ইলিশ মাছের জিনের ক্রমবিন্যাস উদঘাটন
ময়মনসিংহ: ইলিশ মাছের জিনোম সিকোয়েন্সিং বা জিনের ক্রমবিন্যাস উদঘাটন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও তার সহযোগী গবেষকরা এই গবেষণা করেন।
সহযোগী গবেষকরা হলেন- পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা, বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম ও ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম কাদের খান।
গবেষকরা বলেন, ‘ইলিশের জিনোমে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার নিউক্লিওটাইড রয়েছে যা মানুষের জিনোমের প্রায় এক চতুর্থাংশ। ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স জানার মাধ্যমে অসংখ্য অজানা প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই জানা যাবে।’
গবেষকরা আরও বলেন, ‘২০১৫ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করেন তারা। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ইলিশের পূর্ণাঙ্গ ডি-নোভো জিনোম অ্যাসেম্বলি প্রস্তুত হয়। ওই বছরের ২৫ আগস্ট ইলিশের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স আন্তর্জাতিক জিনোম ডেটাবেজ ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে’ (এনসিবিআই) জমা করা হয়।
এছাড়াও ইলিশের জিনোম বিষয়ে গবেষণালব্ধ ফলাফল ২টি আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সেও উপস্থাপন করা হয়েছে।