ইলিশ নেই, ঝুঁকি নিয়ে সাগরে যাচ্ছে জেলেরা



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। ছবি: বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর: ডুবোচর ও নাব্যতা সংকটে সাগর থেকে মেঘনা নদীতে ইলিশ আসতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। যদিও এখন ইলিশের ভরা মৌসুমের সময়। তবুও মাছ ধরতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় জেলেদের। তাই তারা এখন ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতে সাগরে যাচ্ছে। যেখানে তীব্র স্রোত আর বিশাল ঢেউয়ের মোকাবেলা করা বেশ দুষ্কর। এতে নৌকাডুবিসহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে গিয়ে কমলনগর উপজেলার ১০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ২১ জুলাই বরগুনার নিশানবাড়ি ঘাট থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে ভারত-বাংলাদেশ নৌ-সীমানার অদূরে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারসহ তারা নিখোঁজ হন। এখনো পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি।

জেলা সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগতিতে প্রায় ৬০ হাজার জেলে রয়েছে। মেঘনাকে ঘিরেই তাদের জীবিকা। এখন ভরা মৌসুমের সময়েও নদীতে মাছ না পেয়ে হতাশ জেলেরা। তবুও জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনই তাদের নদীতে যেতে হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/09/1536470274394.jpg

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলেরা নদীতে সময় কাটাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের আশায়। যে কয়টি ইলিশ ধরা পড়ে তা বিক্রি করে খরচের টাকাও উঠে না। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো সামর্থ নেই এসব জেলেদের।

অন্যদিকে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা না পড়ায় সদরের মজুচৌধুরীরহাট, করাতিরহাট, কমলনগরের মতিরহাট, লুধুয়া, পাটারিরহাট, রায়পুরের হাজিমারা, রামগতিরহাট ও আলেকজান্ডারসহ বিভিন্ন মাছঘাট এখন ক্রেতা শূন্য। আগের মতো সরগরম নেই মাছঘাটগুলো। ক্রেতা আসলেও পাওয়া যাচ্ছে না ইলিশ। আবার যা পাওয়া যায় তাও আবার চড়া দামে কিনতে হয়।

মার্চ-এপ্রিল দু’মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ মে নদীতে মাছ শিকারে নামে জেলেরা। কিন্তু শুরু থেকেই আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী এলাকায়। ঘনিয়ে আসছে ফের নিষেধাজ্ঞার সময়। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২২ দিন নদীতে মাছ শিকারে নামতে পারবে না জেলেরা।

যেখানে ভরা মৌসুমে জেলেদের জালে ইলিশ মেলেনি, সেখানে আগামী নিষেধাজ্ঞার সময় কীভাবে তারা সংসার চালাবে? এসব নিয়ে জেলেরা চিন্তায় রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/09/1536470295177.jpg

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর এ সময় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। কিন্তু এবার নদীতে গিয়ে খরচের টাকা উঠানোর মতো মাছও পাওয়া যায় না। মৌসুমের শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত একই অবস্থা। যে কারণে এখন সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছে অধিকাংশ জেলেরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদরের মজুচৌধুরীর হাট ও কমলনগরের লুধুয়া ঘাটের কয়েকজন আড়তদার জানান, ইলিশ ধরা না পড়ায় আড়ত খালি। মাছ ধরে জেলেরা আড়তে বিক্রি করবে এ শর্তে দাদন নিয়েছে। এখন তারা দেনাও শোধ করতে পারছে না। এভাবে তাদের পাওনা টাকা উঠানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্লাহ জানান, বৃষ্টিপাত ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে ইলিশ ধরা পড়ে। মেঘনায় ডুবোচর ও নাব্যতা সংকট রয়েছে। যার কারণে ইলিশ সাগর থেকে আসতে বাধা সৃষ্টি হয়।

   

কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত

কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেন (ঈদ স্পেশাল) লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা জংশনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ডুলাহাজারা জংশনে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ২ টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনটি উদ্ধার করার জন্য উদ্ধারকারী দল রওয়ানা দিয়েছে।

ডুলাহাজারা থেকে তীব্র গরমের মধ্যে বাসে সবাই কক্সবাজারে ফিরে এসেছে বলে জানান যাত্রীরা।

ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী সায়ন্তন ভট্টাচার্য বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেনে করে কক্সবাজারে নিজ বাড়িতে ফিরছিলাম। ট্রেনটি ডুলাহাজারা স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়। তীব্র গরমের মধ্যে সব যাত্রীরা বাসে ফিরে যাচ্ছে। আমরাও বাসেই কক্সবাজারে চলে আসি। ট্রেনটি ঠিক হতে হয়তো সারাদিন লেগে যেতে পারে।

;

র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) তাকে দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত র‌্যাব ১১ জন মুখপাত্র পেয়েছে। আরাফাত ১২তম মুখপাত্র হলেন।

দীর্ঘ তিনবছর মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা মঈন গত বৃহস্পতিবার নিজ বাহিনীতে ফেরত যান। এর আগে তিনি ২০২১ সালের ২৫ মার্চ র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হন।

জানা গেছে, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বর্তমানে র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতবছরের জানুয়ারিতে তিনি ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব পান। ২০২২ সালে তিনি প্রেষণে র‌্যাবে আসেন। নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা ১৯৯৫ সালে বাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। পেশাগত জীবনে আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের ওপর স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

পেশাগত জীবনে তিনি নৌবাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি নৌবাহিনী প্রধানের প্রশংসা, ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশনসহ নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হন। তাছাড়া পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের প্রায় ৩৪টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও দুই কন্যা সন্তানের জনক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫১০ পিস ইয়াবা, ১০ কেজি ৪০০ গ্রাম ৪০ পুরিয়া গাঁজা, ১৫১ গ্রাম হেরোইন ও ৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর, নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত রানা প্লাজা ধ্বসের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিল্প পুলিশ-১, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ভবন ধ্বসের ঘটনায় আহত শ্রমিক ও নিহতের স্বজনেরা। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সাভার বাজার স্ট্যান্ড সংলগ্ন ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে এই শ্রদ্ধা জানান তারা। এসময় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহত শ্রমিকরা ভবন মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। পাশাপাশি আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দাবি করেন।

এদিকে, যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

;