দাবির মুখে অবার্থর টেকনোলজিকে ২২০ কোটি টাকা দিচ্ছে ইসি



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দাবির মুখে অবার্থর টেকনোলজিকে ২২০ কোটি টাকা দিচ্ছে ইসি, ছবি: সংগৃহীত

দাবির মুখে অবার্থর টেকনোলজিকে ২২০ কোটি টাকা দিচ্ছে ইসি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে স্মার্টকার্ড তৈরির কাজ শেষ করতে না পারায় ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান অবার্থর টেকনোলজির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এবার প্রতিষ্ঠানটির দাবির মুখে প্রায় ২২০ কোটি পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই অর্থ পরিশোধ করা হবে। আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ায় পুরো টাকাই বাংলাদেশ সরকারকে পরিশোধ করতে হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, নাগরিকদের স্মার্টকার্ড দিতে ২০১৫ সালে ফরাসি কোম্পানি অবার্থর টেকনোলজির সঙ্গে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার চুক্তি করে কমিশন। সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের জুনে। নির্ধারিত সময়ে স্মার্টকার্ড তৈরির কাজ শেষ করতে না পারাসহ নানা অভিযোগের মধ্যে নির্বাচন কমিশন এ চুক্তি আর নবায়ন করেনি। সে অবস্থায় গত বছরের আগস্ট থেকে নিজ উদ্যোগে স্মার্টকার্ড উৎপাদনে যায় ইসি। তবে চুক্তির শর্তপূরণ করতে না পারায় অবার্থর পক্ষ থেকে দেওয়া ব্যাংক গ্যারান্টির ১৩৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

এদিকে বুধবার (১০ অক্টোবর) ইসির সঙ্গে অবার্থরের প্রতিনিধি দল ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতসহ উভয়পক্ষের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অবার্থর পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে পাওনা হিসেবে ৪১ মিলিয়ন ডলার দাবি করা হয়। এ সময় কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটি চুক্তি অনুযায়ী যথাযথভাবে কাজ করতে পারেনি বলে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়। পাশাপাশি তাদের দেওয়া কার্ড নিয়েও বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। পরে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের মধ্যস্থতায় ২৬ মিলিয়ন ডলার ( প্রায় ২২০ কোটি টাকা) পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনও বিষয়টি মেনে নিলে এর সম্মানজনক সমাধান মেলে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই অর্থ পরিশোধ করা হবে।

এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি উইং) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, অবার্থরের সঙ্গে আমাদের সমাধান হয়ে গেছে। আমরা মূলত তাদের কিছু টাকা আটকে রেখেছি। পাওনা প্রায় ৪১ মিলিয়ন ডলার আমরা এখনো দেইনি। ২০১৭ সালে আসা কার্ডগুলোর টাকা দেবো-দেবো করে দেওয়া হয়নি। চুক্তির ৮০০ কোটি টাকার মধ্যে এই অর্থ তারা পাওনা ছিল।

ইতোপূর্বে ইসির পক্ষ থেকে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হলেও এখন কেন তাদের অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাওনা এক বিষয়, ক্ষতিপূরণ আলাদা বিষয়। মূলত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্যাংকের কাছে পেমেন্ট গ্যারান্টি রাখা হয়। সেই ব্যাংক থেকে আমরা টাকা আদায় করে নেই। সেটা হলো- ক্ষতিপূরণ। কিন্তু তারা কার্ডের যে টাকা পায় সেটা আমরা আটকে রেখেছি। সেই পেমেন্ট থেকে ৫৬ মিলিয়ন ক্লেইম করেছিল, এর মধ্যে তারা পায় ৪১ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু আমরা দরকষাকষি করে ও তাদের ব্যর্থতা দেখিয়ে প্রায় ২৬ মিলিয়ন ডলারের সমঝোতায় এসেছি। এতে আমাদের ১৩৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এই সাশ্রয় ও তাদের কাছ থেকে আদায় করা ক্ষতিপূরণ মিলিয়ে ২৫৩ কোটি টাকা সরাসরি সাশ্রয় হয়েছে আমাদের।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই অর্থ পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘তাদের পাওনা-দাওনা আছে। এটা আইডিয়া প্রজেক্ট এবং ফ্রান্সের স্মার্টকার্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অবার্থর টেকনোলজিসের বিষয়। তাদের পাওনা টাকার বিষয়ে সমঝোতা আর কি। তারা কার্ডের টাকা পায় সেটি পরিশোধ করা করা হবে। তারা পাওনা টাকা চাইবে না?

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ৯ কোটি ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে ফ্রান্সের কোম্পানি অবার্থর টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি করে কমিশন। ৮১৬ কোটি টাকার চুক্তি অনুযায়ী, স্মার্টকার্ড বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালের অক্টোবরে। কিন্তু নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত এক কোটি ১৮ লাখের বেশি নতুন ভোটারকে আপদকালীন লেমিনেটেড এনআইডি কার্ড দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসি।

   

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;

সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।

এর আগে, ২৮ মার্চ দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুরের সদর থানার কুতইড় এলাকার বাসিন্দা ও আশুলিয়ার জামগড়া মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো.ফরিদুল ইসলাম (৪৪) এবং একই এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান (৪৫)।

ডিবি পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় তা বিক্রি করত তারা। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

;

বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযান, ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজার মনিটরিং ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বরিশালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ৪ ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল শহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন, বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মারজানুর রহমান, মোঃ শহীদ উল্লাহ ও শাহরুখ আলম শান্তনু।

এ সময় তারা নগরীর পোর্ট রোড পাইকারী ও খুচরা বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ও ভোক্তা অধিকার আইনে মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার সংরক্ষণ না করা এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূলে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ৪টি মামলায় ৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র‌্যাব-৮ এর ৩টি টিম।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

চট্টগ্রামে জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকল ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে কিভাবে এই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

কারখানাটির পাশের একটি কুলিংকর্ণারে ব্যবসায়ী সুজন বার্তা২৪.কম বলেন, আজ শুক্রবার আমি বাসায় ছিলাম। আগুন কিভাবে লাগছে জানি না। এটি মূলত রগদা নামের একটি কারখানা। এখানে জুতার সোল তৈরি করা হয়। ৫-৬ মাস আগে কারখানাটি চালু হয়। এর আগে এটি সীমস ফ্যাশন লিমিটেড লামের একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা ছিল।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

;