ওয়ানডে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড, দুঃশ্চিন্তায় ভারত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক বছর খানেক বাকি। সেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতেই যেন এবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে বেছে নিয়েছিল ভারত। তবে এই প্রস্তুতিতে ভারত একেবারে ডাঁহা ফেল! তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হার। হেডিংলিতে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২৫৬ রানের মামুলি স্কোর গড়ে। অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে আসে দলের সর্বোচ্চ ৭১ বলে ৭২ রান। ওপেনার শিখর ধাওয়ান করেন ৪৪ রান। শেষের দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি অনেকÿণ উইকেটে টিকে থাকলেও থেমে যান ৪২ রানে। ইংল্যান্ডের শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপের জন্য ২৫৭ রানের টার্গেট কখনোই কঠিন কিছু মনে হয়নি। ব্যাটিংয়ের পর এই ম্যাচে বোলিংয়েও ভারত পুরোদুস্তর ব্যর্থ। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৪৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে সিরিজের  ট্রফি নিয়ে উল্লাস করে ইংল্যান্ড। ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান জো রুট ম্যাচে ১২০ বলে হার না মানা সেঞ্চুরি করেন। তিন ম্যাচের সিরিজে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে এখন ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১২টি সেঞ্চুরির মালিক এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজটা অবশ্য ভারত শুরু করেছিল জয় দিয়েই। ট্রেন্টব্রিজে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত জিতেছিল। রিস্টস্পিনার কুলদ্বীপ যাদব সেই ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে ভারতকে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখান। তবে সিরিজের পরের দুই ম্যাচে লর্ডস ও হেডিংলিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের ভরাডুবি হয়।

ভারতের এই সিরিজ হারের সবচয়ে বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দলের মিডলঅর্ডারের ব্যাটিংকে। লম্বা ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা এই সিরিজে নিজেদের প্রমান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আরেকটু স্পষ্ঠ করে বললে এই সিরিজে সুরেশ রায়না এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি এই দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে নির্ভরতার প্রতীক হতে পারেননি।

দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজও ভারত জয় দিয়েই শুরু করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে জিতে ইংল্যান্ড সেই সিরিজে সমতা নিয়ে আসে। আর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে ইংল্যান্ড জানিয়ে দিল পাঁচ ম্যাচের টেষ্ট সিরিজেও ফেবারিট স্বাগতিকরাই।

তৃতীয় ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ২৫৬/৮ (৫০ ওভারে, ধাওয়ান ৪৪, কোহলি ৭১, কার্তিক ২১, ধোনি ৪২, শার্দুল ঠাকুর ২২*, ভুবেনশ্বর ২১, আদিল রশিদ ৩/৪৯, উইলি ৩/৪০)।

ইংল্যান্ড: ২৬০/২ (৪৪.৩ ওভারে, ভিন্স ২৭, বেয়ারষ্টো ৩০, জো রুট ১০০৮, মরগান ৮৮*, ঠাকুর ১/৫১)। ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: আদিল রশিদ।

সিরিজ: ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী।

সিরিজ সেরা: জো রুট।

 

   

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের সব ম্যাচগুলো হবে আজ। এদিকে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।

 

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

আবাহনী-শেখ জামাল

সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

প্রাইম ব্যাংক-গাজী টায়ার্স

সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ-শাইনপুকুর

সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

 

১ম টি-টোয়েন্টি

পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড

রাত ৮টা, এ স্পোর্টস ও জিও সুপার

 

আইপিএল

পাঞ্জাব-মুম্বাই

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

 

ইউরোপা লিগ

রোমা-এসি মিলান

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ১

আতালান্তা-লিভারপুল

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ২

মার্শেই-বেনফিকা

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ৩

ওয়েস্ট হাম-বায়ার লেভারকুসেন

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ৫

 

;

গুজরাটকে গুঁড়িয়ে দিল্লির রেকর্ডগড়া জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই তো এক ম্যাচ আগের কথা। টেবিল টপার রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। সেই গুজরাট এবার রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণই করল দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে। ৮৯ রানে গুটিয়ে গেল দলটা। তাদের এই রান দিল্লি টপকে গেল ৬৭ বল হাতে রেখেই। তাতে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জেতার কীর্তিও গড়ে ফেলল ঋষভ পান্তের দল। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে গুজরাট। পাওয়ার প্লের আগেই মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে শুভমান গিলের দল। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি দলটা। ৪৮ রান তুলতে শেষ হয়ে যায় তাদের ৬ উইকেট। সেখান থেকে ৮৯ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে দলটা, তার কৃতিত্ব রশিদ খানের। তার ৩১ রানের ইনিংস এক সময় তিন অঙ্কের সম্ভাবনাও দেখাচ্ছিল দিল্লিকে। যদিও শেষমেশ তা আর হয়নি। ১৭.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮৯ রান তুলতেই যবনিকা পড়ে যায় গুজরাটের ইনিংসে।

এই ৯০ রানের লক্ষ্য টপকাতে উইকেট খোয়ালেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দিল্লিকে। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, অভিষেক পোড়েল, শেই হোপরা ১৫০ ছাড়ানো স্ট্রাইকরেটে ছোট্ট অথচ কার্যকরি তিন ইনিংস খেলে দিয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান। ৬৭ রানে ৪ উইকেট খোয়ানোর পর দিল্লিকে বাকি পথটা দেখান ঋষভ পান্ত। তার ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংসে ভর করে দিল্লি পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। ব্যাটিংয়ের আগে কিপিং গ্লাভস হাতে দুটো স্টাম্পিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার বাগিয়ে নেন পান্ত।

এবারের আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের কৃতিত্ব এখন পর্যন্ত ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর রাজস্থান রয়্যালসের। ২৭ বল হাতে রেখে জিতেছিল দুটো দল। তবে এবার দিল্লি রেকর্ডটার সীমানা একেবারে আকাশেই তুলে দিল রীতিমতো। ম্যাচটা জিতল ৬৭ বল হাতে রেখে। 

বিশাল এই জয়ে এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের ৯ থেকে ৬ এ উঠে এল পান্তের দল। আর ৬ থেকে ৭ এ নেমে গেল গুজরাট টাইটান্স। দুই দলেরই পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ৬, তবে বড় ব্যবধানের জয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে গুজরাটকে টপকে গেছে দিল্লি।

;

জালাল ইউনুসের ‘কৌতুক’ শুনে হেসে খুন সালাউদ্দিন!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে খেলা চালিয়ে যাবেন নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশে ফিরবেন-তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা থামছেই না। বিসিবি পরিচালক আকরাম খান জিম্বাবুয়ে সিরিজের চেয়ে বরং মুস্তাফিজের আইপিএলে খেলার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

আকরামের বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলে বসেন, ‘মুস্তাফিজকে আইপিএল খেলে শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রসেস ওভার। বরং মুস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএলে অনেক খেলোয়াড় আছে।’

জালাল ইউনুসের এমন মন্তব্য শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তো হাস্যরস করছেনই, এবার সে দলে যোগ দিলেন দেশের অন্যতম স্বনামধন্য কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে জালাল ইউনুসের ওই মন্তব্য সম্বলিত একটি ফটো কার্ড পোস্ট করেছেন এই কোচ।

পোস্টের ক্যাপশনে রীতিমত জালাল ইউনুসকে ধুয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করিনি। দুর্দান্ত চিন্তাভাবনা। আমার শোনা অন্যতম সেরা কৌতুক। আল্লাহ মাফ করুক।’ সঙ্গে বেশকিছু অট্টহাসির ইমোজিও জুড়ে দিয়েছেন এই ক্রিকেট কোচ।

;

‘মুস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএলের খেলোয়াড়রা’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ নাকি আইপিএল-কোনটায় খেলা উচিৎ মুস্তাফিজুর রহমানের, এই প্রশ্নে সরগরম দেশের ক্রিকেট। বোর্ড পরিচালক আকরাম খান বলেছিলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার চেয়ে আইপিএলে খেললে মুস্তাফিজ কিছু শিখতে পারবে। সে বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বললেন, আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই।

আগামী মে’তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তাই আইপিএলের জন্য মুস্তাফিজকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল। পরে অবশ্য সে অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে ১ মে করা হয়। তবে একটি বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের ক্রিকেটমহলে আলোচনা চলছে যে, আসলে মুস্তাফিজকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খেলালে ভালো হবে নাকি আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে খেললেই বরং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজের প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারবেন মুস্তাফিজ।

কয়েকদিন আগে এই প্রশ্ন বিসিবির পরিচালক আকরাম খানকে করা হলে তার জবাব ছিল, ‘মুস্তাফিজকে ব্যবহার করতে জানলে শতভাগ ফল পাওয়া যায়। ধোনির দল যেটা করে দেখাচ্ছে।’ এরপরই জিম্বাবুয়ে সিরিজে আইপিএলে খেললে মুস্তাফিজ বেশি উপকৃত হবেন বলে মন্তব্য করেন আকরাম।

তবে তার সেই মন্তব্য খণ্ডন করে আজ (বুধবার) মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জালাল ইউনুস বলেন, ‘মোস্তাফিজের এখন আইপিএলে খেলে শেখার কিছু নেই। মোস্তাফিজের শেখার দিন শেষ। বরং মোস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক খেলোয়াড়রা।’

মুস্তাফিজের ফিটনেসের কথা ভাবনায় রেখেই তাকে পুরো টুর্নামেন্টের জন্য অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়নি বলে জানান এই বিসিবি কর্তা, ‘আমাদের চিন্তা হচ্ছে মোস্তাফিজের স্বাস্থ্য। তার ফিটনেস। তারা চাইবে ওর থেকে ১০০ ভাগ নেওয়ার জন্য। তার ফিটনেসের দিকে কিন্তু ওদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমাদের আছে। তাকে ফেরানোর কারণ কিন্তু শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানোর জন্য না। তাকে ওয়ার্কলোড দিয়ে আমরা খেলাব। এখানে আনলে তাকে ওয়ার্কলোড দিয়ে পরিকল্পনা দেব। আইপিএলে কিন্তু ওই পরিকল্পনা হবে না।’

;