দূরত্ব-অন্ধত্বকে জয় করেছে সাইকেল বালিকারা



এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দূরত্ব-অন্ধত্বকে জয় করেছে সাইকেল বালিকারা। ছবি: বার্তা২৪.কম

দূরত্ব-অন্ধত্বকে জয় করেছে সাইকেল বালিকারা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া: আছিয়া খাতুন। খোকসা জানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি থেকে তার বিদ্যালয়ের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। আগে পায়ে হেঁটে, কখনো বা ভ্যানে চড়ে বিদ্যালয়ে আসত। কিন্তু অষ্টম শ্রেণিতে ওঠার পর থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে প্রতিদিনই স্কুলে আসে সে।

বলছিলাম কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল একতারপুর গ্রামের আছিয়া খাতুনের কথা।

আছিয়া বলে,‘শুধু ছেলেরাই নয়, আমাদেরও অধিকার আছে বাইসাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে আসার। আমি ৫ কিলোমিটার দূর থেকে বিদ্যালয়ে আসি। আগে কষ্ট করে আসতাম। অনেক সময় বিদ্যালয়ে আসা হতো না। কিন্তু বাইসাইকেল থাকায় এখন আমি নিয়মিক বিদ্যালয়ে আসি।’

আরেক ছাত্রী শাকিলা বলে, ‘আমরা এখন আর ভ্যান-রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে থাকি না। সময় মতো বিদ্যালয়ে আসতেও পারি। তবে যাদের বাইসাইকেল কেনার মতো সামর্থ্য নেই, তাদের বিদ্যালয়ে আসতে অনেক কষ্ট হয়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/21/1537519103162.jpg

স্থানীয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়ায় দিন দিন বাড়ছে সাইকেল বালিকাদের সংখ্যা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে সাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে আসে অসংখ্য বালিকারা। তবে আগের মতো সাইকেল চালাতে এখন আর তাদের ভয় বা লজ্জা করে না।

জানা গেছে, খোকসা জানিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ উপজেলার মোট প্রায় ২ হাজার ছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে আসে বাইসাইকেল চালিয়ে। এতে সময়, অর্থ ও শ্রম বাঁচার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও উপকৃত হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীরা। মুক্তভাবে চলাফেরা করায় এসব শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠছে প্রতিবাদী ও চিন্তাশীল। আগের মতো এখন আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিকশা-ভ্যান বা যাতায়াতের অন্য বাহনগুলোর জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। ফলে বিদ্যালয়-প্রাইভেটে দেরিও হয় না।

শিমুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই স্কুলের প্রায় শতাধিক ছাত্রী সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসে। কারো কারো বাড়ি ৮-১০ কিলোমিটার দূরে। দূরত্ব তো আর পড়াশোনাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। দূরত্ব আর অন্ধত্বকে জয় করেছে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসা উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের ছাত্রীরাই।

শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শোমসপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খোকসা জানিপুর মাধ্যমিক স্কুল, মোড়াগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঈশ্বরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধোকড়াকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়ন্তীহাজরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ওসমানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এইচডি আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ হাজারের অধিক ছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে আসে সাইকেল চালিয়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/21/1537519132364.jpg

খোকসা জানিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন,‘আমার খুব ভালো লাগে যখন দেখি আমাদের মেয়েরা লাইন ধরে স্কুলে আসে। সাইকল চালিয়ে ছাত্রীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছে এমন দৃশ্য যেন আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ারই একটি পূর্বাভাস।’

খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিনা আক্তার বলেন,‘আমাদের সমাজে নারীর প্রতি যে বিরূপ আচরণ ছিল তা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। সেজন্যই তো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারীদের আজ অবাধ অবস্থান। মেয়েরা যে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসছে এটা কিন্তু দেশের জন্য একটি দারুণ সংবাদ। তবে যাদের সাইকেল কেনার মতো সামর্থ্য নেই তাদেরকে আমরা উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদ থেকে কিনে দেয়ার চেষ্টা করব।’

   

ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের অপর নাম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদ-উল ফিতরে সারাদেশের সাথে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কে বড়ধরনের বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ নিয়ে শংকিত পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। ঘরমুখী এবং  ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখী মানুষের বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ নিয়ে শঙ্কায় সবাই। 

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালু হবার পর বরিশাল ও সন্নিহিত এলাকার সাথে রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটিতে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় চারগুণ বেড়ে গেছে। কিন্তু ঢাকা থেকে ছয় লেনের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পদ্মা সেতু পার হয়ে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গায় পৌঁছানোর পর বরিশাল পর্যন্ত ২৪ ফুট প্রশস্ত ৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে তীব্র যানজট ও দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

জানা গেছে, ১৯৬০ থেকে ’৬৬ সালের মধ্যে মাত্র পাঁচ টন বহনক্ষম এ মহাসড়কটি দুই যুগ আগে জাতীয় মহাসড়কের মর্যাদা লাভ করলেও ১২ ফুট থেকে ২৪ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত হয়েছে। কিন্তু বহন ক্ষমতা আর বাড়েনি। উপরন্তু দুই পাশের নানা অবৈধ স্থাপনা মহাসড়কটিকে গলা টিপে ধরেছে। পাশাপাশি বাড়তি ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে মহাসড়কের অবৈধ যানবাহনের আধিক্য। এতে করে বৃদ্ধি পেয়েছে দুর্ঘটনার সংখ্যা।

সড়ক অধিদপ্তর ও হাইওয়ে পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কে এখন প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করছে যা ছয় লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় সমান। এ অবস্থায় বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটি সিঙ্গেল লেনের হওয়ায় প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি করে দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ২০ মার্চ পূর্ববর্তী ছয় মাসে এ মহাসড়কে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো দুই শতাধিক। এসব দুর্ঘটনাজনিত কারণ ছাড়াও নিত্যদিনের যানজটে প্রতিদিন নাকাল হচ্ছেন এ মহাসড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রীরা। এসব দুর্ঘটনা ও যানজটে এ মহাসড়ক ব্যবহারকারী পণ্য পরিরবহনেও দীর্ঘসময় ব্যয় হচ্ছে। 

সূত্রমতে, ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর, টেকেরহাট, ভাঙ্গা, তালমামোড়, গৌরনদী, বাটাজোর, ভূরঘাটা, বরিশাল মহানগরীর নথুল্লাবাদ, নবগ্রাম রোড, চৌমুহনী, আমতলা মোড়, রূপাতলী ও বাকেরগঞ্জে যানজট এখন নিয়মিত ঘটনা। যেকারণে পদ্মা সেতু চালু হবার পর ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতেই এখন বিভিন্ন যানবাহনের প্রায় তিন ঘণ্টা সময় চলে যাচ্ছে। ফলে সেতু চালুর পরে দ্রুত সময়ে ঢাকা ও সন্নিহিত এলাকায় পৌঁছানোর যে আশা করা হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। 

বরিশালের গৌরনদী হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে মাদারীপুর সীমানার ভুরঘাটা পর্যন্ত মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৪২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩২ কিলোমিটারেই ২৭টি ব্ল্যাক স্পট বা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছেন। দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানগুলো হলো- ভুরঘাটা, ইল্লা, বার্থী, তারাকুপি, কটকস্থল, সাউদের খালপাড়, নীলখোলা, টরকী, গয়নাঘাটা, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড, আশোকাঠী, কাসেমাবাদ, বেজহার, মাহিলাড়া, বাটাজোর, বামরাইল, সানুহার, জয়শ্রী, সোনার বাংলা, ইচলাদী, শিকারপুর-দোয়ারিকা টোল প্লাজা, মেজর এমএ জলিল সেতুর ঢাল, নতুনহাট, রহমতপুর ব্রিজের ঢাল, রেইনট্রিতলা ও কাশিপুর ব্র্যাক অফিসের মোড়। এসব স্পটগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ, অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাধারণ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু জায়গায় সতর্কতামূলক চিহ্ন বসানো হচ্ছে।

ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে চলাচলরত সাউদিয়া পরিবহনের সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর বদৌলতে যানবাহন কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় অপ্রশস্ত মহাসড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করা এখন খুবই জরুরি।

সড়ক অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে ২০১৫ সাল থেকে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটি সাগরকন্যা কুয়াকাটা পর্যন্ত ছয় লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে যা ২০১৮ সালে শেষ হয়। এমনকি সমীক্ষার পথনকশা অনুযায়ী প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণে ১৮শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে একটি আলাদা প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের তিন বছর পরেও ভূমি অধিগ্রহণ কাজের অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। তবে ওইসব জমির বর্তমান বাজার মূল্য দ্বিগুণেরও বেশী বৃদ্ধি, নতুন পথনকশা অনুযায়ী বাড়তি প্রায় দু‘শ হেক্টরসহ জমির মূল্য পরিশোধে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে।

বাস্তবতার আলোকে ইতিমধ্যে বরিশাল মহানগরীর পরিবর্তে প্রায় ১৬ কিলোমিটার বাইপাস নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পটুয়াখালীতেও পথনকশার কিছু পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ফলে এ দুটি স্থানে আরো অন্তত দু‘শ হেক্টর বাড়তি ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে। এজন্য ইতিমধ্যে সংশোধিত ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি’ তৈরীর কথাও জানিয়েছে সড়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল।

অপরদিকে মহাড়কটির বরিশাল বিমানবন্দর ও ফরিদপুরে একটি প্রতিববন্ধী স্কুলের কাছে এলাইনমেন্ট নিয়েও কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ দুটি স্থানের এলাইনমেন্ট নিয়ে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হতে পারে ।

সূত্রের দাবি, অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি চূড়ান্ত না হলে এডিবি ছাড়া আরো কয়েকটি দাতা সংস্থার সাথে প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে কথা চলছে। অপরদিকে ২০১৫ সাল থেকে ’১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা, সমীক্ষা ও পথনকশা অনুযায়ী ২১১ কিলোমিটার মহাসড়কটির জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ২১ হাজার কোটি টাকা ধরা হলেও ভূমি অধিগ্রহণেই অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন হতে পারে। যার পুরোটাই দিতে হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। 

বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, অনন্ত ঈদ-উল ফিতরের আগে ও পরে মহাসড়কে চলাচলরত পরিবহনগুলো যেন বেপরোয়াগতিতে এবং প্রতিযোগিতার মনোভাব পরিহার করে ওভারটেকিং করতে না পারে। স্ব-স্ব এলাকার হাইওয়ে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে সকল দুশ্চিন্তার অবসান ঘটবে। এতে করে ঈদ মৌসুমে সড়ক দূর্ঘটনা জিরোতে নামানো সম্ভব হবে। তবে হাইওয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বরিশাল অফিসের কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখাসহ সময়নুযায়ী প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ।

বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদে নারীর টানে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, এজন্য বরিশালে পুলিশ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। হাইওয়ে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে ভুরঘাটা থেকে বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার মহাসড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দূর্ঘটনা প্রবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং যানজটের সৃষ্টি হতে পারে এমন সব এলাকায় ট্রাফিক পরিদর্শকদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঈদে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ভাঙ্গা পর্যন্ত ছয়লেনের এক্সপ্রেসওয়ে পৌঁছলেও সেখান থেকে ৯১ কিলোমিটার দক্ষিণে বরিশাল, ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ফরিদপুর শহর এবং ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে পায়রা সমুদ্র বন্দর ও ২০৩ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পৌঁছানোর মহাসড়কের কোনটিই মানসম্মত নয়। এসব মহাসড়ক এখনো মাত্র ১৮ থেকে ২৪ ফুট প্রস্থ। ফলে  আসন্ন  ঈদ-উল ফিতরের আগে ও পরে দেশের ৮ নম্বর বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কে সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ।

;

মাদক বিরোধী অভিযানে আটক ৪০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৬২ পিস ইয়াবা, ১৫১ গ্রাম হেরোইন, ১০৬ কেজি ৬৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩০ গ্রাম আইস ও ১১৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপি’র নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।

;

চাকরিতে প্রমোশন, ৯ লাখ টাকা নিয়ে গ্রেফতার কবিরাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরিতে প্রমোশন ও পারিবারিক সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে এক কবিরাজ নিয়েছিলেন ৯ লাখ টাকা। প্রতারণা বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পরে অভিযান চালিয়ে সেই ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতারকৃত কবিরাজকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ভন্ড কবিরাজের নাম মো হুমায়ুন কবির (৫৩) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় আল্লাহর দান আজমিরি কবিরাজি দাওয়াখানা-২ নামে একটি কবিরাজের দোকান দিয়ে স্থানীয়দের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। স্থানীয়রা সবাই তাকে কবিরাজ হিসেবেই চেনে।

ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিন ভুঁইয়া একই এলাকায় বসবাস করে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকরিতে প্রমোশন ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে কবিরাজ তাঁর কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়েছেন। পরে কাজ না হলে টাকা ফেরত চাইলে উলটো হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন সেই কবিরাজ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব সাহা বলেন, প্রতারণার অভিযোগে এক ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী রোববার (৩১ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট বিনিময়। যা চলবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের কয়েকটি শাখা থেকেও নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন শাখা কাউন্টারের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখার মাধ্যমেও গ্রাহকরা নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যেসব ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবেঃ

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।....

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখা।....

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত করপোরেট শাখা), দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।....

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ ভুলতা শাখা, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর শাখা, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সীগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।

;