালানোর মতো সক্ষমতা রয়েছে সংগঠনটির। তবে অপারেশনে হুজিবিরা যেসব বোমা ব্যবহার করেছিল, সেগুলো বিশ্নেষণ করে গোয়েন্দারা বলছেন, আপাতত বড় ধরনের অপারেশন করার মতো সক্ষমতা নেই তাদের।

ধারণা করা হচ্ছে, ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে পর সাংগঠনিক ভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে এই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনটি। তবে রায়ের পর কোন এক কারণে, আবারো মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করতে পারে তারা। এই বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের উপর কড়া নজরদারি রেখেছে র‍্যাব। 

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, হলি আর্টিজান হামলার পর হতে এবছর ৭ অক্টোবর পর্যন্ত র‍্যাব ১৮ জন হুজিবি সদস্য গ্রেফতার করেছে। র‍্যাব ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, এতে বোঝা যায়, হুজিবিরা এখনও সক্রিয়। তবে নাশকতা করার মত তাদের সক্ষমতা নেই। 

এদিকে হুজিবি ছাড়াও এসময়ে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ৫৩৪ জন, হিজবুত তাহরির ৩৩ জন, আনসার আল ইসলামের ৫১ জন, আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের ১১ সদস্যেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

নেতৃত্ব শূন্য হুজিদের সাংগঠনিক অবস্থা কেমন হতে পারে এবং ২১ আগস্ট রায়ের পর জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তাদের অবস্থান কি, জানতে চাইলে, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুর রশিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, জঙ্গি সংগঠন সেটা হুজিবি হোক বা অন্যকোন, তারা নেতৃত্ব শূন্য থাকে না। পরের ধাপের নেতারা সংগঠনের হাল ধরে। তবে হুজিবির মত সংগঠন গুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, অর্থ এবং অস্ত্রের সংকটে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:)আব্দুর রশিদ আরও বলেন, রায় নিয়ে তাদের অবস্থানের কিছুই নেই। কেননা, নাশকতা করার মত তাদের সক্ষমতা নেই বলেই আমার মনে হয়। কিন্তু আশঙ্কার বিষয়, জঙ্গিরা চুপচাপ থাকলেও তাদের মতদর্শ পরিবর্তন হয় না। আমাদের যুদ্ধ হবে তাদের মতদর্শের সঙ্গে।

একই বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, হুজিবিদের পরে অনেক নতুন জঙ্গি সংগঠনের নাম আমরা শুনেছি। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সম্পর্ক আছে, এমনটাও শুনেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে এমন কোন যোগসূত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে পায়নি। আমার মনে হয়না, হুজিবিদের সেই সক্ষমতা আছে, যা দিয়ে তারা নাশকতা করবে। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরেই, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে হুজিবিরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে আছে।

বায় পরবর্তীতে হুজিবিদের নিয়ে র‍্যাব কি ভাবছে জানতে চাইলে র‍্যাব সদরদফতরের সিনিয়র এএসপি মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে থেকেই হুজিবি জঙ্গিদের প্রতি র‍্যাবের অবস্থান কঠোর। তবে ২১ আগস্ট রায়ের পর থেকে হুজিবি সদস্যদের উপর নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।  গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর ছাড়া যে কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা হামলার চেষ্টা রুখে দেওয়ার সামর্থ্য র‌্যাবের আছে। তারা দুর্বল হতে পারে কিন্ত আমরা তাদের কড়া নজরদারিতে রেখেছি।

এদিকে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে আফগান ফেরত ৫ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুজাহিদ নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয় হুজিবির কার্যক্রম। যাত্রা শুরুর পর থেকে এ জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্ব দেন আবদুর রহমান ফারুকী, মঞ্জুর হাসান, মুফতি আবদুল হাই, কমান্ডার মঞ্জুর আহম্মদ, মুফতি আবদুস সালাম, মওলানা মঞ্জুর হাসান, কমান্ডার বাসেদ ও মুফতি শহীদুল ইসলাম এবং মুফতি হান্নান। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা, রমনার বটমূলে বোমা হামলা, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলা, কবি শামসুর রাহমানের ওপর হামলাসহ বেশকিছু হামলার নেপথ্যে ছিল হুজিবি।

   

অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির

অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি পশু ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্পে এআই টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করেন আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির হোসেন। নিজস্ব প্যাডে সিল স্বাক্ষর করে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশুদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তারা।

বিধি অনুযায়ী তাদের এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন না থাকলেও ব্যবস্থাপত্রে তারা লিখছেন সেটাও। বলছেন, ঊর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশের কথা, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন তারা এমন অনুমোদন দেননি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আস্থাশীল পরিচয় দিয়ে পশু দেহে ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে পশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তাদের আশীর্বাদে আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির হোসেন দীর্ঘদিন দাপট দেখিয়ে অন্যান্য পশু চিকিৎসকদের কোণঠাসা করে রেখেছেন।

ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক পশুপালনকারী নারী অভিযোগ করে বলেন, সরকারি প্রকল্পে চাকরি করেন বলে জাকির হোসেনের কাছ থেকে গরু-ছাগলের চিকিৎসা করাই। তিনি নিজেকে সরকারি ডাক্তার বলে পরিচয় দেন। তার ভুল চিকিৎসায় অনেক গরু অসুস্থ হতে দেখেছি।

গরু অসুস্থ হলেই তিনি ব্যবস্থাপত্রে এন্টিবায়োটিক লিখে থাকেন। এন্টিবায়োটিকের প্রভাবে গরুর সমস্যা আরও প্রকট হয় বললে দাবি করে বলেন, সরকারি জেলা কর্মকর্তারা আমার চিকিৎসা সম্পর্কে জানেন। তারা যেভাবে চিকিৎসা দিতে বলেছেন সেভাবে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দিচ্ছি বলে তিনি দাপটের সঙ্গে বলেন।

এ-বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শংকর কুমার দে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আজিজুর ও জাকিরের তাদের চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন নাই। তাদের এই ধরনের চিকিৎসার অনুমতি আমি দিইনি। এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির আমার নাম ভাঙিয়ে চলছেন।

অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা পর্যায়ের এ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি ভেটোরিনারি রেজিস্টার্ডপ্রাপ্ত ছাড়া এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন কারো নাই।

বিপ্লব ও ও জাকির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছেন এমন অভিযোগের জবাবে জেলা প্রাণিসম্পদ এ কর্মকর্তা বলেন, এগুলো ভুয়া; তারা আমাদের নাম ভাঙিয়ে চলে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, আমি জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন। আপনি যা খুশি করতে পারেন। তারা আমার রক্ষা করবে।

আরেক অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আমি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন।

;

৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০২৩-২৪ করবর্ষের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি-রফতানি শুল্ক মিলে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা যা বিগত করবর্ষের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।

গত করবর্ষের ৯ মাসে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্র জানায়, খাতভিত্তিক রাজস্ব আয়ের হিসাব হলো ৯ মাসে আমদানি ও রফতানি শুল্ক খাত থেকে আয় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা, স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকে ১ লাখ ৭০২ কোটি ৩৯ লাখ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা আয় হয়েছে। তবে এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। ৯ মাসে যে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিলো, তার ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

এনবিআরের তথ্যমতে, গত ২০২২-২৩ করবর্ষের ৯ মাসে আমদানি-রফতানি শুল্ক থেকে রাজস্ব আহরণ ছিল ৬৭ হাজার ৩৮০ কোটি ৩৪ লাখা টাকা। চলতি করবর্ষের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে আয়কর আহরণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। গত করবর্ষের ৯ মাসের ৭১ হাজার ২২৭ কোটি ২২ লাখ টাকার আয়কর রাজস্ব আয় এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। আমদানি-রফতানি শুল্ক ও আয়করের মত মূসক আহরণের ক্ষেত্রেও উল্লেখ করার মত প্রবৃদ্ধি এসেছে। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত করবর্ষের ৯ মাসে মূসক রাজস্ব আয় ছিলো ৮৬ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, চলতি করবর্ষে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।

;

তীব্র তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের পাশে তরুণ সংঘ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে তীব্র তাপদাহের নাকাল নানা পেশার শ্রমজীবী মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন। নিজস্ব অর্থায়নে কাঠফাটা রোদে সড়ক, ফুটপাতে ঘুরে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন ওই তরুণ সংঘের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার জয়দেবপুর থানাধীন ভাওয়াল মির্জাপুরে, ভাওয়াল মির্জাপুর তরুণ সংঘ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা এলাকায় নানা শ্রেণি-পেশার শতাধিক শ্রমজীবী মানুষকে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন।

জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠন মহামারী করোনা ভাইরাসের সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করেছে। চলমান তীব্র তাপদাহে যখন শ্রমজীবী মানুষের প্রাণ হাঁসফাঁস করছে তখন স্বেচ্ছাসেবী ওই দলটি নিজস্ব অর্থায়নে তৃষ্ণার্থ মানুষের পিপাসা পূরণে এগিয়ে এসেছে।

সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আশিক মাহমুদ জানান, সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত মানুষদের জন্য কাজ করাই আমাদের এই সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য। সকল সদস্যরা প্রতি সাপ্তাহে ২০ টাকা করে ফান্ডে জমা দিয়ে সেই টাকা থেকেই সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষের সেবা করি।

;

বাস চাপায় নিহত চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর পরিবার ৫ লাখ টাকা করে পাবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
বাস চাপায় নিহত চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর পরিবার ৫ লাখ টাকা করে পাবে

বাস চাপায় নিহত চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর পরিবার ৫ লাখ টাকা করে পাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বাস চাপায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দুই শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চুয়েট কর্তৃপক্ষ, চুয়েটের ছাত্র প্রতিনিধি, বাস মালিক সমিতি, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জেলা প্রশাসকের বৈঠকে হয়। বৈঠকে জেলা প্রশাসক এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি খুব শিগগিরই এ সড়ক সম্প্রসারণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়াও আহত শিক্ষার্থীরা পাবেন ৩ লাখ টাকা। কালকের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরমপূরণ করে পাঠিয়ে দিবো। দুই একদিনের মধ্যে আমরা সে টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আশা করছি।

;