আফগানিস্তান এগিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে, ধুঁকছে বাংলাদেশ



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চট্টগ্রাম থেকে
স্রোতের বিপরীতে লড়াই করলেন মুমিনুল হক

স্রোতের বিপরীতে লড়াই করলেন মুমিনুল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ১৪৩ রান হতেই প্রেসবক্সে হালকা একটা হাততালির শব্দ শোনা গেল!

আনন্দের কারণ-বাংলাদেশ এই টেস্টে ফলোঅন এড়িয়েছে! কিন্তু প্রশ্ন হলো হার কি এড়াতে পারছে বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্টে?

এমনই নাজুক অবস্থায় এখন বাংলাদেশ এই টেস্টে। যে পরিকল্পনা এবং কৌশল নিয়েছিল বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য সেই ‘তীর’ এখন পুরোপুরি নিজেদের বুকে এসেই বিঁধছে! আফগানিস্তানকে হারানোর জন্য স্পিন উইকেট সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই স্পিনে বাংলাদেশই এখন টার্গেট!

আফগানিস্তানের ৩৪২ রানের জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস এখন ধুঁকছে ৮ উইকেটে ১৯৪ রানে।  ম্যাচে আফগানিস্তান এগিয়ে থাকলো ১৪৮ রানে।

দ্বিতীয়দিনের সকালটা শুরু হলো বাংলাদেশের হাসিতে। বিকালটা শেষ হলো একরাশ দুশ্চিন্তায়। তৃতীয়দিন শুরু হবে সম্ভাব্য হারের অস্থিরতা আর যন্ত্রণা নিয়ে!

চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল আফগানিস্তানের স্পিন। আরেকটু সুনির্দিষ্ট করে বললে- লেগস্পিনার রশিদ খান। যথারীতি ম্যাচেও পারফরমেন্স নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক। বোলিংয়ে এলেন বাংলাদেশ ইনিংসের ২৫ ওভারের সময়। আক্রমণে এসেই নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নিলেন লিটন দাসকে। সেই স্পেলেই সাকিব ও মুশফিককে ফেরালেন দুই বলের ব্যবধানে।

৮৮ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ সেই যে পথ হারালো, প্রথম ইনিংসে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না। মাঝে মমিনুল হক ৭১ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেললেন। শেষের দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে এলো হার না মানা ৪৪ রান। নবম উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক ও তাইজুল ৯৪ বলে অপরাজিত ৪৮ রান যোগ করায় বাংলাদেশ দ্বিতীয়দিন অন্তত অলআউটের কবল থেকে বাঁচলো।

চট্টগ্রাম টেস্টে হয়তো ফলোঅন এড়াতে পারলো বাংলাদেশ। কিন্তু সংশয়, আতঙ্ক এবং হতাশা কি তাড়াতে পারলো?

উত্তরের জন্য আরেকটু অপেক্ষার প্রয়োজন। তবে অপেক্ষার সেই সময়টুকুর পুরোটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সংগ্রামের। যন্ত্রণার। আর আফগানিস্তানের জন্য এই ম্যাচ এখন আনন্দের অন্য নাম!

সকালের সেশনে আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস থেমে যায় ৩৪২ রানে। মাত্র ৮ রানের জন্য প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেন আসগর আফগান। তাইজুল ও সাকিব সকাল সকাল দুই উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে আটকে দেন। আগের দিনের সঞ্চয়ের সঙ্গে আর মাত্র ৭১ রান যোগ করে আফগানিস্তান। এই রানের মধ্যে রশিদ খানের একারই যোগাড় ৫১ রান! ৪১ ওভারে ১১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে স্পিনার তাইজুল ইসলাম বোলিংয়ে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার।

লাঞ্চের আগে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলাম টেস্টে নিজের প্রথম শূন্যের দেখা পেলেন এদিন সকালে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আউট সাদমান। চতুর্থ বলেই উইকেটের পেছনের ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন এই বাঁহাতি। ওয়ানডাউনে নামা লিটন দাস ওপেনার সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সামনে বাড়ছিলেন। দুজনেই উইকেটে ঘন্টা খানেক টিকে থাকার পরও ইনিংসটা বড় করতে পারলেন না।

মিডলঅর্ডারে সাকিব ও মুশফিক ব্যাট হাতে ব্যর্থ। মাহমুদউল্লাহ আউট হলেন প্রায় গড়িয়ে আসা বলে। দেড়দিনের মাথায় চট্টগ্রামের উইকেটে স্পিন যেভাবে বাঁক নিচ্ছিলো তাতেই পরিষ্কার-এই ম্যাচের বয়স পাঁচদিন হচ্ছে না!

 যে উইকেটে বাংলাদেশের সাতজন স্পিনার মিলেও তেমন টার্ন পাননি, সেই একই উইকেটে আফগানিস্তানের স্পিনাররা স্পিনে বলকে লাটিমের মতো ঘোরাচ্ছেন!

ব্যাটিংয়ের পর এখন স্পিন সামর্থ্যেও চট্টগ্রাম টেস্টে আফগানিস্তান অনেক এগিয়ে বাংলাদেশের তুলনায়।

এই ব্যবধানই তাদের মাত্র দুদিনের খেলা শেষেই চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে!

   

হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান রঙ্গনা হেরাথের উত্তরসূরি পাকিস্তান থেকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল বড় রদবদল হয়েছে। হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সহকারী কোচ নিক পোথাস বাদে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যরা তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষের পর দায়িত্ব ছাড়েন। শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার হেরাথও তখন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

পরে অবশ্য হেরাথকে ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। বছরে ২০০ দিন কাজের অভিনব এক প্রস্তাবও দিয়েছিল। তবে হেরাথ তাতে সাড়া দেননি। যার ফলে নতুন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজতে হয় বিসিবিকে। মুশতাক আহমেদকে নিয়োগের মধ্যে সে খোঁজাখুঁজির কাজ শেষ হল।

মুশতাক আহমেদের খেলোয়াড়ি জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪০০’র বেশি উইকেট রয়েছে এই ঘূর্ণিবাজের।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী হন মুশতাক। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন, ২০১৪ পর্যন্ত সে পদে ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও কাজ করেছেন। আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

;

সহজ জয়ে ফেড কাপের সেমিতে বসুন্ধরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। যে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আগের ১২ সাক্ষাতে কোনো হার নেই, তাদের মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ কী! সহজ কাজটা সহজেই সেরেছে কিংস। দুই অর্ধের দুই গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই ছিল বসুন্ধরার দাপট। ২৪ মিনিটে সে দাপটের পুরস্কারও পেয়ে যায় তারা। ২৪ মিনিটে রবসনের লে অফে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন সোহেল রানা। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।

বিরতির পর টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে সে সুযোগ হেলায় হারান রহমতগঞ্জের এই ফুটবলার।

সুযোগ নষ্টের মূল্য দ্বিতীয় গোল হজম করে চুকাতে হয় রহমতগঞ্জকে। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপে বোকা বনেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট পায় বসুন্ধরা।

;

আকরামের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বিসিবি

মুস্তাফিজের জন্য বিসিবির পরিষ্কার বার্তা 



এম. এম. কায়সার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলে থাকা এবং না থাকা বিতর্কে পরিষ্কার দুই ভাগ বিসিবি। আগের দিন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেন, তিনি চান মুস্তাফিজ যেন আইপিএলে বাকি ম্যাচগুলোতে খেলেন। 

ঠিক কী বলেছিলেন আকরাম খান তা শুনি আগে– ‘মুস্তাফিজকে ব্যবহার করতে পারলে শতভাগ ফল পাওয়া যায়, যেটা ধোনির দল করে দেখাচ্ছে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলার চেয়ে ওখানে (আইপিএলে) খেললে সে অনেক কিছু শিখতে পারবে।’

আকরাম খানের এই মন্তব্য গত সোমবার মিডিয়ায় আসার ঘণ্টাকয়েক পরে বিসিবি টিম অপারেশন্স বিভাগ জানায় মুস্তাফিজের ছুটির মেয়াদ আরো একদিন বাড়ানো হয়েছে। আইপিএলের জন্য মুস্তাফিজ বিসিবি থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) পেয়েছিলেন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সেটা আরো একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এরপরই তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে। জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে। 

অর্থাৎ মুস্তাফিজের আইপিএলে ‘থেকে যাওয়া’ নিয়ে আকরাম খানের মতামতের সঙ্গে বিসিবির অন্য অংশ মোটেও একমত নয়। এই বিষয়ে স্পোর্টস বাংলা এবং বার্তা২৪ এর পক্ষ থেকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রশ্ন রাখা হয় মুস্তাফিজের আইপিএল বিষয়ক যে মন্তব্য আকরাম খান করেছেন তার সঙ্গে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগও একমত কি না? 

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের পরিষ্কার উত্তরটা এমন– ‘আমরা মোটেও এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নই। সিদ্ধান্ত সহজ, আইপিএল থেকে জাতীয় দলের স্বার্থটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া টানা খেলায় থাকা মুস্তাফিজের বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে। তার ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টও আমাদের দেখতে হবে। তাই নির্ধারিত ছুটি শেষে মুস্তাফিজকে দেশে ফিরে এসে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতেই হচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের দ্বিতীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই।’

আইপিএলে মুস্তাফিজের নতুন করে শেখার কিছু নেই বলেও মনে করে ক্রিকেট পরিচালক কমিটি। সাত-আট বছর ধরে মুস্তাফিজ আইপিএলে খেলছেন। আইপিএল তো তার জন্য নতুন কোনো ক্ষেত্র নয়। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এই মৌসুমে তিনি ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন। কিন্তু ধোনির পরামর্শেই তিনি অনেক বেশিকিছু অর্জন করে ফেলেছেন, এমন প্রচলিত জনপ্রিয় ধারণায় বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির মোটেও আস্থা নেই। 

তাদের বক্তব্য পরিষ্কার। মুস্তাফিজ প্রথম ম্যাচে শুধু চার উইকেট পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে তার শিকার ১০ উইকেট। কিন্তু যে ম্যাচগুলোতে মুস্তাফিজ রান খরুচে ছিলেন, সেটা কেন তাহলে ধোনি কমাতে পারলেন না? আসলে যার কাজ তাকেই করতে হয়। কেউ পরামর্শ দিলো আর তাতেই সব সমাধান হয়ে গেল, এই ভাবনা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে টিকে থাকা যায় না। ৯ বছর ধরে মুস্তাফিজ আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলছেন। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্ট-এই তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে তার আর্ন্তজাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা ২১০টি। আইপিএলে নিজের অভিষেক মৌসুম ২০১৬ সালে ভালো পারফরম করেছিলেন তিনি। সেবার তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।মুস্তাফিজ ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট পেয়েছিলেন।

তবে আইপিএলের সেই ক্লান্তি নিয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের হয়ে খেলতে নেমে বড় ইনজুরিতে পড়েন মুস্তাফিজ। সেই ইনজুরির জন্য তাকে দেড়বছর ভুগতে হয়েছিল। বিসিবি সেই সময় তার সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। অস্ত্রোপচার টেবিলে উঠতে হয়েছিল মুস্তাফিজকে। সেই ইনজুরির ধাক্কায় মুস্তাফিজ তার শুরুর সময়কার রিদম হারিয়ে বসেন বলে বিসিবি প্রায়ই অভিযোগ করে। তাই মুস্তাফিজকে ইনজুরি থেকে বাঁচিয়ে রাখার জোর চেষ্টা তাদের। ২০২১ সালের টি- টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে আইপিএল খেলে ক্লান্ত হওয়া সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজ রহমানের শ্রান্তি ও অবসাদকে আজও দায়ী করে বিসিবি। 

আইপিএলের কঠিন সিডিউল, ভ্রমণ ক্লান্তি, কড়া অনুশীলন-ভীষণ পরিশ্রমসাধ্য কাজ। এই ব্যস্ত সুচি এবং অতিরিক্ত ক্রিকেট ক্রিকেটারদের শক্তি শুষে নেয়। এমন অবস্থায় ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর নিয়ে পরবর্তী কঠিন কোনো ক্রিকেট মিশনে খেলতে নামলে ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কা প্রচুর। সম্ভাব্য সেই জটিলতা বা দুর্ঘটনা এড়াতেই মুস্তাফিজকে টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাড়তি বিশ্রামে রাখতে চায় বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। 

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সব ম্যাচে মুস্তাফিজকে খেলানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে না। হয়তো দুটি ম্যাচে খেলিয়ে বাকি তিন ম্যাচে বিশ্রামে রাখা হবে। মুস্তাফিজের এই ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি শুধুমাত্র বিসিবিরই চিন্তার বিষয়। নিশ্চয়ই এটা নিয়ে ধোনির চেন্নাই কিংস মেধা খরচ করবে না!  

অনেকের মতো জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক আকরাম খানেরও ধারণা, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজে খেলার চেয়ে আইপিএলে খেললেই বরং মুস্তাফিজের জন্য বেশি উপকার হতো। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট, কঠিন প্রতিপক্ষ, বিপুল দর্শকদের চাপ সামলানো, বিশ্বের সেরাদের সঙ্গে খেলা-এসব অনুষঙ্গ নিশ্চয়ই মুস্তাফিজ জিম্বাবুয়ে সিরিজে পাবেন না। কিন্তু আইপিএলে পাবেন। 

তবে বিসিবির চিন্তা একটু ভিন্ন। মুলত জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলকেই নিয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চে নামতে চায় বাংলাদেশ। তাই পুরো দলকে একজোট করে রাখতে, দলের বাঁধন শক্তপোক্ত করতে সব ক্রিকেটারকে এই সিরিজে খেলাতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই সঙ্গে টানা ক্রিকেটে থাকা ক্রিকেটারদের ক্লান্তি এড়াতে ওয়ার্ক লোডকেও একটা সুষ্ঠ ব্যবস্থপনার মধ্যে আনতে চায় ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ।

সেজন্যই মুস্তাফিজের এনওসি’র মেয়াদ ১ মে’র পর বাড়াতে নারাজ বিসিবি।

;

বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি করবেন না: শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা থাকে, সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদ চড়ে। বিশ্বমঞ্চে দেশের পতাকা সমুন্নত করবেন খেলোয়াড়রা, এমন আশায় বুক বাঁধেন ক্রীড়ানুরাগীরা। অথচ সেই বিশ্বকাপের আগেই কিনা সমর্থকদের মাতামাতি করতে নিরুৎসাহিত করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক! এ যেন মাঠে নামার আগেই হাল ছেড়ে দেয়ার দশা।

আজ (মঙ্গলবার) গুলশানে একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের চিফ ব্র্যান্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শান্ত। সে অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে এমন অদ্ভুত আবদার করে বসেন শান্ত, ‘আমার একটা চাওয়া আপনাদের কাছে, প্রত্যাশা অত বেশি করার দরকার নাই।’

বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা উপভোগ করেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন শান্ত, ‘এটা (বিশ্বকাপ) নিয়ে যখন খুব বেশি মাতামাতি হয়, আমার ব্যক্তিগতভাবে এটি ভালো লাগে না।’

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রত্যাশার পারদ চড়াতে বারণ করলেও নিজেদের সেরাটা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমি বলতে পারি যে টিমটা খেলবে তারা ১২০ ভাগ দেবে জেতার জন্য। এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি, প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবে।’

;