বাংলাদেশের চোখ শিরোপায়, প্রতিশোধের অপেক্ষায় ভারত



আপন তারিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিরোপায় চোখ বাংলাদেশের কিশোরী ফুটবলারদের

শিরোপায় চোখ বাংলাদেশের কিশোরী ফুটবলারদের

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি নাকি প্রতিশোধ?

উত্তর মিলবে আজ শনিবার রাতে। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা। আর ভারতের জন্য প্রতিশোধ মিশন।

গতবছর এই ভারতকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দল। আবারো সেই দলটির সঙ্গেই শিরোপার লড়াই। এবারো ফেভারিট হয়েই মাঠে নামছে মারিয়া মান্ডার দল। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়।

ভুটানের মাঠে খেলতে নেমে জয়টাকে রীতিমতো অভ্যাসে পরিনত করেছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪-০ গোলে জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দল পেয়ে যায় সেমিফাইনালের টিকিট। তারপর ভুটানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা উঠে এসেে ফাইনালে।

যদিও ভারতও একই ছন্দে পেয়েছে ফাইনালে খেলার টিকিট। তবে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে মাঠে নামার আগে বাংলার বাঘিনীদেরই ফেভারিট বলছেন বিশ্লেষকরা। দলে ম্যাচ উইনারের কমতি নেই। শামসুন্নাহার জুনিয়র ও তহুরা খাতুন দু'জনই ৪ গোল করে আছেন শীর্ষে। কম যাচ্ছেন না মারিয়া মান্ডা আর যমজ বোন আনাই ও আনুচিং মোগনি।

বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন ছন্দ এনে দেওয়া মেয়েদের আরো বেশি চাঙ্গা করে দিতে প্রধান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের সঙ্গে আছেন টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক ডিরেক্টর থমাস পল স্মলি।

এরইমধ্যে কোচ গোলাম রাব্বানী জানিয়ে দিলেন, ‘গ্রুপ পর্ব আর সেমিফাইনালে নিজেদের সহজাত খেলাটাই খেলতে পেরেছি আমরা। এবার ফাইনালে। এই টুর্নামেন্টের জন্য গত ৭ মাস আমরা অনুশীলন করেছি। এবার সেই পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলতে চাই।’

দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার তহুরা খাতুনও ভারতের বিপক্ষে সেরাটা দিতে প্রস্তুত। জানাচ্ছিলেন, ‘ফাইনালে যত দ্রুত সম্ভব গোল করতে চাই আমি। যেমনটা আগের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হয়ে তাই করেছি। এই ম্যাচটাতে গোল করে দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে চাই।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/18/1534569127410.jpg

এখন পর্যন্ত তাকে ফাঁকি দিয়ে বল ঢুকতে পারেনি জালে। সেই অজেয় গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তার বলছিলেন ‘এটা ঠিক গত তিনটি ম্যাচ ভাল খেলেছি আমরা। তবে শিরোপা জিততে হলে এই ম্যাচে আরো ভাল খেলতে হবে। আমি আমাদের গোলপোস্টে দুর্গ হয়ে দাঁড়াবো। আশা করছি আমার সতীর্থরা ভারতের বিপক্ষেও আগের ম্যাচগুলোর মতোই খেলবে।’

ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে ফাইনালের আগে প্রস্তুত অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা। স্পষ্ট জানিয়ে রাখলেন ‘আমরা প্রস্তুত। ফাইনাল ম্যাচ জিতে ট্রফি নিয়েই ঘরে ফিরতে চাই। সবার দোয়া থাকলে হাসিমুখেই ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারবো।’

কথায় আছে শেষ ভাল যার সব ভাল তার। তিন ম্যাচে ২২ গোল করে আকাশে উড়ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ শনিবার শেষটা ভাল হলে সাফল্যের সপ্তম স্বর্গে পা রাখবে মারিয়া মান্ডারা। ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জেতার চেয়ে বড় ঈদ উপহার আর কীইবা হতে পারে?

   

ফেদেরারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন জোকোভিচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লরিয়াস স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডসে বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের পুরস্কার জিতেছেন সার্বিয়ান টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। পঞ্চমবার এই পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে রজার ফেদেরারের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। এর আগে পাঁচবার বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের খেতাব জিতেছিলেন সুইস কিংবদন্তি ফেদেরার।

বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পেয়েছেন স্প্যানিশ ফুটবলার আইতানা বোনমাতি। গত বছর স্পেনের নারী বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন এই ফুটবলার।

এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ সেনসেশন জুড বেলিংহ্যামের হাতে উঠেছে ব্রেকথ্রু অব দ্য ইয়ার বা সেরা নবীন তারকার সম্মান। সেরা প্রত্যাবর্তনের (কামব্যাক) পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন নারী জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস। শারীরিক প্রতিবন্ধী বিভাগে নেদারল্যান্ডসের হুইলচেয়ার টেনিস খেলোয়াড় ডিডা ডি গ্রুট হয়েছেন বর্ষসেরা। আর বছরের সেরা অ্যাকশন ক্রীড়াবিদের খেতাব জিতেছেন স্কেটবোর্ডার অ্যারিসা ট্রিউ। স্পেনের টেনিস কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের ফাউন্ডেশন জিতেছে স্পোর্ট ফর গুড অ্যাওয়ার্ড।

পঞ্চমবারের মতো বর্ষসেরার পুরস্কার হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জোকোভিচ, ‘পঞ্চমবার জিততে পেরে খুব সম্মানিত বোধ করছি। আমার ২০১২ সালের কথা মনে পড়ছে, ২৪ বছর বয়সে প্রথমবার জিতেছিলাম এই পুরস্কার। ১২ বছর পরও এখানে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।’

২০১২ সালে প্রথম লরিয়াস বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের খেতাব পান জোকোভিচ। পরবর্তীতে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৯ সালেও এই সম্মান দেয়া হয় তাকে।

;

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে সিলেটে ভারতীয় নারী দল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর বসবে বাংলাদেশের মাটিতে। সেই লক্ষ্যে কদিন আগেই বাংলাদেশ সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। এবার ভারতীয় নারী দলও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে চলে এসেছে বাংলাদেশের মাটিতে। মঙ্গলবার ভারত থেকে সরাসরি ম্যাচ ভেন্যু সিলেটে পা রেখেছে হারমানপ্রীত কৌরের দল। সেখানে ভারতীয় নারী দলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে বিসিবি।

এবারের সফরে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত। সফরের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটে। আগামী ২৮ এপ্রিল ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের বাংলাদেশ সফর।

এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ৩০ এপ্রিল। দু’টি ম্যাচই হবে দিবারাত্রির। যা মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। এরপর ২ ও ৬ মে সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দু’দল। ম্যাচগুলো হবে বেলা ২ টায়।

সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে দিবারাত্রির। সেই ম্যাচটিও মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৬টায়। ৯ মে সেই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশ সফরের ইতি টানবে ভারতীয় মেয়েরা।

অবশ্য এর আগে, গত বছরের জুলাইয়েও বাংলাদেশ সফর করে গেছে ভারতের মেয়েরা। সেই সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। সফরে টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে ভারত জয় পেলেও ১-১ তে ভাগ হয়েছে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি।

ভারতের স্কোয়াড: হারমানপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), স্মৃতি মান্দানা (সহ–অধিনায়ক), শেফালি বর্মা, দয়ালন হেমলতা, সাজানা সজীবন, রিচা ঘোষ (উইকেটকিপার), যষ্টিকা ভাটিয়া (উইকেটকিপার), রাধা যাদব, দীপ্তি শর্মা, পূজা বস্ত্রকর, আমানজোত কৌর, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল, সাইকা ইসহাক, আশা সোভানা, রেনুকা সিং ও তিতাস সাধু।

;

মুস্তাফিজ চলে গেলে দুঃখ পাবেন হাসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি আসরে মুস্তাফিজুর রহমান চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বোলার। এখন পর্যন্ত দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। শেষ কয়েক ম্যাচে কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও এখন পর্যন্ত খেলা ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই ছিলেন না উইকেটশুন্য। এমন একজন পেসার আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরে গেলে কষ্ট পাবেন চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।

আগামী মে’তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সে সিরিজে মুস্তাফিজকে চায় বিসিবি। তার ফিটনেস এবং ওয়ার্কলোড ব্যবস্থাপনার জন্য ১ মে পর্যন্ত তাকে আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

সে হিসেবে চেন্নাইয়ের জার্সিতে আর সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন মুস্তাফিজ। আজ (মঙ্গলবার) রাতে লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। তার আগে গতকাল (সোমবার) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফিজকে নিয়ে কথা বলেন হাসি, ‘মুস্তাফিজ দারুণ স্লোয়ার বল করতে পারে। চেন্নাইয়ে তার ওই বলটা খেলা খুবই কঠিন। সে যখন (বাংলাদেশে) ফিরে যাবে, তখন নিশ্চিতভাবেই আমরা কষ্ট পাব। তবে মুস্তাফিজকে তার দেশ ডাকছে। আমরা তাকে যতদিন সম্ভব ধরে রাখতে চাই। এখন পর্যন্ত তার পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’

আইপিএলের চলতি আসরে ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১১ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় মুস্তাফিজ এখন ৬ নম্বরে। উদ্বোধনী ম্যাচেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা হয়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার।

;

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফেরার দরজা বন্ধ: নারাইন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনীল নারাইনের ওয়েস্ট ইন্ডিজের সতীর্থরা চায়, আবার জাতীয় দলে ফিরুন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু নারাইনের সিদ্ধান্ত ইস্পাতদৃঢ়, জাতীয় দলের জার্সি আর গায়ে না চড়ানোর সিদ্ধান্তে এখনো অটল তিনি।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন নারাইন। এখন বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। একসময় লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা নারাইন এখন মারকুটে ওপেনার। সঙ্গে দুর্ধর্ষ স্পিন বোলিং তো রয়েছেই।

চলতি আইপিএলে দারুণ ছন্দে রয়েছেন নারাইন। আইপিএলের এবারের আসরে পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ব্যাট করে তার রান ২৮৬, স্ট্রাইক রেট ১৭৬-এর বেশি।

বল হাতে ৭ ম্যাচে পেয়েছেন ৯ উইকেট। বোলিং গড়ও মন্দ নয়, ৭.১১। তার এমন পারফরম্যান্স দেখে রাজস্থান রয়্যালসে খেলা তার ক্যারিবিয়ান সতীর্থ রভম্যান পাওয়েল বলেছিলেন, ‘গত ১২ মাস ধরে নারাইনকে জাতীয় দলে ফেরার কথা বলছি। কিন্তু ও কারো কথা কানে তুলছে না।’

তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ও ভক্তদের জবাব দিয়েছেন নারাইন। আইপিএলে তার দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মাধ্যমে পাঠানো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নারাইন বলেছেন, ‘জেনে ভীষণ আনন্দ ও গর্ব হচ্ছে যে, আমার পারফরম্যান্স দেখে অনেকে অবসর ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য বলছেন। কিন্তু নিজের নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেছে আমার। আর হতাশ হতে চাই না। (জাতীয় দলে ফেরার) দরজা এখন পুরোপুরি বন্ধ।’ 

দেশের জার্সি আর গায়ে চড়ালেও বিশ্বকাপে তাদের সমর্থন দেবেন নারাইন, ‘জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যারা মাঠে নামবে তাদের নিশ্চিত সমর্থন করবো আমি।’

;